Thursday 30 March 2017

কাজিপুরে মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে বিনামূল্য খাতা ও কলম বিতরন


সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার বাংলাদেশ প্রাইমরী এন্ড হাইস্কুল ফাউন্ডেশনের উদ্যেগে দরিদ্র মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে বিনামূল্য ১দিস্তা কাগজের লেখার খাতা ও একটি কলম বিতারণ অনুষ্ঠান গতকাল বুধবার আর, ডি, উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
এ সংস্থাটি অনুষ্ঠানিক ভাবে আত্মপ্রকাশের প্রায় ১বছর ৬মাস পূর্বে থেকে কাজিপুর উপজেলার উল্লাপাড়া গ্রামের মৃত জিন্নাত আলীল পুত্র গার্মেন্টস শ্রমিক মোঃ ইসমাইল হাসান সিরাজি ব্যক্তিগত উদ্যোগে উপজেলার ৪২টি প্রাথমিক ও হাইস্কুলের ৪৬০জন দরিদ্র মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে এই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। অনুষ্ঠানে আত্মপ্রকাশিত সংস্থা বাংলাদেশ প্রাইমারি এন্ড হাইস্কুল ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ইসমাইল হাসান শিরাজি জানান আমি টাকা পয়সার অভাবে লেখা পড়া করতে পারিনি। একদিন এক দিস্তা কাগজ ও কলমের জন্য আমার খুব অসুবিধা হয়েছে। আমার পার্শ্ববর্তি এক দরিদ্র মেধাবি ছাত্রের কাগজ কলমের অভাবে লেখা পড়া করতে পারেনি। সেই থেকে আমার মধ্যে একটা উপলব্ধী কাজ করছে যে যদি আমার সুযোগ হয় তাহলে আমি দরিদ্র ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য কিছু কাজ করে যাব। লেখা পড়া যতটুকু শিখেছি এর পর ৪বছর যাবৎ আমি শিল্পপতি মোশারফ সাহেবের ষ্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টস এ ওয়াশিং ষ্টোর সাপ্লাইম্যান পদে মাসিক ১২হাজার টাকা বেতনে চাকরি করছি এবং অব টাইমে অনেক কষ্ট করে ৩টি প্রাইভেট পড়িয়ে যা রোজগার হয় সেখান থেকে ৫-৬ হাজার টাকা বাচিয়ে দরিদ্র মেধাবি ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে প্রতি মাসে আমি এই খাতা কলম বিতারন করে আসছি।
তার মহতী উদ্যোগকে অনেকেই স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি এই কর্মসূচিকে চালিয়ে নেওয়ার এবং বৃদ্ধি করার জন্য সমাজ ও দেশের বৃত্তবানদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আর, ডি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম, সহকারি শিক্ষক লিয়াকত হোসেন, রিনা খাতুন, রোকসানা খাতুন, ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী নুপুর সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম প্রমুখ। কর্মসূচিতে সহযোগি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিখা পারভীন ও স্বপন মাহমুদ।
সংস্থার পরিচালক মোঃ ইসমাইল হাসান সিরাজি আরো বলেন এ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হতে পেরে আমি খুশি। অন্ষ্ঠুানে যে সমস্ত বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীরা উপস্থীত হতে পারেনি তাদেরকে সহযোগী শিখা পারভিন স্ব-স্ব বিদ্যালয়ে গিয়ে তিনি খাতা কলম বিতরণ করবেন বলে জানান। প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম তার এই মহতি উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন এই সংস্থাকে আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে দরিদ্র মেধাবি ছাত্র/ছাত্রীদের সংখ্যা যাতে আরো বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করব। তার এ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য আহবান জানান।

"শিক্ষার আলো ঘরে ঘরে জ্বালো "-এই স্লোগান সামনে রেখে বাংলাদেশ প্রাইমারী এন্ড হাই স্কুল এতিম ফাউন্ডেশন কাজ করে যাচ্ছে।


 বিস্তারিতঃ সপ্তাহব্যাপী শিক্ষা উপকরণ ও শীত বস্ত্র বিতরণে আজ বাংলাদেশ প্রাইমারী এন্ড হাই স্কুল এতিম ফাউন্ডেশন কাজিপুরের গান্ধাইল ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌছে দিয়েছেন খাতা কলম ও শীত বস্ত্র।এতিম ছেলে মেয়েরা নতুন বছরের শুরুতেই আনন্দের সাথে যেন লেখা পড়া শুরু করতে পারে এই জন্য নতুন বই হাতে পাওয়ার সাথে সাথে নতুন খাতা কলম ও হাতে তুলে দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।সেই সাথে নতুন বছরের উপহার হিসেবে থাকছে শীত বস্ত্র।
আজ সকালে গান্ধাইল সরকারি প্রাইমারি স্কুল এবং গান্ধাইল হাই স্কুলে শিক্ষা উপকরন ও শীত বস্ত্র বিতরনে উপস্থিত ছিলেন গান্ধাইল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান #জনাব আরশাফুল আলম সাহেব।এ সময় তিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রশংসা করেন এবং প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইসমাইল সাহেবকে ধন্যবাদ জানান ও প্রতিষ্ঠানটি জন্য শুভ কামনা করেন।
এক জন সামান্য গার্মেন্টস শ্রমিক ইসমাইল সাহেব। তবে তার এই চিন্তা চেতনা ও কাজ দেখে সমাজের তথা কাজিপুরে শিক্ষা অনুরাগী মানুষের কাছে তিনি একজন প্রিয় মানুষ হিসেবে স্থান লাভ করেছেন।
তবে ইসমাইল সাহেব নিজের পরিচয়ের জন্য নয় "উনার ভাষায়- আমার মত কোন এতিম ছেলে মেয়ের যেন অল্প বয়সেই লেখা পড়া বন্ধ হয়ে না যায় এই জন্য আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।

"আসুন আমরা এগিয়ে আসি এই প্রতিষ্ঠানটির পাশে"
গান্ধাইলের বিভিন্ন স্কুল ঘুরে রিপট করেছেন মুক্ত বাংলা প্রতিনিধি।

বাংলাদেশ প্রাইমারি এন্ড হাই স্কুল এতিম ফাউন্ডেশনে সপ্তাহব্যাপী শিক্ষা উপকরন ও শীত বস্ত্র বিতরন ২০১৭।



#বিস্তারিতঃ ২০১৭ সালে শুরুতেই এতিম ফাউন্ডেশনে পরিচালক- #মোঃ_ইসমাইল_হোসেন_সিরাজি সাহেব তালিকা ভুক্ত প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা উপকরন এবং শীত বস্ত্র পৌছে দিতে তার সংগঠনের সকল কর্মিকে সাথে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই কাজিপুরের শিমুলদাইড়ির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষা উপকরন ও শীত বস্ত্র পৌছানো ও এতিম ছাত্র ছাত্রী মাঝে বিতরন করা হয়েছে।২০১৬ সালে কাজিপুরের প্রায় ৩৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতি মাসে খাতা, কলম পাঠিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন প্রতিষ্ঠানটির প্ররিচালক। তিনি মুক্ত বাংলাকে আরো জানান ২০১৭ তে কাজিপুরের আরো অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এতিম ফাউন্ডেশনের আওতাভুক্ত করা হবে।সামান্য একজন গার্মেন্টস শ্রমিক হয়ে এত বড় একটি কাজ নিজ অর্থায়নে করে যাচ্ছেন প্রায় চার বছর যাবত।
রিপটঃ মুক্ত বাংলা প্রতিনিধি

ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী সাংস্কৃতিক উৎসব ২০১৭।

কাজিপুর উপজেলায় ৩ দিন ব্যাপি শহীদ ক্যাপ্টেন ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী সাংস্কৃতিক উৎসব ২০১৭।
উদ্বোধন করেনঃ বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী আলহাজ্ব মোঃনাসিম সাহেব।

আটটি খাবার কখনোই দ্বিতীয়বার গরম করে খাবেন না।



আমরা সাধারনত বাসায় রান্না করার পরে সময় বাঁচানোর জন্য সেই খাবার আবার পরের দিনের জন্য রেখে দিই, আবার সেই খাবার পুনরায় গরম করেই খাই।
কিন্তু সেই খাবার পুনরায় গরম করে খাওয়া অনেক ক্ষতিকর, এতে আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনেক গুন বেড়ে যায়।
আর আমরা এমন কিছু খাবার আছে যা প্রতিদিন পুনরায় গরম করে খাচ্ছি। এরকম ৮টি খাবারের সম্পর্কে আজ জেনে রাখুন যেগুলো ভুলেও পুনরায় গরম করবেননা
মাশরুম:- সাধারনত মাশরুমের ফাইবার ও এনজাইম হজমে সহায়তা করে। এটি অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার কাজ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং কোলন-এর পুষ্টি উপাদান শোষণকেও বাড়াতে সাহায্য করে।
আর তাই মাশরুম একবার রান্নার পরে দ্বিতীয়বার গরম করে খেলে তা আমাদের পেটের জন্য অনেক ক্ষতিকর।
মুরগির মাংস:- অনেকেই সময় বাঁচানোর জন্য একবারেই অনেক মুরগির মাংস রান্না করে রাখি কিন্তু মুরগির মাংস বার বার গরম করে খাওয়া উচিত নয়।
কারণ মুরগির মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। রান্নার পরে ফের তা গরম করলে প্রোটিনের কম্পোজিশন বদলে গিয়ে তা থেকে বদহজম হতে পারে।
চা:- এটা আমরা অনেকেরই জানা যে একবার চা বানানোর পর তা ঠান্ডা হয়ে গেলে পুনরায় গরম করা উচিত নয়।
কারণ চায়ের মধ্যে ট্যানিক অ্যাসিড থাকে। তৈরি করা চা ফের গরম করে পান করলে লিভারের ক্ষতি হতে পারে।
ভাত:- ভাত রান্না করার সময় তাতে বেসিলস সিরিয়াস ব্যাক্টেরিয়া তৈরি হয়। রান্না করা ভাত ফের গরম করলে এই ব্যাক্টেরিয়া সংখ্যায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়ে ডায়েরিয়া পর্যন্ত হতে পারে।
আলু;- আলু রান্না বা সেদ্ধ করার পরে ঠাণ্ডা হওয়ার সময় তাতে বটুলিজম নামে একটি ব্যাক্টেরিয়া তৈরি হয়। ফের তা গরম করলে এই ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যাগুলি বেড়ে গিয়ে ফুড পয়জনিং পর্যন্ত হতে পারে।
ডিম:- ডিমের মধ্যেও বেশি পরিমাণে প্রোটিন এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্টস থাকে। রান্নার পরে আবার তা গরম করলে ডিম থেকে টক্সিন তৈরি হবে যা থেকে বদহজমের আশঙ্কা তৈরি হয়।
পোড়া বা খাবার তেল:- আমরা অনেকেই খাবার রান্নার পর অবশিষ্ট তেল রেখে দেই পরবর্তী কোন খাবার রান্নার জন্য কিন্তু একবার ও কি খেয়াল করেছি এটা আমাদের শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর ।
পোড়া তেল ফের গরম করে রান্নায় ব্যবহার করলে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
পালং শাক:- এছাড়াও পালং শাকও রান্নার পর পুনরায় গরম করা উচিত নয়। পালং শাকে অতিরিক্ত পরিমাণে নাইট্রেটস থাকে।
রান্না করা পালং শাক ফের গরম করে খেলে শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিন বেশি মাত্রায় ঢুকতে পারে।

কাজিপুরের চরাঞ্চল নাটুয়ারপাড়ার প্রধান সড়কের ব্যাহাল দশা।



বিস্তারিতঃ দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার চরাঞ্চলের ৬ ইউনিয়নের প্রাণ কেন্দ্র নাটুয়ারপাড়ার প্রধান সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে এসব গর্তে পানি জমে থাকে। সড়কের কোথাও কোথাও দুই ফুট পানি জমে থাকে। এতে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে স্থানীয় লোকজন সীমাহীন ভোগান্তি পোহাচ্ছে। বেশি সমস্যা হচ্ছে এলাকার শিক্ষার্থীদের।

নাটুয়ারপাড়ার বাজার থেকে পানাগাড়ী হয়ে রুপসা বাজার পর্যন্ত বিস্তৃত এই সড়কটির দৈর্ঘ্য ১০ কিলোমিটর।চরাঞ্চলের সাতটি ইউনিয়নে যাতায়াতের একমাত্র পথ এটি। অথচ সড়কটি গত ছয় বছরেও সংস্কার করা হয়নি। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এবং নাটুয়ারপাড়ার ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী চলাচল করে। সড়কটির অবস্থা খারাপ হওয়ায় তারা এখন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ,২০০২ সালে তড়িঘড়ি করে অল্প সময়ে রাস্তা পাকার কাজ শেষ করায় ১৫ দিনের মধ্যেই সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এলাকাবাসী অভিযোগ জানালেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের নাটুয়ারপাড়া বাজার থেকে গুলের মোড় হয়ে নাটুয়ারপাড়া ডিগ্রি কলেজ পর্যন্ত একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী। বেশির ভাগ স্থানে বড় বড় খানাখন্দ।মগবাজার ও গুলের মোড়ের সামনে সড়কের ওপর দুই ফুট পানি জমে আছে। পানিনিষ্কাশনের পথ নেই। আবার বৃষ্টি বন্ধ হলে কাদায় একাকার হয়ে যায়। এ সময় হাঁটাও কঠিন হয়ে পড়ে।

ঘোড়া গাছা উচ্চবিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিক বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়ে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী আছে। সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তার পানি বিদ্যালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়ে। বৃষ্টির দিন শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে চায় না। কারণ, বৃষ্টিতে মেইন গেটের সামনে হাঁটুসমান পানি জমে যায়।’

অটোরিকশাচালক আবদুল খালেক বলেন, রাস্তার যা অবস্থা তাতে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। পুরো রাস্তায় বড় বড় গর্ত থাকায় প্রায়ই গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যায়। তাই রাস্তা মেরামতের জন্য কর্তৃপক্ষের প্রদক্ষেপ গ্রহনের জন্য দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

স্কুলে যাতায়াতের প্রধান সমস্যা কি এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঘোড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র লিমন আহমেদ জানায়, কি আর বলবো স্কুলে যাওয়ার মূল সমস্য এই সড়কটি সড়কের অবস্থা এত খারাপ হওয়ায় প্রতিদিন স্কুলে যেতে মন চায়না। এর মধ্যে এখন প্রতিদিনই বৃষ্টি হয়, সামান্য বৃষ্টি হলেই আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়। কারন রাস্তার অনেক বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে গর্তের মধ্যে ময়লা জমে থাকে আর এই ময়লা বৃষ্টির পানি পেলে ভাগাড় হয়ে যায়। ফলে ভাল জামা পড়ে গেলে আর জামা ভাল থাকে না রাস্তার কাদায় নোংড়া হয়ে যায়। তাই সড়কটি সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।

