Wednesday 27 September 2017

মুক্ত বাংলঃকাজীপুরের চরাঞ্চলে বেড়েছে খড়ের কদর বিপাকে খামারিরা


বন্যায় গোচারণভুমির ক্ষতি হওয়ায় কাজীপুরের যমুনা নদীর খাসরাজবাড়ী, নাটুয়ারপাড়া, মনসুরনগর, মাইজবাড়ী, তেকানী, নিশ্চিন্তপুর, শুভগাছা, চরগিারশ ইউনিয়নের বিভিন্ন চরে গো-খাদ্যের চাহিদা পুরনে বেড়েছে খড়ের কদর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাজারো সমস্যা সংকটের মাঝে চরের মানুষ গুলো যে যার মতো করে ঘুর
ে দাঁড়ানোর নিরন্তর চেষ্টা করছেন। নানা পেশার অন্তরালে তারা খুজে পেয়েছেন গরু পালনের নতুন পথ। বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে গরু ক্রয় করে খামার গড়ে তোলেন চরের মানুষ। এসব খামারে গাভি পালন ও প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজা করছেন। প্রায় প্রতিটি বাড়িতে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট গরুর খামার। প্রায় চার বছর ধরে নতুন এই পথে এগিয়ে চলেছেন চরের মানুষ। যমুনা চরে গরু পালন লাভজনক। খাদ্যের ব্যয় খুবই কম। কারন চরে সব সময় পর্যাপ্ত গো-খাদ্য পাওয়া যায়। রাখাল সারাদিন গরু গুলোকে চরের পতিত জমিতে প্রাকৃতিক ভাবে গজানো ঘাস খাওয়ান। গরুর জন্য খৈল, ভুষি, নালী, চালের খুদসহ কোন খাবারই বাজার থেকে ক্রয় করতে হতো না।
কিন্ত বর্তমানে বদলে গেছে যমুনা চরের সেই চিত্র। দীর্ঘ দিন ধরে বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকা মাঠের ঘাস পচে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। অধিকাংশ বাড়িতে পানি ওঠে ভেসে েেগছে খড়ের পালা। এ কারণে যমুনার চরে গো-খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে মল্লিকপাড়া, নতুন মাইজবাড়ী, দক্ষিণ চালাল, ঘোড়াগাছা, গিরিশ ও ফুলজোড় চরে গো-খাদ্যের চাহিদা মেটাতে খড়ের কদর বেড়ে গেছে। বর্তমানের চর এলাকার মানুষের জন্য নদীর ঘাটে খড়ের বাজার বসেছে। প্রতিদিন এই বাজার থেকে খড় কিনছেন গৃহস্থরা। চাহিদা বেশী থাকায় আগের তুলনায় খড়ের দামও বেড়ে গেছে।
মাইজবাড়ী চরের কৃষক মতি মন্ডল জানান, তার গোয়ালে ৬টি গরু আছে। নিজের জমি না থাকায় তার সংগ্রহে খড় নেই। তাই গরুর জন্য চরের পতিত জমি থেকে ঘাস সংগ্রহ করতেন। কিন্ত চর তলিয়ে যাওয়ায় ঘাস সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে। তাই দুরদুরান্ত থেকে নদীপথে খড় সংগ্রহ করছেন। ফুলজোড় চরের দিনমজুর রহিম ও বাদশা জানান, তাদের ৫টি গাভি আছে। দৈনিক ১০ কেজি করে দুধ দেয়। দুধ বিক্রির টাকায় চলে তার সংসার। খাদ্যের অভাবে গাভীর দুধ কমে গেছে। গাভিকে খায়ানোর জন্য বাজার থেকে খড় কিনছেন। প্রতি আটি (স্থানীয় ভাষায়) খড়ের দাম ১২টাকা করে। ভূয়াপুর থানা থেকে আসা খড়ের পাইকারী ব্যবসায়ী দুলাল হোসেন বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে যমুনা নদীপথে গরুর খাবারের জন্য খড় কিনে চরের মানুষের জন্য মেঘাই নদী ঘাটে এনেছি। ধান কাটার মৌসুমে এক আটি খড়ের দাম ছিল ২টাকা, এখন সেই খড় বিক্রি হচ্ছে ১২টাকা আটি।


Tuesday 26 September 2017

মুক্ত বাংলাঃ-উপজেলা ডাকঘর, কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ .



উপজেলা পর্যায়ে সরকারি অফিসগুলোর মধ্যে উপজেলা ডাকঘর অন্যতম। অফিসটি উপজেলা পরিষদের দক্ষিণে অবস্থিত।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে স্বল্প সময়ে এবং স্বল্প খরচে জনগণের দোরগোড়ায় ডাক সুবিধা পৌছে দেয়ার মাধ্যমে গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জন করা এবং সততা, বিশ্বস্ততা ও জনসেবার ব্রত নিয়ে ভৌত, আর্থিক,ইলেকট্রোনিকসহ সব ধরনের মানসম্মত সার্ভিস প্রদান করার মাধ্যমে বাংলাদেশ ডাক বিভাগকে বিশ্বমান সম্পন্ন প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করা।

মুক্ত বাংলাঃ-শহিদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী বিশ্ববিদ্যালয় চাই।


  হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর শহিদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী কাজিপুরের গর্বের একটি নাম। স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম-প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমানের খুব কাছের মানুষ। এই বিশ্বস্ততার পরিচয় কারাগারে ঘাতকের বুলেটের আঘাতে গড়িয়ে যাওয়া রক্ত পর্যন্ত অটুট ছিল। তাইতো বন্ধুপ্রতিম মনসুর আলীকে বঙ্গবন্ধু বাংলার প্রধানন্ত্রী করেছিলেন। এখনও মনসুর আলীর সন্তান ও প্রৌপুত্র মিলে জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার সাথে থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। সিরাজগঞ্জের কাজিপুরবাসির গর্বের মানুষ সেই মনসুর আলীর নামে দেশের নানাস্থানে অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। কাজিপুরেও তার কমতি নেই। কিন্তু একটি দাবী ক্রমেই কাজিপুরবাসির প্রাণের দাবীতে পরিণত হচ্ছে। জোরালো আওয়াজ উঠেছে এখন চারদিকে। শহিদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা কাজিপুরবাসির অন্যতম চাওয়ার একটি।
এই দাবী আরও বাস্তবানুগ হয়ে উঠেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিটি জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণার মধ্য দিয়ে। যেহেতু মনসুর আলী কাজিপুরের সন্তান। তার নির্বাচনি এলাকা তথা সংসদীয় আসন হলো সিরাজগঞ্জ-১ কাজিপুর, সেহেতু এই বিশ্ববিদ্যালয় শহিদ এম মনসুর আলীর নামে হবে এটাই স্বাভাবিক। আর সেটা কাজিপুরের মাটিতে প্রতিষ্ঠা হবে এটাও এখন সময়ের দাবী। আরও আশার কথা ইতোমধ্যে সিরাজগঞ্জে শহিদ এমন মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার স্থান হিসেবে মনসুর আলীর জন্মস্থান কাজিপুরে হলে সেটা একদিকে যেমন তা সময়োপযোগী পদক্ষেপ হবে অন্যদিকে দেশে তথা সারাবিশ্বে মনসুর আলীর জন্মস্থান কাজিপুর পরিচিতি লাভ করবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আরও একটি সুবিধা কাজিপুরে রয়েছে। একাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় বহু স্থাপনার জন্যে অনেক জমির প্রয়োজন হয়। কাজিপুরে রয়েছে সুবিশাল চরাঞ্চল। যেহেতু কাজিপুরে নদী শাসনের কার্যক্রম চলছে তাই ভাঙনের আর ভয় নেই। ফলে চরের অব্যবহৃত জমি সস্তায় ব্যবহারযোগ্য করা যেতে পারে। কাজিপুরের সাথে জেলা শহরসহ সিমান্তবর্তি অন্য উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক ভালো। সিরাজগঞ্জ শহর থেকে সোনামুখী পর্যন্ত ৪৩ কিমি. আঞ্চলিক মহাসড়ক রয়েছে। সেইসাথে সিরাজগঞ্জ থেকে পিপুলবাড়িয়া হয়ে সোনামুখী পর্যন্ত শহিদ এম মনসুর আলী আঞ্চলিক মহাসড়কের নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে। তাছাড়া নদীপথে যোগাযোগ ব্যবস্থাতো রয়েছেই।
এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে কাজিপুর এম মনসুর আলী সরকারী কলেজের সত্তরের দশকের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফজলুল হক মনোয়ার, সাইফুল ইসলাম পলাশী ও কাজিপুর উপজেলার ইতিহাস বইয়ের রচয়িতা আল মাহমুদ সরকার জুয়েল এই স্বপ্নের অনুভূতি কাজিপুরবাসির মনে ছড়িয়ে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জোরালো দাবী নিয়ে মাঠে নেমেছেন। তারা ইতোমধ্যে পোস্টার সেঁটেছেন কাজিপুর উপজেলা পরিষদের গেটসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। লিফলেট ছাপিয়ে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর দৃষ্টি আকর্ষণে কাজ করে চলেছেন। সম্প্রতি কাজিপুরে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে সরকারের উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে ধরা সহ এসডিজি বাস্তবায়ন সম্পর্কিত এক সভায় কাজিপুর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক- প্রভাষক আবদুল জলিল ও সাইফুল ইসলাম পলাশী মনসুর আলী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম-এর মনোযোগ আকর্ষণ করেন। তাৎক্ষণিক তিনি জানান, অনেকগুলো কলেজ কাজিপুরে আছে সেগুলো চলছে কেমন? ভালো চলছে জানতে পেরে তিনি বলেন বিষয়টি পরে দেখা যাবে।
বলাবহুল্য এই প্রথম কাজিপুরে মনসুর আলী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথা এমনি করেই আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনায় এলো। এরই মধ্যে ফজলুল হক, পলাশী ও জুয়েল কাজিপুরের প্রতিটি কলেজে, স্কুলে যাচ্ছেন এবং লিফলেট বিতরণসহ বিষয়টির গুরুত্ব ও প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্যতা তুলে ধরে সবার সহযোগিতা কামনা করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন। তারা তাদের লিফলেটে উল্লেখ করেছেন‘ …জননেত্রি শেখ হাসিনা যখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে অবিরাম কাজ করে চলেছেন এবং শিক্ষাক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য দেখিয়ে যাচ্ছেন ঠিক সেইসময় তার পাশে রয়েছেন উত্তরবঙ্গের কৃতি সন্তান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী আলহাজ্ব মোহাম্মদ নাসিম ও তার পুত্র কাজিপুরের সাবেক সাংসদ প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়। তাদের বলিষ্ট নেতৃত্বে কাজিপুরের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্মকান্ড বাস্তবায়িত হচ্ছে। আমরা কাজিপুরবাসি শহিদ এম মনসুর আলীর পরিবারের প্রতি চির কৃতজ্ঞ।
যুগের চাহিদা অনুযায়ী এবং বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর সাথে শহিদ এমন মনসুর আলীর অবদানকে চিরস্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে আমরা আমাদের প্রিয় নেতার নামে স্মৃতিবিজড়িত সংসদীয় আসন সিরাজগঞ্জ-১ কাজিপুর উপজেলায় শহিদ এম মনসুর আলী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার লক্ষ্যে তানভীর শাকিল জয় এবং মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এমপি’র মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রি শেখ হাসিনার নিকট সবিনয় দাবী জানাচ্ছি। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত কাজিপুরের ছাত্র/ছাত্রীবৃন্দ, শিক্ষকমন্ডলী, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে কর্মরত চাকুরিজীবি, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবি, শিল্পপতিসহ সুধীমন্ডলীর প্রতি আমাদের আকুল আবেদন, কাজিপুরবাসীর এই প্রাণের দাবীর প্রতি একাত্বতা ঘোষণা করুন এবং হাজারো কণ্ঠে আওয়াজ তুলুন ‘জননেতা নাসিম ভাই-প্রধান দাবী একটাই-কাজিপুরে ‘ শহিদ এম মনসুর আলী বিশ্ববিদ্যালয় চাই।

Sunday 24 September 2017

মুক্ত বাংলাঃ-লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয় যমুনা চরের নারীদের।

লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয় যমুনা চরের নারীদের।

টি এম কামাল : দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জতির যমুনা চরের সহস্রাধিক অসহায় নারী প্রকৃতির সঙ্গে নিরন্তর সংগ্রাম করছেন। প্রকৃতির নির্মমতার সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয় যমুনা চরের নারীদের। ক্ষুধা আর দারিদ্র্য তাদের নিত্যসঙ্গ। একদিকে প্রকৃতির নির্মমতা, অপরদিকে বেঁচে থাকার সোনালী স্বপ্নের হাতছানি। নদীভাঙনের করাল গ্রাস থেকে বাঁচার প্রত্যাশায় ধু-ধু মরুভূমির ন্যায় বালির পথ পেরিয়ে চলে নতুন ঠিকানার আশায়। কিন্তু প্রমত্তা নদী সেখানেও হানা দিয়ে এদের করছে সর্বস্বান্ত। পাড় ভাঙে চর ডোবে।
প্রতিনিয়তই অভাব আর সীমাহীন দারিদ্র্যতার কবলে ক্ষুধার হাহাকার। নানা রোগ-শোক জীবনকে দুর্বিষহ করলেও থেমে থাকে না মমতা বেগমের মতো হাজারো নারীর জীবন। প্রতিনিয়ত নদীভাঙন-প্লাবন এবং জীবনসংগ্রামের সঙ্গে অবিরত সংগ্রামরত বিধবন্ত হাজেরার মতো যমুনা চরের নারীরা জীবনের কাছে হার মানতে নারাজ। প্রবল ভাঙন, ভূমিক্ষয়, বার বার বন্যা, প্রচগু ঝাড়, ক্ষুধা-বঞ্চনা আর দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত উত্তর জনপদের সহস্রাধিক অসহায় নারী প্রকৃতির সঙ্গে নিরন্তর সংগ্রাম করছেন। বিশেষ করে প্রতিবছর উজানের পাহাড়ি ঢলে যমুনা-ব্রক্ষপুত্র-তিস্তা-ভয়স্করী রুপ ধারণ করে। বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের হাজার হাজার ঘরবাড়ি, শস্যক্ষেত বানের পানিতে তলিয়ে যায়। চর ডোবে, পাড় ভাঙে।
এতে আয়-রোজগারহীন দরিদ্র ভূমিহীন হাজার হাজার নারীর জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে প্রতিবছরের আশ্বিন-কার্তিক মাসে চরাঞ্চলে কাজের অভাবে শুরু হয় মঙ্গা। এ সময় নৌ-চলাচল, মাছ ধরা এবং থাকে না কোনো ক্ষেতের ফসল অথবা দিনমজুরের কাজ। এ কারণে কাজের সন্ধ্যানে অনেকে শহরের আসেন। নিরুপায় অনেকেই ঘরের টিন, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি বিক্রি করে কিছুদিন সংসার চালান। ভূমিহীন নিঃস্ব দিনমজুররা কচু-ঘেচু খেয়ে অর্ধহারে-অনাহারে মানবেতর জীবন কাটান। দীর্ঘদিনের অনাহার ও অপুষ্টিজনিত কারণে রোগাক্রান্ত হয়ে অনেক নারী, শিশু ও বয়স্ক লোকের অকাল মৃত্যু ঘটে। নদীভাঙনে বার বার বসতবাড়ি স্থানান্তর এদের নিত্যসঙ্গী।
প্রতিদিন ইঞ্চি ইঞ্চি ভাঙন নিঃস্ব করছে হাজার হাজার চরবাসীকে। তবুও চরের মাটি কামড়ে পড়ে আছেন তারা। যমুনার বিভিন্ন চর ঘুরে জানা গেছে নারীদের বেঁচে থাকার সংগ্রামী কথা। প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকতে হয় তাদের। জীবনের অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত যমুনার চরের হাজার হাজার নারী আজ নানা সামাজিক বঞ্চনায় দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন। অসুস্থ হলে নেই দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা। ঝাড়-ফুঁক আর কবিরাজের ওপর নির্ভর তাদের জীবন। ছেলে-মেয়েদের জন্য নেই ভাল শিক্ষার ব্যবস্থা। চরের অন্যের জমিতে চাষাবাদ করছেন অনেকে। সারাদিনে যা রোজগার হয়, তাতে চলে না কারও সংসারই। বার বার প্রমত্তা যমুনার সঙ্গে লড়াই করে চরের নারীরা ক্লান্ত। বেঁচে থাকার জন্য জন্য যখন স্বপ্ন দেখেন, তখনই আঘাত হানে রাক্ষুসী যমুনা।

মুক্ত বাংলাঃ-ঐতিহ্যবাহী কাজিপুরের সোনামুখী মেলাকে ঘিরে সাজ সাজ রব!