নাটুয়ারপাড়া ইউপি সদস্য রুহুল মির্জা বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। ওই প্রকল্প অনুমোদনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প পাস হলে দরপত্র আহ্বান করা হবে।


Sunday 26 March 2017

কাজিপুরে যথাযথ মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হচ্ছে


 =======================================================================
সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে যথাযথ মর্যাদায়, বিপুল আনন্দ, উদ্দীপনা ও উৎসাহের সাথে ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস পালন করা হচ্ছে।
প্রথম প্রহরে ভোর ৫.৫১ মিনিটে ৩১বার তেপধ্বণির মধ্যদিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের সূচনা, মুক্তির সোপানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সিরাজগঞ্জ কাজিপুরের সাবেগ সংসদ সদস্য #জনাব তানভির শাকিল জয় সহ কাজিপুর আ'লীগের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা কর্মি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন সহ সাধারণ মানুষ।কাজিপুর থানা আ'লীগের দলীয় কার্যালয়ে শহীদদের আত্নার মাগফেরাত কমানা দোয়া করা হয়।
এরপর কাজিপুর উপজেলা মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তলন করেন সিরাজগঞ্জ কাজিপুরের সাবেগ সংসদ সদস্য #জনাব তানভির শাকিল জয় এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ ও শিশু-কিশোরদের মনোরম ডিসপ্লে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

Saturday 25 March 2017

"আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, জাতীয় গণহত্যা দিবস"



"আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, জাতীয় গণহত্যা দিবস"
কাজিপুরে বিভিন্ন আয়োজনে দিনটি পালন করছেন কাজিপুর আওয়ামিলীগ।
====================================================
১৯৭১ সালের এই দিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্বপরিকল্পিত অপারেশন সার্চলাইটের নীলনকশা অনুযায়ী আন্দোলনরত বাঙালিদের কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু করে ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বরোচিত ও নিকৃষ্টতম গণহত্যা।

একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যার দিনটি জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি দিয়ে দিবসটি এবারই প্রথমবারের মতো জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে আজ। কাজিপুরে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
 

Friday 24 March 2017

একটি_শোক_সংবাদ


কাজিপুর উপজেলার ৮ নং চরগিরিশ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এবং চরগিরিশ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি জনাব মহির_উদ্দিন_তরফদার আজ সকালে ইন্তেকাল ফরমাইয়াছেন।
(ইন্না লিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)

মৃত ব্যাক্তির রুহের মাগফেরাত কামনা এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
(আমীন)
সূত্রঃ আসাদ শেখ
একটি_শোক_সংবাদ

কাজিপুর উপজেলার ৮ নং চরগিরিশ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজ সকালে ইন্তেকাল ফরমাইয়াছেন।


একটি_শোক_সংবাদ
কাজিপুর উপজেলার ৮ নং চরগিরিশ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এবং চরগিরিশ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি জনাব মহির_উদ্দিন_তরফদার আজ সকালে ইন্তেকাল ফরমাইয়াছেন।
(ইন্না লিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)

মৃত ব্যাক্তির রুহের মাগফেরাত কামনা এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
(আমীন)
সূত্রঃ আসাদ শেখ

http://muktobanglanews.blogspot.com/2017/03/blog-post_41.html

বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাইপর্বের ম্যাচে জয় পেয়েছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা।


 ====================================================

পাউলিনহোর হ্যাটট্রিকে উরুগুয়েকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। এদিকে ঘরের মাঠে চিলির বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা।
ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচের ৯ মিনিটেই এডিসন কাভানির গোলে এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। ১৯ মিনিটে পাউলিনহোর গোলে সমতায় ফেরে ব্রাজিল। তার গোলেই দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ২-১ গোলে লিড পায় নেইমারের দল। ম্যাচের শেষভাগে আক্রমণ বাড়ান ব্রাজিল অধিনায়ক। শেষ মিনিটে হ্যাটট্রিক পুরন করেন পাউলিনহো।
এই জয়ে ১৩ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের শীর্ষে সেলেসাওরা। অন্য ম্যাচে চিলিকে ১-০ গোলে হারিয়ে টেবিলের চারে পৌঁছেছে আর্জেন্টিনা। ১৬ মিনিটে স্পট কিক থেকে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন লিওনেল মেসি।
http://muktobanglanews.blogspot.com/2017/03/blog-post_72.html

********************মা*******************


 ১) যিনি সন্তানের সবচেয়ে নিরাপদ
আশ্রয়,পরম মমতা আর গভীর বিশ্বাস
২) যিনি সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজের
চেয়ে সন্তানের জন্য বেশী দোয়া
করেন
৩)যিনি নিজে না খেয়ে সন্তানের
মুখে অন্য তুলে দেন
৪) যিনি নিজের কান্না চেপে
সন্তানের মুখে হাসি ফোটান
৫)যিনি এই গরমের মধ্যেও আমাদের জন্য
খাবার রান্না করেন কিন্তু বিরক্ত হন
না
৬)যিনি পরিবারের সবার খাওয়া শেষ
হলে,যা থাকে তাই খান, না থাকলে
না খেয়ে থাকেন,তবু কাউকে বুঝতে
দেন না
৭) সবাইকে রান্না করে গরম খাবার
খাওয়ালেও, বাসি-পচা খাবার নষ্ট
না করে হাসি মুখে খান
৮) সন্তান কখনো বিপদে পড়লে,যিনি
হাজার মাইল দুরে থেকেও সবার আগে
বুঝতে পারেন
৯)যিনি সন্তানের দেওয়া হাজার
কষ্টেও,তাকে অভিশাপ করেন না
১০)নিজের সন্তান যেমনই হোক,সেই
তার কাছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সন্তান
১১)যিনি সন্তানদের সব সময়
বলেন,সাবধানে যাস,তারাতারি
বাড়ি ফিরিস,পরীক্ষা ভালভাবে
দিস, অন্যায় কাজ থেকে দুরে থাকিস।
১২) যার পায়ের নীচে সন্তানের

বেহেশত( স্বর্গ)

Monday 20 March 2017

কাজীপুরে শুভগাছা ইউনিয়নের বাঐখোলা যমুনা নদীর তীরে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে কাজীপুর থানা পুলিশ।

 
<<<<<<<<< মুক্ত বাংলা ব্রেকিং নিউজ>>>>>>>>>
বিস্তারিতঃ আজ সোমবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার শুভগাছা ইউনিয়নের বাঐখোলা এমপি বাঁধ এলাকা থেকে অজ্ঞাত নারীর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে কাজীপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, বাঐখোলা এমপি বাঁধ এলাকায় যমুনার পাড়ে ওই নারীর ভাসমান মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি আরোজানান, ধারণা করা হচ্ছে উজান থেকে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ভাসতে ভাসতে মরদেহটি বাঐখোলার এই স্থানে পৌঁছেছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশটি সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কাজীপুর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Friday 17 March 2017

কাজিপুরে বঙ্গবন্ধুর ৯৮ তম জন্মবার্ষিকী নানা আয়োজনে পালিত।


কাজিপুরে বঙ্গবন্ধুর ৯৮ তম জন্মবার্ষিকী নানা আয়োজনে পালিত।

আজ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস।তিনি ছিলেন আজীবন সংগ্রামী জীবনের অভিযাত্রী। বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশে তিনি আজও ছড়িয়ে চলেছেন নাক্ষত্রিক প্রভা। কালজয়ী এ মানুষটির মন্ত্রমুগ্ধ আহ্বানে মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাংলার লাখো মুক্তিপাগল মানুষ। মানুষের হৃদয়ে পরম যত্নে রাখা পরম পুরুষকে তাই শ্রদ্ধা জানায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ। কারণ তিনি মানুষের মুক্তির জন্য লড়েছেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে -কাজিপুর উপজেলাআওয়ামীলীগ,যুবলীগ,ছাএলীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ সকাল থেকে বিভিন্ন আয়োজনে সাজিয়েছে আজকের দিনটি। দিনের শুরুতেই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতীতে পুষ্প মাল্য অর্পণ ও র‍্যালী পরে কাজিপুর উপজেলা পার্টি অফিসে আলোচনা অনুষ্ঠান ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