 টি এম কামাল্: আগামী ২৬ সেপ্টোম্বর থেকে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সোনামুখীতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেলার ২৪২ তম ঐতিহ্যবাহী সোনামুখী মেলা। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রায় ২৪১ বছর ধরে সোনামুখীতে প্রতি বছরই এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এক সময়কার প্রবাহমান ইছামতি নদীর তীর ঘেঁষে এই মেলা প্রাচীনকাল থেকেই প্রচুর জনসমাবেশ হত।
বর্তমানে প্রবাহমান নদী না থাকলেও মেলার বুক চিরে সিরাজগঞ্জ সোনামুখী ভায়া বগুড়ার ধুনট-শেরপুর হয়ে আন্তঃজেলা সড়ক থাকার কারণে মেলাটির গুরুত্ব একটুও কমেনি। এর ফলে স্থানীয় লোকজন ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা বেচাকেনার উদ্দেশ্যে মেলাতে তাদের দ্রব্যসামগ্রী নিয়ে আসে। আসন্ন মেলাকে ঘিরে ইতিমধ্যে মেলার আশপাশের ২০/২২টি গ্রামের লোকজনের মধ্যে পড়ে গেছে সাজ সাজ রব! স্থানীয় লোকজন এই মেলা থেকে আসবারপত্র, দা, কাঁচি, ছুরিসহ সংসারের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী ক্রয় করে থাকে। এছাড়াও মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকের মধ্যে তাদের বৌ-ঝি, জামাই আদর আপ্যায়ন, ধুতী, পাঞ্জাবী, জামা-কাপড়, ছাতি, পাটা দেয়া-নেয়া বাঙালী জাতির হারানো ঐতিহ্যকে স্মরণ করে দেয়। মেলায় চিত্ত বিনোদনের জন্য যাত্রা, সার্কাস ও ঘোড় দৌড়ের ব্যবস্থা থাকে। মেলা থেকে সরকার প্রতিবছর বিপুল অংকের রাজস্ব পেয়ে থাকে। মেলার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য মেলা কমিটি পুলিশের পাশাপাশি একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেলার ইজারাদার ও কাজিপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সেলিম হোসেন।

মুক্ত বাংলাঃ-কাজিপুরে সিমান্ত বাজার গ্রামবাসীর বাঁশের সাঁকোই ভরসা



 টি এম কামাল :-একটি সেতুর অভাবে সিমান্ত বাজার গ্রামের মানুষ বছরের পর বছর ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোতে যাতায়াত করছেন। সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার শুভগাছা ইউনিয়নের সিমান্ত গ্রাম এলাকায় প্রায় চার হাজার মানুষের বসবাস। খালের ওপর সেতু না থাকায় গ্রামবাসী বাঁশের তৈরি সাঁকোয় চলাচল করছে প্রায় বারো মাস।
মূলত বর্ষাকালে গ্রামবাসী শুভগাছা ওয়াপদা বাঁধ থেকে নৌকায় সিমান্ত বাজারে আসতে হতো। পরবর্তী সময়ে সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর ও রতনকান্দি-সিমান্ত সড়ক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রাম ও বাজারটি চিত্র পাল্টে যায়। কিন্তু যোগাযোগ ও যাতায়াতে সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও গ্রাম থেকে বের হয়ে সড়কে উঠতে গ্রামবাসীর তৈরি করা কাটা খালের ওপর একটি বাঁশের সাঁকো এখনও তাদের একমাত্র ভরসার চিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আবার এ সাঁকোই তাদের দুর্ভোগের কারণ। এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন গ্রামবাসীকে যাতায়াতের ভোগান্তি পোহাতে হয়।
শুভগাছা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য বিমল চন্দ্র হাওয়ালদার ও সাবেক ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিন জানান, ঘনবসতিপূর্ণ শুভগাছা গ্রামের কৃষকদের অধিকাংশ ফসলি জমি সড়কের পূর্ব মাঠ হওয়ায় ফসল ঘরে তুলতে এবং বাজারজাত করতে কৃষিনির্ভর এসব মানুষের বহু বছর ধরে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। বিশেষ করে প্রতিবছর বোরো মৌসুম, রবিশস্য আবাদ ছাড়াও পেঁয়াজ, রসুন, ভুট্টা, গমসহ সব ধরনের ফসল আনা-নেওয়া নিয়ে পুরো গ্রামের মানুষকেই ভোগান্তিতে পড়তে হয় একটি সেতুর অভাবে। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলেজ, ব্যাংক, ইউনিয়ন পরিষদসহ অন্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীকে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোতেই পারাপার হতে হয়। সিমান্ত বাজার গ্রামের একমাত্র প্রবেশপথ এ খালে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে একটি সেতু নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।
কাজিপুর উপজেলা প্রকৌশলী বাবুল মিয়া জানান, ওই গ্রামের বাঁশের সাঁকোর কাছে একটি সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। অর্থপ্রাপ্তি সাপেক্ষে তা বাস্তবায়ন করা হবে।

মুক্ত বাংলাঃ-কাজিপুরে ১৫টি মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে


সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে ১৫টি মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
এগুলো হলো-আলমপুর চৌরাস্তা পবিত্র কুমার তরফদারের বাড়ীতে পৌর সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, পরিমল কুমার তরফদারের বাড়ীতে সার্বজনীন দৃর্গা মন্দির, হালদার পাড়া পৌর সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, খুদবান্দি সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, মেঘাই সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, কুককুনিয়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, সোনামুখী শ্রী-শ্রী দুর্গা মাতা মন্দির, গুর্জিয়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, চরকাদহ দক্ষিণ পাড়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, চরকাদহ উত্তর পাড়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, হরিনাথপুর শ্রী-শ্রী দুর্গা মন্দির, ভানুডাঙ্গা সার্বজনীন কালি মন্দির, গোপাল ঘোষ বহিরবাটি সার্বজনীন শ্রী-শ্রী কালি মন্দির ও গান্ধাইল সার্বজনীন শ্রী-শ্রী কালি মন্দির পূজা উদযাপন হবে।
যে কোন পূজা মন্ডপে অপ্রীতিকর ঘটনার উদ্ভব হলে তা সাথে সাথে প্রশাসনকে অবহিত করার জন্য ০১৭১৩-৩৭৪০৪৩ নম্বরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ অনুরোধ করা হলো। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিñিদ্র নিরাপত্তা দেওয়ার আহবান জানিয়ে ইউএনও শফিকুল ইসলাম বলেন, সকলকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।

মুক্ত বাংলাঃ-কাজিপুরে ওএমএসের চাল বিক্রয়ের উদ্বোধন


 টি এম কামাল : আজ থেকে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে খাদ্য অধিদপ্তর পরিচালিত খোলাবাজারে ও এম এস-এর চাল বিক্রয় শুরু হয়েছে। এই চাল বিক্রয়ের জন্য উপজেলায় ৬ জন ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। প্রতিদিন ৩ জন করে ডিলার মোট ১ মেঃটন করে চাউল উত্তোলন করে ৩০ টাকা কেজি দরে ২ দিনব্যাপি চাউল বিক্রয় করতে পারবে। স্থানীয় মেঘাই নতুন বাজারে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম। এসময় ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বেল্লাল, কাজিপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান টি,এম আতিকুর রহমান নান্নু, খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন, সহকারি উপ-খাদ্য পরিদর্শক হাফিজুর রহমান, ডিলার টি এম শফিকুল ইসলাম শফি প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

 

Friday 22 September 2017

মুক্ত বাংলাঃ-শিক্ষাজয়ে আ.লীগ সরকার দ্রুত কাজ করছে



সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় বলেছেন শিক্ষা জয়ে আ.লীগ দ্রুত কাজ করছে। এ কারণে দেশে শিক্ষিত লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে যা আগামীর উন্নত দেশ গড়তে আমাদের প্রয়োজন।
তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ারোধে উপবৃত্তি প্রদান, বিনামূল্যে বই প্রদান সহ উন্নত পরিবেশে লেখাপড়া নিশ্চিত করার জন্য সরকার কাজ করছে। আর এর অংশ হিসাবেই কাজীপুরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে কাজীপুরের গান্ধাইল উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত তিনতলা ভবনের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জয় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
বিদ্যালয়ের সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতা আলহাজ্ব শাহ আলমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা শফিকুল ইসলাম, উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার বাবলু মিয়া, উপজেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক খলিলুর রহমান, গান্ধাইল ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম, আ,লীগ নেতা শহিদ সরোয়ার, যুবলীগ নেতা হায়দার আলী, সাংবাদিক শাহজাহান আলী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কাজীপুর শাখার সাধারন সম্পাদক বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক আমস-ই-ইলাহী অনু, প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। এরপর একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রভাষক ও সাংবাদিক আব্দুল জলিল, বিশেষ অতিথি আলহাজ্ব শাহ আলম, রাশেদ মিয়া, মুকুল, সুইটি, মিনাসহ স্থাণীয় শিল্পীগণ


সূত্রঃ- যমুনাবার্তা নিউজ

মুক্ত বাংলাঃ-কাজিপুর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ টাকা ও টিন বিতরণ করেন - সাবেক সাংসদ জয়

পারভেজ আহমেদঃ-সিরাজগঞ্জের কাজিপুর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ টাকা ও টিন বিতরণ করেন - সাবেক সাংসদ প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়। শুক্রবার (২২শেষ সেপ্টেম্বর) কাজিপুরের ছয়টি ইউনিয়নের বন্যার্ত ঘর বাড়ী হারানো মানুষের নতুন করে বসবাস করার জন্য কাজিপুর উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে তিন লক্ষ্য ত্রিশ হাজার টাকা ও একশত বিশ বান টিন বিতরণ করেন প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় (সাবেক এমপি, সিরাজগঞ্জ-১)

এসময় উপস্থিত ছিলেন কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম, উপজেলা ভাইজ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রাহমান, কাজিপুর উপজেলা পিআইও, স্বস্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সহ কাজিপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতৃবৃন্দ।
 

Wednesday 20 September 2017

মুক্ত বাংলাঃ-সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে যমুনার চরে জলদস্যু আতঙ্কে চরাঞ্চলে মানুষ।



 কাজিপুর থেকে টি এম কামালঃ-
যমুনা নদীতে পানি বাড়ার ও কমার সময় জলদস্যু আতঙ্কে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলে বসবাসকারী দেড় লাখ মানুষ। যমুনার বুকে জেগে ওঠা নাটুয়ারপাড়া চর ছাড়া ৫২টি চরের কোনোটিতে পুলিশ ক্যাম্প না থাকায় বিচ্ছিন্ন এসব জনপদে রাত নামলেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। অন্য মালপত্রের চেয়ে গরু ও ছাগলের দিকে জলদস্যুদের নজর বেশি থাকে বলে অনেকে রাতে দলবেঁধে গোয়ালঘর পাহারা দেওয়া শুরু করেছেন। এদিকে, মনসুরনগর ইউনিয়নের কুমারিয়াবাড়ীতে চরে একটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের জন্য সাত বছর আগে প্রস্তাব পাঠানো হলেও তা এখনও আলোর মুখ দেখেনি।
এলাকাবাসী জানান, বর্ষা মৌসুমে, অর্থাৎ জুলাই-আগস্ট মাসে বৃষ্টি আর উজানের পানিতে যমুনা নদী ফুলে-ফেঁপে ওঠে। তবে অব্যাহত ভাঙনের কারণে কাজিপুর উপজেলার মূল ভূখগু ক্রমে ছোট হয়ে আসছে আর বাড়ছে চরের পরিধি। ফলে ৩২৮.১৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের অর্ধেকটাই এখন চরবেষ্টিত হয়ে পড়েছে। ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টি পুরোপুরি এবং আরও ৪টি ইউনিয়নের আংশিক এলাকা নিয়ে জেগে ওঠা চরাঞ্চলে বর্ষাকালে নৌকা নিয়ে দ্রুত যাতায়াত করা যায় বলে এ সময় জলদস্যুদের তৎপরতা বেড়ে যায়। রাত নামলেই তারা চরগুলোতে হানা দিতে শুরু করে। শুধু চরাঞ্চলেই নয়, দিনের বেলায়ও তারা অস্ত্রের মুখে মাঝনদীতে যাত্রী ও মালবোঝাই নৌকা আটকে সর্বস্ব লুটে নেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই দস্যুরা সটকে পড়ে। পুলিশের রেকর্ড এবং ভুক্তভোগীদের বর্ণনা অনুযায়ী, গত এক দশকে চরাঞ্চল ও মাঝনদীতে এ ধরনের ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের অর্ধশত ঘটনা ঘটেছে।
চরাঞ্চলে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় ডাকাতি হয় তিন বছর আগে ২০১৪ সালের জুলাই রাতে। সেবার ৪০-৫০ জনেরসশস্ত্র ডাকাত দল বাটিয়ার চরে হানা দিয়ে অস্ত্রের মুখে লোকজনকে জিম্মি করে ৩৫টি গরুসহ ১২ লাখ টাকার মালপত্র লুট করে। বাধা দিতে গিয়ে ডাকাতদের গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এক সাতজন আহত হন। জলদস্যুরা পরের বছরের ১৫ জুন সন্ধ্যায় মাঝনদীতে হানা দিয়ে যাত্রীবাহী নৌকা আটকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ প্রায় আট লাখ টাকার মালপত্র লুট করে। একই বছরের যাত্রীবাহী নৌকাতে ডাকাতির সময় পুলিশের গুলিতে প্রায় ৫/৭ জন ডাকাত নিহত হয়েছে বলে পুলিশের ধারণা।
নদীপথে ৫ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের চরগুলোতে জানমালের নিরাপত্তায় স্থায়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের দাবি দীর্ঘদিনের। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ প্রশাসনের প থেকে একাধিকবার আশ্বাসও দেওয়া হয়। মনসুরনগর উনিয়নের কুমারিয়াবাড়ী চরে একটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনে প্রস্তাব পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফলে জলদস্যুরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। চরবাসীও তাদের কাছে কার্যত জিম্মি হয়ে পড়েছেন।
মাজনাবাড়ী ও চরছিন্না গ্রামের আমিনুল ইসলাম ইসলাম মাষ্টার, কামাল উদ্দিন মাষ্টার, নূরু হোসেন জানান, চরে যাদের গরু আছে, তারা এখন রাত জেগে গোয়ালঘর পাহারা দিচ্ছেন। তারা বলেন, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম এলেই গরু-ছাগল রার জন্য পাহারা দিতে হয়। তারপরও অনেক সময় ডাকাতি ঠেকানো যায় না। কারণ, ডাকাতদের হাতে অস্ত্র থাকে।' ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ওফরে রাজমহর স্বীকার করেন, নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় চরের লোকজনের মধ্যে ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পাশের বোহাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ ও খাসরাজী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী জানান, বগুড়া ও জামালপুর জেলার সীমানাসংলগ্ন চরের মানুষও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। তিনি বলেন, 'চরে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগের কথা অনেক দিন ধরেই শুনছি, কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। ফলে চরের মানুষ পুরোপুরি নিরাপত্তাহীন। নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী আব্দুল মান্নান চাঁন ও চরগিরিশ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহুরুল হক মিন্টু জানান, মাঝেমধ্যে পুলিশ দিনের বেলায় নৌকা নিয়ে টহল দেয়, কিন্তু সেটা পর্যাপ্ত নয়।
কাজিপুর থানার ওসি সমিত কুমার কুন্ডু জানান, পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে এখনও কোনো অগ্রগতি হয়নি। নৌকায় চলাচলকারী মানুষ এবং চরবাসীর নিরাপত্তায় নদীতে তাদের টহল কার্যক্রম চালু রয়েছে। তবে জনবল সংকটের কারণে তা নিয়মিতভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না। ওসি বলেন, জনবল সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপকে জানানো হয়েছে। আশা করি, জনবল পাওয়া যাবে এবং টহলও বাড়ানো সম্ভব হবে।
   