কেক কেটে কাজিপুরের গান্ধাইল আইডিয়াল কলেজে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয়

পরে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের উপর আলোচনা অনুষ্ঠিত এবং বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

কাজিপুরে আমিনা মুনসুর ডিগ্রি কলেজে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালন।


 কাজিপুরে আমিনা মুনসুর ডিগ্রি কলেজে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালন।

 জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে। সকাল দশটায় আমিনা মনসুর ডিগ্রি কলেজে এ উপলক্ষ্যে কেট কাটা হয়। পরে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের উপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। কলেজের অধ্যক্ষ ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, বাংলা বিভাগের প্রভাষক আবদুল জলিল, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের দিলরুবা খাতুন, সমাজবিজ্ঞানের তুহিন আফরোজ, গনিত বিভাগের আব্দুন নূর, তক শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম মিঠু। শেষে বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

কেক কেটে কাজিপুরের গান্ধাইল আইডিয়াল কলেজে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালন।

 
পরে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের উপর আলোচনা অনুষ্ঠিত এবং বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

Wednesday 15 March 2017

কাজিপুরের দূর্গম চরাঞ্চলের নাটুয়ারপাড়ার সাথে জামালপুর সরিষাবাড়ীর স্থল যোগাযোগের।

কাজিপুরের দূর্গম চরাঞ্চলের নাটুয়ারপাড়ার সাথে জামালপুর সরিষাবাড়ীর স্থল যোগাযোগের।

বিস্তারিতঃ সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার যমুনানদী পূর্ব দূর্গম চরাঞ্চলের লোকজনের যাতায়াতের তিক্ত অভিজ্ঞতা দীর্ঘ দিনের।যমুনা নদীর উত্তাল তরঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত থেকে মুক্তি পেতে এখানকার মানুষ হাজার বছর ধরে সড়ক পথে যাতায়াতের মাধ্যমে যমুনা নদী পাড়ির স্বপ্ন লালন করে আসছে। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেছে। কিন্তু এবার কাজিপুরের যমুনানদী পূর্ব দূর্গম চরাঞ্চলবাসির সুখবর রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে উপজেলার যমুনানদী পূর্ব দূর্গম চরাঞ্চলের নাটুয়ারপাড়ার উত্তর পূর্ব কোণে যমুনানদীর বুক চিরে জেগে উঠছে এক বিশাল ভূমি। ভূমি জাগরণের ওই প্রক্রিয়ায় ক্রমেই জেগে ওঠা চরের আয়তন ও উচ্চতা বাড়ছে তাল মিলিয়ে।এ ধারা অব্যাহত থাকলে কয়েক বছরের মধ্যে প্রকৃতির আপন খেয়ালে নাটুয়ারপাড়ার সঙ্গে মুনসুর নগর হয়ে নিকটবর্তী সরিষাবাড়ি উপজেলার সাথে স্থল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।একই সঙ্গে বিশাল এ চরে নতুন শিল্পকারখানা স্থাপন করতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ আগ্রহীও হয়ে উঠেছে।
তাছাড়া চর প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় এখনই এ সুযোগটি সরকার কাজে লাগাতে পারলে কাজিপুর উপজেলার দূর্গম চরাঞ্চল উন্নয়নের,উত্তর বঙ্গের কৃত্তি সন্তান বর্তমান সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জনাব নাসিম (এমপি) ও কাজিপুরের মা,মাটিও মানুষের নেতা সাবেক এমপি জনাব, প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় ভাইয়ের বৃহৎ পরিকল্পনাও বাস্তবায়িত হবে বলে চরাঞ্চলবাসি আশা প্রকাশ করেন। একাধিক সূত্র জানায়, কাজিপুরের দূর্গম চরাঞ্চলের নাটুয়ারপাড়া টু সরিষাবাড়ী সড়ক পথটি তৈরি হলে কাজিপুরের যমুনানদী পূর্ব দূর্গম চরাঞ্চলবাসির দীর্ঘদিনের স্বপ্ন স্থলপথে মূল ভূ-খণ্ডের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ সম্ভব হবে।
আবার কাজিপুর উপজেলার যমুনা নদী পূর্ব দূর্গম চরাঞ্চলের ৬টি ইউনিয়ন সহ সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার যমুনানদী পূর্ব চরাঞ্চলবাসি রাজধানী ঢাকার সঙ্গে কম সময়ে স্বাচ্ছন্দ্যে স্থল পথে যোগাযোগও করতে পারবেন। জেগে ওঠা বিশাল এ ভূ-খণ্ডে ছোট-খাটো শিল্প কারখানাসহ চমৎকার পর্যটনের মাধ্যমে পাল্টে যাবে কাজিপুর উপজেলার যমুনানদী পূর্ব দূর্গম চরাঞ্চলের গোটা চেহারা। মূল ভূ-খণ্ডের সঙ্গে বর্তমানে যোগাযোগের জন্য এখানে ইঞ্জিন চালিত নৌকার সার্ভিস রয়েছে। শুধুমাত্র দিনের বেলায় এ সকল রুটে যাতায়াত সম্ভব হয়।
কাজিপুর দূর্গম চরাঞ্চলবাসীদের মুমূর্ষু রোগী নিয়ে মারাত্মক বিপাকে পড়তে হয়। সময়মতো চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে অনেক মূল্যবান জীবন। বর্ষায় ডেলিভারি রোগীদের নিয়ে দুর্ভোগের অন্ত থাকে না। অনেক সময় ডেলিভারি রোগীকে স্যালাইন সংযোগ দিয়ে যমুনানদীর উত্তাল ঢেউয়ের মাঝে জীবন বাজি রেখে পাড়ি দিতে হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ঝুঁকিসহ এ সকল অত্যাবশ্যকীয় যাত্রা সিন্দাবাদের অ্যাডভেঞ্চারের মতই। যা না দেখলে কেউ বিশ্বাস করতে পারবে না।
পারাপারের প্রতিটি মুহূর্তই ঝুঁকিপূর্ণ। এত দুর্ভোগ-দুর্ঘটনার পরও কাজিপুরের যমুনানদী পূর্ব চরাঞ্চলে অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করে অতীতের কোনো সরকারই সড়কপথে যোগাযোগের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বিগত ’৯৬ এর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এলজিইডি’র আওতায় কাজিপুর যমুনানদী পূর্ব চরাঞ্চলেরর সঙ্গে মুনসুর নগর হয়ে সরিষাবাড়ির সঙ্গে সড়ক যোগাযোগের একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল কাজিপুরবাসির প্রিয় নেতা বর্তমান সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
এ পরিকল্পনায় সরিষাবাড়ি থেকে মুনসুর নগর হয়ে চরগিরিশ ইউনিয়নের সালাল চর পযর্ন্ত সড়ক বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে মাধ্যমে একীভূত করা হয়েছে।যা চর গিরিশ ইউনিয়নের সালালের চরের নদীর তীর পর্যন্ত একটি সড়কও পাকাকরণ করা হয়েছে। উক্ত সড়ক প্রতিষ্ঠায় কাজিপুরের মা,মাটিও মানুষের নেতা সাবেক এমপি প্রকৌশলী জনাব তানভীর শাকিল জয় ভাইয়ের ব্যক্তিগত আর্থিক সহযোগিতা রয়েছে।সালাল চরের পাকা সড়ক ও নাটুয়ারপাড়া সড়কের প্রান্ত পর্যন্ত মাঝখানে নদীর ব্যবধান খুবই সামান্য। প্রকৃতির স্বাভাবিক আচরণে উভয় প্রান্তে বর্তমানে চর জেগে উঠেছে। সেখানে দিন দিন সালালের চর ও নাটুয়ারপাড়ার দূরত্ব খুব কাছাকাছি চলে আসছে।
এমন অবস্থায় একটি বেইলি ব্রিজের মাধ্যমে সালালের চর- নাটুয়ারপাড়ার যোগাযোগের সহজ সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে বর্তমানে সালালের চরের পশ্চিমাংশে থেকে নাটুয়ারপাড়ার উত্তর পূর্ব কোণের ব্যবধান নদীপথে খুবই কম। মাত্র ২-৩ মিনিটে নৌকা পাড়ি দিয়ে সেখানে যাতায়াত সম্ভব।তাছাড়া সালাল চরের পশ্চিম প্রান্তে ও নাটুয়ারপাড়া উঃপূর্ব কোণের নদীর প্রশস্ততা মাত্র ৫০০মিটার হওয়ায় ক্রসড্রাম না হলেও এখানে বেইলি ব্রিজ দিয়ে সড়ক যোগাযোগ তৈরি করা সহজ।
কম দূরত্বের এ জলপথকে বেইলি ব্রিজের মাধ্যমে সংযুক্ত করে নাটুয়ারপাড়া -মুনসুর নগর-সরিষাবাড়ি মহাসড়কটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে কাজিপুরের দূর্গম চরাঞ্চলবাসির সড়কপথে যোগাযোগের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ করা যাবে।বেইলি ব্রিজগুলোর দৈর্ঘ্যও তুলনামূলক কম বিধায় খরচের পরিমাণও খুব বেশি হবে না বলে ধারণা করছেন ঠিকাদাররা। উক্ত সড়ক প্রতিষ্ঠা করা গেলে কাজিপুরের দূর্গম চরাঞ্চলের সঙ্গে সরিষাবাড়ি সরাসরি যোগাযোগ ছাড়াও এ প্রান্ত দিয়ে কম খরচে নাটুয়ারপাড়া সহ পাশের ইউনিয়ন গুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি গ্যাস সংযোগ প্রদানের পথও সহজ হবে। তাছাড়া সড়কটি আলোর মুখ দেখলে কাজিপুর চরাঞ্চলেরর ৬টি ইউনিয়ন সহ নাটুয়ারপাড়া বানিজিক এলাকায় পরিনিত হবে।নাটুয়ারপাড়ায় যে বিশাল আয়তনের চর জেগে উঠছে তাতে ডেইরি ফার্ম, বড় বড় শিল্প কারখানা স্থাপনসহ একটি চমৎকার পর্যটন এলাকা গড়ে তোলার উজ্জ্বল সম্ভাবনাও সৃষ্টি হবে।
সব চেয়ে আশার কথা হচ্ছে- উক্ত সড়কটি নির্মিত হলে কাজিপুর চরাঞ্চলবাসী খুব অল্প সময়ে ঢাকা সহ সারা বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। সেই সঙ্গে কাজিপুর যমুনা পূর্ব চরাঞ্চলের অবকাঠামোগত চেহারাও পাল্টে যাবে এবং কাজিপুরের মা,মাটিও মানুষের নেতা জনাব,প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় ভাইয়ের, স্বপ্নের ডিজিটাল চরাঞ্চলের পরিনত হবে।নতুন চর জেগে ওঠায় কাজিপুরের চরাঞ্চলের ৬টি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের দীর্ঘ দিনের বুকের মাঝে লালিত স্বপ্ন বাস্তবে রুপ নিবে।
সূত্রঃসিরাজগঞ্জ কন্ঠ