 

Sunday 17 September 2017

মুক্ত বাংলাঃ-কাজিপুরবাসির প্রাণের দাবী শহিদ এম মনসুর আলী বিশ্ববিদ্যালয়




  হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর শহিদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী কাজিপুরের গর্বের একটি নাম। স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম-প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমানের খুব কাছের মানুষ। এই বিশ্বস্ততার পরিচয় কারাগারে ঘাতকের বুলেটের আঘাতে গড়িয়ে যাওয়া রক্ত পর্যন্ত অটুট ছিল। তাইতো বন্ধুপ্রতিম মনসুর আলীকে বঙ্গবন্ধু বাংলার প্রধানন্ত্রী করেছিলেন। এখনও মনসুর আলীর সন্তান ও প্রৌপুত্র মিলে জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার সাথে থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। সিরাজগঞ্জের কাজিপুরবাসির গর্বের মানুষ সেই মনসুর আলীর নামে দেশের নানাস্থানে অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। কাজিপুরেও তার কমতি নেই। কিন্তু একটি দাবী ক্রমেই কাজিপুরবাসির প্রাণের দাবীতে পরিণত হচ্ছে। জোরালো আওয়াজ উঠেছে এখন চারদিকে। শহিদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা কাজিপুরবাসির অন্যতম চাওয়ার একটি।
এই দাবী আরও বাস্তবানুগ হয়ে উঠেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিটি জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণার মধ্য দিয়ে। যেহেতু মনসুর আলী কাজিপুরের সন্তান। তার নির্বাচনি এলাকা তথা সংসদীয় আসন হলো সিরাজগঞ্জ-১ কাজিপুর, সেহেতু এই বিশ্ববিদ্যালয় শহিদ এম মনসুর আলীর নামে হবে এটাই স্বাভাবিক। আর সেটা কাজিপুরের মাটিতে প্রতিষ্ঠা হবে এটাও এখন সময়ের দাবী। আরও আশার কথা ইতোমধ্যে সিরাজগঞ্জে শহিদ এমন মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার স্থান হিসেবে মনসুর আলীর জন্মস্থান কাজিপুরে হলে সেটা একদিকে যেমন তা সময়োপযোগী পদক্ষেপ হবে অন্যদিকে দেশে তথা সারাবিশ্বে মনসুর আলীর জন্মস্থান কাজিপুর পরিচিতি লাভ করবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আরও একটি সুবিধা কাজিপুরে রয়েছে। একাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় বহু স্থাপনার জন্যে অনেক জমির প্রয়োজন হয়। কাজিপুরে রয়েছে সুবিশাল চরাঞ্চল। যেহেতু কাজিপুরে নদী শাসনের কার্যক্রম চলছে তাই ভাঙনের আর ভয় নেই। ফলে চরের অব্যবহৃত জমি সস্তায় ব্যবহারযোগ্য করা যেতে পারে। কাজিপুরের সাথে জেলা শহরসহ সিমান্তবর্তি অন্য উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক ভালো। সিরাজগঞ্জ শহর থেকে সোনামুখী পর্যন্ত ৪৩ কিমি. আঞ্চলিক মহাসড়ক রয়েছে। সেইসাথে সিরাজগঞ্জ থেকে পিপুলবাড়িয়া হয়ে সোনামুখী পর্যন্ত শহিদ এম মনসুর আলী আঞ্চলিক মহাসড়কের নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে। তাছাড়া নদীপথে যোগাযোগ ব্যবস্থাতো রয়েছেই।
এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে কাজিপুর এম মনসুর আলী সরকারী কলেজের সত্তরের দশকের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফজলুল হক মনোয়ার, সাইফুল ইসলাম পলাশী ও কাজিপুর উপজেলার ইতিহাস বইয়ের রচয়িতা আল মাহমুদ সরকার জুয়েল এই স্বপ্নের অনুভূতি কাজিপুরবাসির মনে ছড়িয়ে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জোরালো দাবী নিয়ে মাঠে নেমেছেন। তারা ইতোমধ্যে পোস্টার সেঁটেছেন কাজিপুর উপজেলা পরিষদের গেটসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। লিফলেট ছাপিয়ে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর দৃষ্টি আকর্ষণে কাজ করে চলেছেন। সম্প্রতি কাজিপুরে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে সরকারের উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে ধরা সহ এসডিজি বাস্তবায়ন সম্পর্কিত এক সভায় কাজিপুর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক- প্রভাষক আবদুল জলিল ও সাইফুল ইসলাম পলাশী মনসুর আলী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম-এর মনোযোগ আকর্ষণ করেন। তাৎক্ষণিক তিনি জানান, অনেকগুলো কলেজ কাজিপুরে আছে সেগুলো চলছে কেমন? ভালো চলছে জানতে পেরে তিনি বলেন বিষয়টি পরে দেখা যাবে।
বলাবহুল্য এই প্রথম কাজিপুরে মনসুর আলী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথা এমনি করেই আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনায় এলো। এরই মধ্যে ফজলুল হক, পলাশী ও জুয়েল কাজিপুরের প্রতিটি কলেজে, স্কুলে যাচ্ছেন এবং লিফলেট বিতরণসহ বিষয়টির গুরুত্ব ও প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্যতা তুলে ধরে সবার সহযোগিতা কামনা করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন। তারা তাদের লিফলেটে উল্লেখ করেছেন‘ …জননেত্রি শেখ হাসিনা যখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে অবিরাম কাজ করে চলেছেন এবং শিক্ষাক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য দেখিয়ে যাচ্ছেন ঠিক সেইসময় তার পাশে রয়েছেন উত্তরবঙ্গের কৃতি সন্তান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী আলহাজ্ব মোহাম্মদ নাসিম ও তার পুত্র কাজিপুরের সাবেক সাংসদ প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়। তাদের বলিষ্ট নেতৃত্বে কাজিপুরের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্মকান্ড বাস্তবায়িত হচ্ছে। আমরা কাজিপুরবাসি শহিদ এম মনসুর আলীর পরিবারের প্রতি চির কৃতজ্ঞ।
যুগের চাহিদা অনুযায়ী এবং বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর সাথে শহিদ এমন মনসুর আলীর অবদানকে চিরস্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে আমরা আমাদের প্রিয় নেতার নামে স্মৃতিবিজড়িত সংসদীয় আসন সিরাজগঞ্জ-১ কাজিপুর উপজেলায় শহিদ এম মনসুর আলী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার লক্ষ্যে তানভীর শাকিল জয় এবং মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এমপি’র মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রি শেখ হাসিনার নিকট সবিনয় দাবী জানাচ্ছি। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত কাজিপুরের ছাত্র/ছাত্রীবৃন্দ, শিক্ষকমন্ডলী, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে কর্মরত চাকুরিজীবি, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবি, শিল্পপতিসহ সুধীমন্ডলীর প্রতি আমাদের আকুল আবেদন, কাজিপুরবাসীর এই প্রাণের দাবীর প্রতি একাত্বতা ঘোষণা করুন এবং হাজারো কণ্ঠে আওয়াজ তুলুন ‘জননেতা নাসিম ভাই-প্রধান দাবী একটাই-কাজিপুরে ‘ শহিদ এম মনসুর আলী বিশ্ববিদ্যালয় চাই।

রিপটঃ- টি এম কামাল

মুক্ত বাংলাঃ-কাজিপুরে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা: ঘাতক স্বামী গ্রেফতার


  সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের কাচিহারা গ্রামে যৌতুকের দাবীতে মারপিটে আহত করার ঘটনায় মিনতি খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধু মারা গেছে। হত্যাকান্ডে নিহতের স্বামীর জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় পুলিশ গৃহবধুর স্বামীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, বগুড়ার ধুনট উপজেলার চরপাড়া গ্রামের কাজেম উদ্দীনের মেয়ে মিনতির খাতুনের (২৫) প্রায় ৮-৯ বছর আগে সিরাজঘ্জের কাজিপুর উপজেলার কাচিহারা গ্রামের সাগর আলীর ছেলে কামরুল হাসানের (২৮) সাথে বিয়ে হয়। সংসার জীবনের তাদের দুই সন্তান রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে কামরুল হাসান মিনতি খাতুনের পরিবারের নিকট ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবী করে আসছিলেন। কিন্তু যৌতুকের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় কামরুল হাসান প্রায়ই তাকে মিনতিকে মারধর করতেন। এক পর্যায় গত ২৮ আগষ্ট রাতে কামরুল হাসান তার স্ত্রী মিনতিকে মারপিট করেন। এসময় মিনতি খাতুন মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে গুরুতরভাবে আহত হন। খবর পেয়ে মিনতির পরিবারের লোকজন গত ৩০ আগষ্ট তাকে চিকিৎসার জন্য বগুড়া ডক্টরস ক্লিনিকে ভর্তি করেন। পরে বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে মিনতি খাতুন আবারো স্বামীর পরিবারে ফিরে যান। গত ১২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মিনতি খাতুন মারা যান। খবর পেয়ে কাজিপুর থানা পুলিশ ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে মিনতির লাশ তার স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। এই ঘটনায় মিনতির বড় ভাই মিজানুর রহমান বাদি হয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ কামরুল হাসানকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠান। কামরুল হাসানের বড় ভাই আমিুনল ইসলাম বলেন, মিনতি খাতুন মারা যাওয়ার সময় আমি ও আমার ছোট ভাই কামরুল হাসান বাড়িতে ছিলাম না। মিনতি আগে থেকে অসুস্থ ছিল। তাই সে বাড়ির ওঠান থেকে ঘরে ফেরার সময় পা ফসকে মাটিতে পড়ে মাথায় ও বুকে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মার গেছে। স্বামীর-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি ও মারধরে সবার সংসার জীবনেই ঘটে। নিহত মিনতির বড় ভাই মামলার বাদি মিজানুর রহমান বলেন, কামরুল হাসান ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবীতে তার বোনকে অমানুষিক নির্যাতন ও শারীরিকভাবে মারপিট করা হয়েছে। সেই মারপিটের সময় মিনতি মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে নিহত হয়েছে।
কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সমিত কুমার কুন্ডু বলেন, স্বামীর নির্যাতনে গৃহবধুর মৃত্যুর খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তার স্বামীকে আটক করা হয়েছে। পরে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


রিপটঃ-টি এম কামাল

Saturday 16 September 2017

মুক্ত বাংলাঃ-মাইজবাড়ী সাবেগ চেয়ারম্যান বাড়িতে মণিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ত্রান বিতরন।


মাইজবাড়ীতে মণিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৫ ব্যাচের উদ্যোগে বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে ত্রান বিতরনের করা হয়। মাইজবাড়ী ইউনিয়নের সাবেগ চেয়ারম্যান তালুকদার জাহাঙ্গির আলম সাহেবের বাড়িতে এই ত্রান বিতরন করা হয়। এসময় ৩৫০ টি পরিবারের মাঝে চাল,ডাল,তেল,লবণ,আলু,সাবান ও খাবার স্যালাইন প্রদান করা হয়।


 কাজিপুরের  বন্যা কবলিত গরীব দুঃখী মানুষের পাশে থাকার জন্য মাইজবাড়ী ইউনিয়নের সাবেগ চেয়ারম্যান তালুকদার জাহাঙ্গির আলম সাহেবের   মণিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৫ ব্যাচকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
 

মুক্ত বাংলাঃ-কাজীপুরে ঘরে আগুন দিয়ে,পুত্রের নামে মামলা দায়ের!

 

চলছে অনীয়ম চলছেই।
এবারে ছেলের বসতঘরে আগুন লেগে পুড়ে যাবার ঘটনায় উল্টো ছেলেও নামে মামলা করেছেন হাজরাহাটি গ্রামের হায়দার আলীর স্ত্রী চায়না খাতুন। শনিবার দুপুরে কাজীপুর প্রেসক্লাবে চায়না খাতুনের পুত্র মামলার বিবাদী বাবলু অভিযোগ অস্বীকার করে প্রকৃত ঘটনার লিখিত বর্ণনা দেন।
তিনি জানান, গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে আমার নিজ দখলীয় এবং আমার নামে বৈদ্যুতিক মিটার সংযুক্ত একটি টিনের তালাবদ্ধ ঘরে কে বা কারা আগুন দেয়। এতে ওই ঘরটি পুড়ে যায়। ঘটনার আগে থেকেই তিনি অন্যগ্রামে বাস করার কারণে তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে কিছু জানতে পারেননি। পরদিন এই বিষয়ে তার বাবা ও মা সিরাজগঞ্জ আদালতে বাবলুসহ ১৪ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। বাবলু আরও জানান, তার বাবা মোট সাতটি বিয়ে করেছেন। তিবি অত্যন্ত বদমেজাজী। ইতোপূর্বে তাকে অনেকবার শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। তার কাজই হচ্ছে কাউকে মামলায় জড়িয়ে টাকা আদায় করা। ইতোপূর্বে তার নিজ দখলীয় জমি হুকুম দখল হলে তার বাবা ওই জমির টাকার জন্যে আবেদন করে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ অনেক যাচাই বাছাই শেষে ওই জমির টাকার চেক তাকে প্রদান করেন। অথচ মামলায় সেই বিষয়ে বাবলুকেই দোষী করে আর্জি পেশ করা হয়েছে। তিনি জানান, ঘটনার রাতে আমি ওই বাড়িতেই ছিলাম না। তাছাড়া আমার নিজ ঘরে আগুন দেয়ার কোন প্রশ্নই ওঠেনা। বর্তমানে পুড়ে যাওয়া ঘর বাবলুর বাবা-মা নিজের দাবী করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই ঘরের দলিল আমার নিজের নামে রয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হলে আসল সত্য বেরিয়ে আসবে বলেও তিনি জানান। হয়রানী বন্ধে তিনি সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্ঠি আকর্ষণ করেছেন।



সূত্রঃ-যমুনাবার্তা নিউজ

মুক্ত বাংলাঃ-কাজীপুরে জমি নিয়ে বিরোধে কৃষকের ঘর পুড়ে ছাই


 হাজরাহাটি গ্রামে দুটো আগুন লাগার ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারপিটের ঘটনায় বেশ কজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। প্রতিপক্ষের লোকজন পুড়ে দিয়েছে হতদরিদ্র কৃষক সাহেব আলীর একমাত্র থাকার ঘর। বেশকটি আমগাছ কেটে ফেলেছে এবং ঘরের সোলার প্যানেল খুলে নিয়ে গেছে।


  সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, হাজরাহাটি গ্রামের সাহেব আলী মৃত পিতা তার জীবদ্দশায় প্রতিবেশি নান্নু গংদের নিকট ১১ শতক জমি বিক্রি করে যান। কিন্তু তারা ওই দাগের ১৭ শতক জমি ভোগদখল করে আসছে। সম্প্রতি বিষয়টি প্রকাশ পেলে সাহেব আলী কিছুদিন পূর্বে ওই জমিতে একটি ঘর উঠান। এবং বেশকিছু আমের চারা লাগান। গত বুধবার সকালে এ নিয়ে নান্নু ও সাহেব আলীর পরিবারের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। নান্নু ও তার ভাড়ালে লোকজনের মারপিটে সাহেব আলীর স্ত্রী সোনিয়াসহ বাদশা, নূরজাহান, মালেক ও রোকেয়া মারাত্মক আহত হন। বর্তমানে তারা কাজীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কাজীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সমিত কুমার কুন্ডু জানান, এ ব্যাপারে কেউ জানায়নি। জানালে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সূত্রঃ- যমুনাবার্তা নিউজ

Friday 15 September 2017

মুক্ত বাংলাঃ-শিক্ষা ক্ষেত্রে সিরাজগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ।



২০১৬-১৭ অর্থ বছরে প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখায় সিরাজগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন কাজিপুর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম।