ডিজিটালের ছোঁয়া লেগেছে কাজিপুরের চরাঞ্চল নাটুয়ারপাড়া।।

ডিজিটালের ছোঁয়া লেগেছে কাজিপুরের চরাঞ্চল নাটুয়ারপাড়া।।


বিস্তারিতঃসিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার দূর্গম চরাঞ্চলের প্রাঁন কেন্দ্র নাটুয়ারপাড়ার গ্রামাঞ্চলে ডিজিটালের ছোঁয়া লেগেছে। গ্রামের ঘরে ঘরে মোবাইল, কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে চলছে।
ঘরে বসে সাধারন মানুষ দৈনিক সংবাদ পত্র, বহিঃ বিশ্বের সংবাদ, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিক্ষা, চিকিৎসা সহ মানুষের মৌলিক চাহিদা ইন্টার নেটের মাধ্যমে জেনে যাচ্ছে মুহুর্তের মধ্যে। আর এসব কারনে এখানকার গ্রামাঞ্চল থেকে কু-সংস্কার, অন্ধ বিশ্বাস ও কুপমন্ডুকতা ঝেটিয়ে বসেছে ধীরে ধীরে। নাটুয়ারপাড়ার প্রতিটি গ্রামের অশিক্ষিত নারী পুরুষ ও যুবক যুবতীরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও এনজিও পরিচালিত স্কুলে গিয়ে শিক্ষা গ্রহন সহ বিভিন্ন উপায়ে নিজেকে শিক্ষিত করে তোলার চেষ্টা করছে।
অভিবাবকদের মাঝে ব্যাপক সচেতনতা ফিরে এসেছে। তারা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কে একটি শিক্ষিত সমাজ উপহার দেওয়ার জন্য ছেলে মেয়েদের নিয়মিত বিদ্যালয় মুখী করাচ্ছেন। সর্বত্র সচেতনতা ফিরে আসায় সাধারণ বসতীদের গরীবানা হাল কেটে যাচ্ছে ক্রমান্বয়ে। আগের দিনের মত বসত ঘরের করুন দশা খুবই কম চোখে পড়ছে। গ্রামে গ্রামে প্রতিদিন নতুন নতুন টিনের ঘর ও আধা পাকা বাড়ী হচ্ছে। ১০/২০ গ্রাম ঘুরে ছনের চাউনি ঘর সহসেই চোখে পড়েনা।
একেবারে হত দরিদ্র পরিবারও এখন টিনের চাউনি ঘরে বসবাস করছেন। এদের মধ্যে গরীব শ্রেনীর অনেকেই বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে টিনের ঘর করছেন। গ্রামে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সচেতনতা বেড়েছে। এখন প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে স্যানিটারী ল্যাট্রিন রয়েছে। অসুস্থ্য লোকেরা এখন বৈদ্য, উঝা, গ্রাম্য কবিরাজের কাছে গিয়ে ঝাট ফোঁক গ্রহন করেনা।
তারা নিকটস্থ হাসপাতালে গিয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরনাপন্ন হয়। নবজাতকদের বিষয়ে প্রসুতী মায়েরা ব্যাপক সচেতন। জন্মের পর পরই শিশুদের নিকটস্থ টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শমতে শিশুদের টিকার ডোজ প্রয়োগ করাচ্ছেন।
গ্রাম থেকে বিনোদন উৎসবে আগের মত পালা গান, জারী গান, পুঁথি পড়া অনুষ্টান হারিয়ে গেছে, রেডিওর কদর ও নেই। সেখানে ঘরে ঘরে টিভি, ভিসিআর, ভিসিডি, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ডিস এন্টেনা জায়গা করে নিয়েছে। গ্রামে সমাজবদ্ধ জীবন ঠিকই আছে। সামাজিক শালিস বিচার হয়ে থাকে। তবে সমাজপতিদের অহেতুক খবরদারী কমেছে।
সমাজপতিদের বৈঠকখানা ও কাচারী ঘরের অস্থিত্ব দিন দিন বিলিন হয়ে যাচ্ছে। গ্রামের মেয়েরাও এখন পুরুষদের মত মাঠে কাজ করে। কৃষি পেশায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। গ্রামে বসতী পরিবারের মধ্যে শতকরা হিসাবে ৮০ ভাগই কৃষক পরিবার। কৃষিকাজ থেকে তাদের সংসার চলে। তবে এদের মধ্যে মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারের সংখ্যা বেশি।
শতকরা ১০ ভাগ হল ধনী কৃষক। কৃষি কাজ থেকে তাদের সংসার চলে। গ্রামের নিম্ন, মধ্যবিত্ত শ্রেনীর শতকরা ১০/১৫ ভাগ মানুষ নিজেদের জমি ছাড়াও অন্যর জমি বর্গা নিয়ে কাজ করে। এছাড়াও একবারে জমি জমা নেই এমন লোকজন সংসার চালায় নানা পেশার কাজ করে। বেকার সমস্যা তেমন নেই।
এখকানকার গ্রাম গুলোতে এখনো আদি নিয়মের সমাজবদ্ধ বসবাস চালু আছে। ওই নিয়মে ৩০/৪০টি পরিবার নিয়ে একেকটি সমাজ গঠন এবং প্রতিটি সমাজে ২ থেকে ৪ জন সমাজপতি (সর্দার) রয়েছে। গ্রামে সমাজবদ্ধ জীবনে বিয়ে অনুষ্টান সহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মী অনুষ্টান সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে সকলে মিলে মিশে করে থাকে। ওই সমাজ ব্যবস্থায় ধর্মীয় আচার পালনে উপদেশ দেওয়া হয়। তবে গ্রামে এখন আর আগের মত শালিস বিচার হয়না। সরকারী আইন, প্রশাসন বরাবর সবাই বিচারপ্রার্থী হয়ে থাকে।
রিপটঃ মোঃ আলমগীর
নাটুয়ারপাড়া, কাজিপুর,সিরাজগঞ্জ।

কাজিপুরে যমুনা নদী নালায় পরিণত!! হাজারো নৌ-শ্রমিক ও জেলের মানবেতর জীবনযাপন।

কাজিপুরে যমুনা নদী নালায় পরিণত!! হাজারো নৌ-শ্রমিক ও জেলের মানবেতর জীবনযাপন।
বিস্তারিতঃ সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত যমুনা নদীতে ড্রেজিং এবং খনন না করায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পলি জমে এখন নালায় পরিণত হয়েছে। ফলে হাজারও নৌ-শ্রমিক এবং জেলেরা বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেকে বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে দিয়ে বিভিন্ন পেশায় জড়িয়ে পড়েছেন।
উপজেলার মাইজবাড়ী, কাজিপুর সদর, গান্ধাইল, শুভগাছা, খাসরাজবাড়ী, নাটুয়ারপাড়া, তেকানী, মনসুরনগর, চরগিরিশ ও নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত রাক্ষুসী যমুনা নদী এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। এর বুকজুড়ে জেগে উঠেছে হাজার হাজার একর আবাদি জমি। জমির মালিকরা জেগে ওঠা চরে বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ করে সংসার পরিচালনা করছেন।
কিন্তু ভরা নদীতে যে সব নৌ-শ্রমিক নৌকা চালিয়ে এবং জেলেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত সেই নৌ-শ্রমিক ও জেলেরা আজ বেকার হয়ে পড়েছেন। তারা এখন স্ত্রী, পুত্র পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। নদীতে পানি না থাকায় নৌ-শ্রমিক এবং জেলেরা তাদের উপকরণ নৌকা এবং জাল বিক্রি করে দিয়ে ভিন্ন পেশায় জড়িয়ে পড়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই পেশায় হাজারও শ্রমিক দাদন ব্যবসায়ী এবং এনজিও’র কাছ থেকে চড়া ঋণ নিয়ে বাড়িতে খোরাকি দিয়ে শহরে পাড়ি জমাচ্ছেন। অনেকে রিকশা, ভ্যান, টেম্পু, সিএনজি, বাস-ট্্রাক হেলপার, গার্মেন্টেস শ্রমিক, রাজমিস্ত্রির কাজে জড়িয়ে পড়েছেন। কাজিপুর ইউনিয়নের জেলে বিজয় দাস, নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের পরিমল, শুভগাছা ইউনিয়নের জেলে বিময়ল ও বিকাশ কুমার জানায়, যমুনা নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় এখন আর জাল ফেলে মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে আমরা এ পেশা ছেড়ে দিয়ে বিভিন্ন পেশায় জড়িয়ে পড়েছি।
কাজিপুরের মেঘাই নৌ-ঘাটের নৌ-শ্রমিক আল-আমিন, বাদশা, সাইফুল ইসলাম, আজিবার, বাবলু, বেলাল, নাটুয়ারপাড়া নৌ-ঘাটের সেলিম, জামাল, হাসেম ও নজরুল ইসলাম জানায়, আজ থেকে ১০-১২ বছর আগে গোটা বছরই নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতাম। এখন যমুনা নদী বিভিন্ন শাখা নদী এবং নালায় পরিণত হয়েছে। নৌকা চালানোর মত কোন জায়গা নেই। তাই নৌকা বিক্রি করে দিয়ে বিভিন্ন পেশায় কাজ করে সংসার পরিচালনা করছি।
বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসোসিয়েশনের সভাপতি ও কাজিপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক বকুল সরকার জানান, যমুনা নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় ১০টি ইউনিয়নের চরাঞ্চলের কমপক্ষে এক হাজার নৌ-শ্রমিক এবং জেলে আজ বেকার হয়ে পড়েছে। ওই সব নৌ-শ্রমিক ও এবং জেলেরা বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে দিয়ে অতিকষ্টে জীবনযাপন করছেন। যমুনা নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনলে হয়তো ওই সব শ্রমিক পুনরায় তাদের পেশায় জড়িয়ে পড়তে পারবে। এ জন্য নদী খনন করা জরুরি

Tuesday 14 March 2017

তৃণমূল মানুষের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সরকার কাজ করছে-উপ-সচিব অর্থ মন্ত্রণালয়


 
বিস্তারিতঃ অর্থ মান্ত্রণালয়ের উপ সচিব ও সেইপ এর সহকারী নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন বলেন, মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় তৃণমূল পর্যায়ের অল্প শিক্ষিত, স্বশিক্ষিত, বেকার দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থার সৃষ্টির লক্ষ্যে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যে কাজ করছে।

যে যেরকম কাজের উপযোগী তাকে সেই কাজের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে সারাদেশের ১২৮ টি উপজেলায় কাজ করছে সোসাল ম্যার্কেটিং অব স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট (সেইপ)। প্রশিক্ষণ শেষে ৭০% মানুষ পাবে চাকরির নিশ্চয়তা।

পায়াকট বাংলাদেশের আয়োজনে মঙ্গলবার দুপুরে কাজিপুর উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বেলাল, পায়াকপট এর মনিটরিং অফিসার মুনজুরুল হক, অর্থ বিভাগের আইট স্পেশালিস্ট ফয়সাল হাসান প্রমূখ। কর্মশালায় শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, ইমাম ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ অংশ নেন। 
 
রিপটঃআবদুল জলিল

কাজিপুরে জীবনের সাথে যুদ্ধ করে প্রতিদিন স্কুলে যাতায়াত করছে চরাঞ্চলের মেয়েরা!!!