বিদ্যুৎ বিহীন চরাঞ্চলে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে ডিজিটাল মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ ও মেরামত কাজের গুণগতমান বজায় রাখতে নিয়মিত পরিদর্শন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, ঝড়ে পড়া রোধে টিফিন বক্স বিতরণ, জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়ের বিশেষ টিআর কর্মসূচীর মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, এলজিএসপি-২ প্রকল্পের মাধ্যমে স্কুল ব্যাগ, বেঞ্চ বিতরণ ইত্যাদি কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রাথমিক শিক্ষায় জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শফিকুল ইসলাম প্রাথমিক শিক্ষায় সিরাজগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হওয়ায় কাজিপুর উপজেলার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সম্মানিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ তাকে আন্তরিক প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন।

মুক্ত বাংলাঃ-কাজীপুরে গর্ভবতী মায়েদের চিকিৎসা ও পুষ্টিকর খাবার প্রদান


  মানুষ মানুষের জন্যে/ জীবন জীবনের জন্যে.... এই কথাটির বাস্তবতায় আজ কাজ করলেন তারা।
কাজীপুরের নাটুয়ারপাড়া চরের বানভাসী গর্ভবতী মায়েদের মধ্যে চিকিৎসা, পুষ্টিকর খাবার ও ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রেহাইশুড়িবেড় কমিউনিটি ক্লিনিকে এই সেবা প্রদান করা হয়। কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ অফিসারের সহযোগিতায় শিমুলদাইড় ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, নব উদয়ন সংঘ ও দি ফ্রেন্ডস আ্যাসোসিয়েশন এই সেবার আয়োজন করে। এসময় মায়েদের চিকিৎসাসেবা ও করণীয় সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন উপ সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মাকসুদা পারভীন, স্বাস্থ্য সহকারি জাহাঙ্গীর আলম, এসডিওর নির্বাহী পরিচালক শাহিন আলম, সভাপতি জিয়াউর রহমান, নব উদয়নের নির্বাহী পরিচালক গোলাম ফারুক, ফ্রেন্ডস আ্যসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম প্রমূখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন এসডিওর তথ্য সম্পাদক মিজান রহমান, নব উদয়নের সহসভাপতি আব্দুস সাত্তার, ফ্রেন্ডস আ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি কামাল পাশা, সাজেদুর রহমান স্বপন প্রমূখ।



((যমুনাবার্তা নিউজ))

মুক্ত বাংলাঃ-কাজিপুরে আ.লীগের আনন্দ মিছিল ।

 

নদী রক্ষায় ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদনে আ.লীগের আনন্দ মিছিল -
সিরাজগঞ্জে কাজিপুরে নদীর রক্ষার কাজের জন্য পাঁচশত কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে কাজিপুর ইউনিয়ন থেকে গান্ধাইল হয়ে শুভগাছা ইউনিয়ন পর্যন্ত নদী রক্ষার কাজ করা হবে। এ খবর পাওয়ার পরে কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক আনন্দ মিছিল বের করা হয়।

মিছিলে অংশগ্রহণ করেন- কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রাহমান, কাজিপুর পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক উজ্জল কুমার, যুবলীগের সহ সভাপতি হেলাল উদ্দিন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহিন রেজা সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেছসেবকলীগের নেতৃবৃন্দ।



রিপটঃ-পারভেজ আহমেদ,

Thursday 14 September 2017

মুক্ত বাংলাঃ-সোনামুখী স্কুল মাঠে জলাবদ্ধতা. ভোগান্তি চরমে




কাজীপুরে ঐতিহ্যবাহী সোনামুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও সোনামুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিদিন হাঁটু পানি পেরিয়ে আসা-যাওয়া কষ্টের ফলে ইতোমধ্যেই অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।
জানা গেছে, সোনামুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও সোনামুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্
যালয়টি সোনামুখী ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন স্থানে স্থাপিত হয়। শুরুতে এখানে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকায় কোন সমস্যা হয়নি। এরপর বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে উচুঁ পাকা রাস্তা নির্মিত হয়। রাস্তা সংলগ্ন ডোবাটিও ভরাট করা হয়। এরফলে পানি নিষ্কাশনে সমস্যা দেখা দেয়।
এবছর এই সমস্যা প্রকট আকার ধারন করেছে। সামান্য বৃষ্টিতেই বিদ্যালয় মাঠে হাঁটু পানি জমে যায়। নিষ্কাশনের কোন পথ না পেয়ে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীর ছাত্রী সাথী খাতুন, আসমা খাতুন, ছাত্র শাহীন আলম, শফিকুল ইসলাম জানায়, প্রতিদিন নোংরা পানি মাড়িয়ে স্কুলে আসতে খুব কষ্ট হয়।
কাজীপুর উপজেলার সোনামুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শত্তকত হোসেন জানান, জলাবদ্ধতার কারণে অ্যসেম্বলি করা সম্ভব হচ্ছেনা। সোনামুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস আলম জানান, জলাবদ্ধতার ফলে বর্ষা মৌসুমে অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসতে চায়না। আমাদেরও চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। তাই বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কাজীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বকুল সরকার বলেন, জরুরী ভিত্তিতে জলাবদ্ধতার সমস্যার সমাধানের প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 



সূত্রঃ-  যমুনাবার্তা নিউজ

মুক্ত বাংলাঃ-কাজিপুরে চাঁদের আলো সমিতির নামে চলছে সুদের ব্যবসা




সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার হরিনাথপুর বাজারে চাঁদের আলো সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড (রেজিঃ নং ১৪৬, স্মারক নং ২৯১ (২), স্থাপিত ২০১২ ইং) নামের একটি বেসরকারি সমবায় সমিতি সরকারি লেডিস কর্নার ভাড়া নিয়ে চলাচ্ছে জমজমাট সুদের ব্যবসা। এই ব্যবসা এতো সুকৌশলে পারিচালিত হচ্ছে যা সাধারনভাবে বোঝার উপায় নেই। আর যারা ভুক্তভোগী তারা দরিদ্র লোকজন হওয়ায় দিনের পর দিন নির্বিবাদে চলছে এই ব্যবসা। কথিত ওই সমিতির সুদের বেড়াজালে পড়ে সাধারন মানুষ সর্বস্ব খোয়ালেও দেখার কেউ নেই।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ২০১২ সালে কাজিপুর উপজেলার হরিনাথপুর বাজারে এলজিইডি কর্তৃক তৈরীকৃত সরকারি মার্কেটের ২টি রুম কম মূল্যে ভাড়া নিয়ে পরি, জাকারিয়া, মজিদ সহ কয়েকজন প্রভাবশালী যুবক হরিনাথপুর বাজারে এই ব্যবসা করে আসছেন। সরকারী প্রদত্র নিয়মনুযায়ি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। কিন্ত অনুমোদন না থাকলেও গত ৫ বছর ধরে গ্রামের সাধারন গরীব মানুষের মাঝে শতকরা ২০ টাকা সুদে ঋণের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এভাবে বেশ ক’জন ব্যক্তি অবৈধ পন্থায় লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এদিকে চড়া সুদের বেড়াজালে পড়ে সাধারন মানুষ দিনের পর দিন নিঃস্ব হতে চলেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক চাষী ও ক্ষুদ্র কয়েকজন ব্যবসায়ী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, চাঁদের আলো সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি পরি, আব্দুল মজিদসহ প্রভাবশালী। কেউ তাদের কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলে নেমে আসে শারীরিক নির্যাতন। সমাজে তাকে নানাভাবে হেনস্থা করা হয়। এমনকি তাদের সুদের বৃত্তে আটকে অনেকে গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। তারা আরো জানান, কথিত সমিতি থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে অনেকে ভিটেমাটি পর্যন্ত বিক্রি করে পরিশোধ করতে বাধ্য হয়েছেন। শুধু তাই নয় সরকারী কোন অনুমোদন না থাকলেও লেডিস কর্নারের নামে সরকারি অর্থ লুটপাট হচ্ছে।
এ ব্যাপারে চাঁদের আলো সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি পরি বলেন, সমিতির জায়গা না থাকায় লেডিস কর্নার ভাড়া নেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, সদস্যদের বাইরে কাওকে ঋণ দেয়া হয়না। তবে সমিতির উন্নয়নে সদস্যদের মাঝে শতকরা ১০ টাকা সুদে ঋণ কার্যক্রম চালু করা হয়েছে বলে জানান। এ বিষয়ে কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।