কাজিপুরে জীবনের সাথে যুদ্ধ করে প্রতিদিন স্কুলে যাতায়াত করছে চরাঞ্চলের মেয়েরা!!! 

 




















বিস্তারিতঃ 
সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের ফুলজোড় চর ও ঘোড়া গাছা চর হতে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় করে নাটুয়ারপাড়া ঘাট হয়ে প্রতিদিন স্কুল করছে শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী। এদের মধ্যে অধিকাংশই ছাত্রী।ঘোড়া গাছা উচ্চ বিদ্যালয় ও নাটুয়ারপাড়া হাইস্কুল এর ছাত্রীরাই প্রতিদিন স্কুল থেকে পায়ে হেটে আধাঘন্টা পর নাটুয়ারপাড়া নৌকা ঘাটে যায়। অতপর নৌকা কখন যাবে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয় বেশ সময় ধরে।

নৌকায় ওঠার পর ত্রিশ থেকে চল্লিশ মিনিট সময় ধরে রোদ, বৃষ্টি, ঝড় উপেক্ষা করে কেউ যাচ্ছে ফুলজোড় চরে কেউ যাচ্ছে ঘোড়া গাছা চরে আবার কেউ যাচ্ছে হাট গাছার চরে। নৌকা থেকে নামার পর চরে হাটতে হয় আবারো আধাঘন্টা বা তার বেশী। এভাবেই জীবনের সাথে যুদ্ধ করে প্রতিদিন স্কুলে যাতায়াত করছে চরাঞ্চলের মেয়েরা।

ঘোড়া গাছা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী রহিমা, তাসলিমা ও জোসনা এবং দশম শ্রেণির ছাত্রী সুমি আকতার এর সাথে কথা বললে তারা বলেন, প্রতিদিন দুশ্চিন্তা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হই এবং স্কুল শেষে ঐ দুশ্চিন্তা নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। তারা বলেন, চরাঞ্চলের এই নারী শিক্ষার্থিদের জন্য যদি নির্দিষ্ট ও নিরাপত্তা বেষ্টিত নিরাপদ নৌকা সরকার থেকে যদি দেওয়া হতো তাহলে আমরা দুশ্চিন্তা ছাড়াই স্কুলে যেতে পারতাম।এই রকম নিরাপদ নৌকার কোনো সুযোগ হলে চরের অনেক মেয়েরা আগ্রহী হয়ে উঠবে লেখা পড়া করার জন্য।

এনজিও কর্মী শাহনাজ বলেন, এমনিতে চরে বাল্য বিবাহের হার বেশী। এভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেকে স্কুলে আসতে ভয় পায় এবং এক পর্যায়ে মা বাবা অল্প বয়সেই বিয়ে দিযে দেন। তাই ছাত্রীদের নিরাপত্তার সহিত দুশ্চিন্তামুক্ত পরিবেশ তৈরী করলে চরাঞ্চলে নারী শিক্ষার হার যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি বাল্য বিবাহের হারও কমে যাবে বলে এই এনজিও কর্মী মনে করেন।

কাজিপুরে ভেজাল কীটনাশক ! আটক-১



সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে সিনজেনটা ও পদ্মা কোম্পানির মোড়কে নকল কীটনাশক বাজারজাত করায় এক বিক্রয় প্রতিনিধিকে আটক করে সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। অভিযুক্ত কোরবান আলী (৩২) উপজেলার পশ্চিম খুকশিয়া গ্রামের মৃত মনির উদ্দিন শেখের পুত্র। সে ন্যাচার এন্ড কেয়ার কোম্পানির কাজিপুর উপজেলা বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছিল।


কাজিপুর থানা পুলিশ ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, আজ সন্ধ্যে সাড়ে ছয়টায় উপজেলার আলমপুরে  অভিযুক্ত কোরবান আলী সিনজেনটা ও পদ্মা কোম্পানির মোড়ক লাগিয়ে নকল ভিরপাকো ও ফুরাডান কীটনাশক বিক্রি করছিল। এসময় স্থাণীয় জনতা  তাকে ঘেরাও করে রাখে।

খবর পেয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মামুনুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কল্যাণ প্রসাদ পাল ঘটনাস্থলে পুৃলিশ ফোর্স নিয়ে যান। পরে কোরবান আলীকে ৩ কার্টুন নকল কীটনাশকসহ আটক করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলাম ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। 
রিপটঃআবদুল জলিল

Monday 13 March 2017

বঙ্গবন্ধু সেতু পার হতেই ৬ ঘন্টা




বিস্তারিতঃ‘ভাই সেতু পার হলাম ৬ ঘণ্টায়। আর কিছুই বলার নেই।’ উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী কাঁচামাল পরিবহনকারী ট্রাকচালক আমজাদ হোসেন এভাবেই নিজের হতাশার কথা বললেন।

তার মত একই ভোগান্তিতে পড়েছেন বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী হাজার হাজার পরিবহনের চালক ও যাত্রী সাধারণ। আর এই তীব্র ভোগান্তির মাত্রা বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব হতে টাঙ্গাইলের করটিয়া পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার লম্বা গাড়ির সারি ছাড়িয়ে গেছে।

জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায়ে নতুন নিয়োগ পাওয়া প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম (সিএনএস) পূর্বঘোষণা ছাড়াই সেতুতে টোল আদায়ের জন্য প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব সিস্টেম স্থাপনের জন্য গতকাল (রোববার) দুপুরে কাজ শুরু করে। সংস্কার কাজের জন্য হঠাৎ করে টোলপ্লাজার ছয়টি বুথের মধ্যে পাঁচটি বুথ বন্ধ থাকায় যানজটের সূত্রপাত। পরে তা মধ্যেরাত থেকে তীব্র আকার ধারণ করে।

সোমবার সকাল ৬টার থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে পরিবহনের চাপ বাড়তে থাকায় টাঙ্গাইলের করটিয়া এবং সেতুর পশ্চিমে সিরাজগঞ্জের নলকা পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার যানজটে আটকা পড়ে বিভিন্ন ধরনের পরিবহন।

মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী ট্রাক চালকরা অভিযোগ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুতে পূর্ব ঘোষণা না দিয়ে নতুন সিস্টেমের নামে সেতু পার হতে বাড়তি টাকা আদায় করছে কর্তৃপক্ষ। এই বাড়তি টাকা আদায়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চালকদের তর্ক-বির্তকের হচ্ছে সময় ক্ষেপণ। এ কারনে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহাসড়কে দায়িত্বপ্রাপ্ত হাইওয়ে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে সমন্বয় না করে হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত নেয়ায় এমন বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কে চারলেনের কাজ চলায় এমনিতেই যানজট নিরসনে বেগ পোহাতে হয়। তাই বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ আগে থেকে এ বিষয়ে অবহিত করলে মহাসড়কে যানজট নিরসনে বাড়তি সকল ব্যবস্থাই গ্রহণ করা যেত।

বঙ্গবন্ধু সেতু টোল আদায়ে নতুন নিয়োগ পাওয়া কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম (সিএনএস) প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক মি. জিয়াউর বলেন, নতুন সিস্টেমটি বিআরটিএ সার্ভারের সঙ্গে সংযুক্ত। প্রত্যেকটি গাড়ির ব্লু-বুক অনুযায়ী পরিবহনের আকার পাওয়া যাচ্ছে সে অনুযায়ী টোল আদায় করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (বিবিএ) বঙ্গবন্ধু সেতুর সহকারী প্রকৌশলী মো. ওয়াশিম আলী জানান, বিবিএ থেকে নতুন সিস্টেম চালুর জন্য চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। সে অনুযায়ী নতুন নিয়োগ পাওয়া প্রতিষ্ঠান সিএনএস তাদের কাজ শুরু করেছে।

এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আছাবুর রহমান জানান, বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায়ে হঠাৎ করে সিস্টেম পরিবর্তন করার ফলে মহাসড়কে এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার সকাল ৬টার পর থেকে যানজটের ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এখন পর্যন্ত যানজট অব্যাহত আছে। মহাসড়কে পরিবহনের চাপ থাকায় এ যানজট কখন নিরসন সম্ভব হবে তা সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না।  
সূত্রঃ জাগোনিউজ২৪

হজরত মুসা (আঃ) এর একটি ঘটনা...