সূত্র;-যমুনা বার্তা নিঊজ

মুক্ত বাংলাঃ- কাজীপুর উপজেলায় খুদবান্দি, সিংড়াবাড়ি ও শুভগাছা এলাকা রক্ষায় ৪৬৫ কোটি টাকার প্রকল্প।


জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৫ হাজার ১৮১ কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ বুধবার এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সারাদেশে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে ৬৬৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা বরাদ্দ অনুমোদ করেছে সরকার। আর এর তদারকির দায়িত্বে থাকছেন সংসদ সদস্যরা। সার্বজনীন সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় তারা ওই অর্থ নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী মসজিদ, ইদগাহ, কবরস্থান, মন্দির, শ্মশান, গীর্জা, প্যাগোডা, গুরুদুয়ারা এবং খেলার মাঠের উন্নয়নে তারা ব্যয় করতে পারবেন। সভার পরে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ।
মুস্তফা কামাল বলেন, সার্বজনীন সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে। এজন্য সাংসদরা সরাসরি বরাদ্দ পাবেন না। তবে তাদের পছন্দ অনুযায়ী কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, এ প্রকল্পে সিটি করপোরেশন এলাকা বাদে প্রত্যেক উপজেলার জন্য এক কোটি টাকা করে দেশের ৪৯১টি উপজেলার জন্য ৪৯১ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া পূর্ত কাজের জন্য থোক বরাদ্দ হিসেবে ১০৯ কোটি টাকা রাখার কথা বলা হয়েছে প্রকল্প প্রস্তাবে। থোক বরাদ্দের অর্থ চাহিদা ও গুরুত্ব অনুযায়ী ব্যয় করা হবে। নির্বাচিত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকার উন্নয়ন কাজ হবে। প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে।

একনেকের বৈঠকে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার আরও নয়টি প্রকল্প সরকারের অনুমোদন পেয়েছে। প্রকল্পগুলো হলো- সিলেট বিভাগের ‘গুরুত্বপুর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে এক হাজার ২১৪ কোটি টাকার প্রকল্প। বৃহত্তর কুমিল্লা জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে ৯৮৬ কোটি টাকার প্রকল্প। চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার ৭২ নম্বর পোল্ডারে ভাঙনপ্রবণ এলাকায় পুনর্বাসন প্রকল্পে ব্যয় হবে ১৯৭ কোটি টাকা। বাংলাদেশের ২৩টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশনের জন্য ৯৯২ কোটি টাকার প্রকল্প।
নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশনে পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিবাস নির্মাণে ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প। আরিচা-ঘিওর-দৌলতপুর-টাঙ্গাইল সড়কে ১০৩ দশমিক ৪৩ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছে ৬৫ কোটি টাকা। সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটর ও ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাব স্থাপনে ৩৯৮ কোটি টাকার প্রকল্প।
#যমুনা নদীর ভাঙন থেকে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলায় খুদবান্দি, সিংড়াবাড়ি ও শুভগাছা এলাকা রক্ষায় ৪৬৫ কোটি টাকার প্রকল্প।
গোপালগঞ্জে বহুতল সরকারি অফিস নির্মাণে ৯৮ কোটি টাকার প্রকল্প।
প্রসঙ্গত আওয়ামী লীগের ২০০৯-২০১৪ মেয়াদে ‘গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্পে যার যার এলাকার রাস্তাঘাট, সেতু, কালভার্টসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে ১৫ কোটি টাকা করে বরাদ্দ পেয়েছিলেন সাংসদরা। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়িয়ে বিশ কোটি টাকা করে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়। ওই প্রকল্প এখন বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

মুক্ত বাংলাঃ-কথা রাখলেন মাননীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।


টেলিফোন অপারেটর পদে চাকরি দিলেন সিদ্দিকুরকে।
============================================
রাজধানীর শাহবাগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময়ে টিয়ার শেলের আঘাতে চোখ হারানো শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমানকে চাকরির নিয়োগপত্র দেয়া হয়েছে।

সরকারি প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানিতে টেলিফোন অপারেটর পদে সিদ্দকুর নিয়োগ পেয়েছেন। আগামী ১ অক্টোবর তিনি কর্মস্থলে যোগদান করবেন।
বুধবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
টিয়ারশেলের আঘাতে চোখ হারানোর কারণে সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুর রহমানকে সরকারি চাকরির আশ্বাস দিয়েছিলেন মোহাম্মদ নাসিম।
নিয়োগপত্র অনুযায়ী সিদ্দিকুর রহমানকে এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানির টেলিফোন অপারেটর পদে এক বছরের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ সময় তার বেতন ধরা হয়েছে ১৩ হাজার টাকা। সঙ্গে আনুষাঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা পাবেন তিনি। তবে এক বছর পর চাকরি স্থায়ী হলে তার বেতন হবে ২৩ হাজার টাকা।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘এ ঘটনাটি অনেক কষ্টের ও বেদনাদায়ক। তবে সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চাকরি দিতে পারাটা স্বস্তিদায়ক। সিদ্দিকুরের প্রতি সরকারের নজর থাকবে।’
তিনি বলেন, চোখ রক্ষা করতে সিদ্দিকুরের প্রত্যাশা অনুযায়ী রাষ্ট্রীয়ভাবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু সেটা সফল হয়নি। তবে তিনি এক চোখে ঝাপসা দেখতে পান। সে ক্ষেত্রে চাকরির পাশাপাশি তিনি পড়াশোনাও চালিয়ে যাবেন।

Wednesday 13 September 2017

মুক্ত বাংলাঃ-আবারও যমুনার পানি বৃদ্ধি ,বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপরে!


চলতি বছরের আগস্টে বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে জেলাবাসীর মধ্যে নতুন করে বন্যার আতঙ্ক বিরাজ করছে।উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারিবর্ষণে যমুনার নদীর পানি বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।


এদিকে পানি বাড়ার কারণে সিরাজগঞ্জ জেলার সদর, চৌহালী, কাজিপুর, শাহজাদপুর, বেলকুচি, কাওয়াকোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে।এতে বন্যাকবলিত মানুষগুলো গবাদি পশু ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন।আগের তুলনায় এবার ধীরগতিতে পানি বাড়ছে। পানি আরও ২-৩ দিন বাড়তে পারে। তবে আশঙ্কার কিছু নেই।


 

Tuesday 12 September 2017

মুক্ত বাংলাঃ-কাজিপুরে তিন গ্রামের দুই শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি যমুনা গর্ভে!



বন্যা আর ভাঙন একসঙ্গে চলছে কাজিপুরে। নদীতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ চলমান থাকলেও এর বাইরের এলাকাগুলো ভাঙনের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাচ্ছে।
 
গত ক’দিনের ভাঙনে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের নদীতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের বাইরে মাছুয়াকান্দি, উত্তর রেহাইশুড়িবেড় ও বিল সুন্দর সহ নাটুয়ারপাড়া নৌ-ঘাটের যাত্রীছাউনি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। শতাধিক ঘরবাড়ি ও দোকানপাট অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে।  ভাঙনের শিকার হচ্ছে উঠতি ফসলি জমি, সবজিক্ষেত, গাছের বাগান।
 
নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের সাবেক সদস্য বেলাল হোসেন, আবুল কালাম আজাদ কমল জানান, ভাঙনের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী আব্দুল মান্নান চাঁন বলেন, বন্যার সময় এই ভাঙনের শিকার চরটিতে প্রায় যুগ আগে থেকে মানুষজন তাদের বসতি গড়ে তোলে। এখনকার ভাঙনের ফলে তারা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে।

এখানেই শেষ নয়, ভাঙনকবলিত কাজিপুর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টি ইউনিয়ন যমুনা নদীর বুকে জেগে ওঠা চরাঞ্চল। বাকি ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে মাইজবাড়ি, কাজিপুর সদর ও শুভগাছা, গান্ধাইল  ইউনিয়নের অংশবিশেষ যমুনার ভাঙনের শিকার।

অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে কাজিপুরের ইজিবাইক চালক

                                       সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার অনিক বাবু (২০) নামের এক ইজিবাইক চালককে অজ্ঞান করে মোবাইল ফোন ও বাইক...