 
* একবার হজরত মুসা (আঃ) আল্লাহ্কে জিজ্ঞেস করলেন হে আল্লাহ্, আপনি যখন খুশি হন তখন কি করেন?
- উত্তরে আল্লাহ্ বললেন, আমি তখন বৃষ্টি বর্ষণ করি।
* তখন মুসা (আঃ) আবার জিজ্ঞেস করলেন, যখন বেশি খুশি হন তখন কি করেন?
- আল্লাহ্ বললেন, তখন আমি তোমাদের কন্যা সন্তান দান করি।
* মুসা (আঃ) আবার বললেন, হে আল্লাহ্, আপনি যখন সবচেয়ে বেশি খুশি হন তখন কি করেন? -
তখন আল্লাহ্ বললেন, আমি তখন তোমাদের গৃহে মেহেমান প্রেরন করি।
সুবহাআল্লাহ...

সুতরাং মেহমানদের মেহমানদারি করতে কেও কৃপণতা করবেননা....

কোন রসুন খাবেন?

কোন রসুন খাবেন? 
রসুন খাওয়া হৃদ্‌যন্ত্রের জন্য ভালো। কিন্তু কোন রসুন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চারা গজানো রসুনগুলোয় বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। তাই অঙ্কুরোদ্‌গম হওয়া এই রসুন ফেলে দেওয়া ঠিক নয়। একেবারে নতুন রসুনের চেয়ে যেসব রসুনে হালকা সবুজ চারা দেখা দেয়, সেগুলোয় হৃদ্‌যন্ত্রের জন্য উপকারী উপাদান থাকে।
হাজার বছর ধরে চিকিৎসাকাজে রসুন ব্যবহৃত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জং-স্যাং কিম বলেন, এখনকার মানুষ রসুনের স্বাস্থ্যকর দিকটা সম্পর্কে জানেন। রসুন খেলে প্রাকৃতিকভাবে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমে।
রসুনের গুণাগুণ সম্পর্কে অনেকে জানলেও অঙ্কুরোদ্‌গমের বিষয়ে মানুষ কম জানে। কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, যখন বীজ থেকে অঙ্কুরোদ্‌গম ঘটে, তখন নানা যৌগ তৈরি হয়। এর মধ্য থাকে নতুন চারাকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষাকারী নানা উপাদান। রসুনের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে বলে মনে করেন গবেষকেরা।
গবেষকেরা বলেন, নতুন রসুনের চেয়ে পাঁচ দিনের চারা গজানো রসুনে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকে। পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, রসুনের নির্যাস কোষের নির্দিষ্ট ক্ষতি ঠেকাতে সক্ষম।
‘এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড কেমিস্ট্রি’ শীর্ষক সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ।
গবেষক কিম বলেছেন, রসুনে বাড়তি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যোগ করতে হলে অঙ্কুরোদ্‌গম করিয়ে নেওয়া ভালো।
তথ্যসূত্র:প্রথম আলো

কাজিপুরে লক্ষাধিক মানুষের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যমুনা পারাপার: নৌ মালিকগণ নির্বিকার।

কাজিপুরে লক্ষাধিক মানুষের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যমুনা পারাপার: নৌ মালিকগণ নির্বিকার।
বিস্তারিতঃ সিরাজগঞ্জ কাজিপুর উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের বাসযমুনার চরাঞ্চলে। প্রতিদিনকার কাজে তাদের ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার যমুনা নদী পাড়ি হতে হয়। আর বর্ষা কিংবা বন্যায়, রোদ কিংবা বৃষ্টিতে কোন সময়েই তাদের নেই ন্যূনতম সেবা পাবার অধিকার। দিনের পর দিন তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উপজেলা ও জেলা শহরের সাথে যোগাযোগের জন্য নদী পার হচ্ছেন।
উপজেলার নাটুয়ারপাড়া, খাসরাজবাড়ী, মনসুরনগর, তেকানী, নিশ্চিন্তপুর, শুভগাছা, চরগিরিশ ইউনিয়ন এবং মাইজবাড়ী ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম পুরোপুরি যমুনা নদী বেষ্টিত চরাঞ্চল। এ সব এলাকার মানুষের দৈনন্দিন কাজ বা চিকিৎসার জন্য যেতে হয় জেলা ও উপজেলা সদরে।
জেলা উপজেলা সদরে যোগাযোগের একমাত্র বাহন হচ্ছে ইঞ্জিন চালিত নৌকা। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিশু, নারী-পুরুষ, এমনকি গবাদী পশু এবং নানা প্রকার পণ্য সামগ্রি সবাই ইঞ্জিন চালিত নৌকায় পারাপার হয়। বৃষ্টি, ঝড় তুফানের মধ্যেও প্রতিদিনই দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষ যমুনা নদী পাড়ি দিয়ে তাদের নিজ গন্তব্যে যোগাযোগ রক্ষা করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্গম চরাঞ্চলে নাটুয়ারপাড়ার নৌকা ঘাঁট থেকে ইঞ্জিন চালিত নৌকা ঝড় তুফানের মধ্যে ছেড়ে যায়। কোন নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে বাণিজ্যিক ভাবে যাত্রীবহনের কাজে নিয়োজিত এই সকল শ্যালো ইঞ্জিন চালিত নৌকাগুলো যাত্রী ও মালামাল বহন করে দেদাচ্ছে চলাচল করছে।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, এসব নৌকায় নেই কোন বসার ব্যবস্থা, ছই কিংবা লাইফ জ্যাকেট। দূর্গম চরাঞ্চলের নাটুয়ারপাড়ার একাধিক ব্যবসায়িরা জানান, বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় মৃত্যুর ঝুঁকি থাকা সত্বেও চরাঞ্চলের মানুষকে বাধ্য হয়ে এসব নৌযানে চলাচল করতে হচ্ছে।
ব্যবসায়ি ছাড়াও প্রতিদিন সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এমনকি সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীরাও নিরাপত্তাহীনভাবে যমুনার পার হন। এসব চরের মানুষ অসুস্থ্য হলে উপজেলা কিংবা জেলা শহরে যাতায়াতের জন্যে এসব নৌকায় পাড়ি দিতে হয়। এলাকাবাসি ও যাত্রীরা অভিযোগ করেন, প্রতিদিন শত শত যাত্রী যাতায়াত করে নাটুয়ারপাড়া ও মেঘাই নৌকা ঘাট দিয়ে। ঘাট কর্তৃপক্ষ নৌকা পরাপারে জনপ্রতি ভাড়া নেন ২৫ টাকা।
আর ১০ কেজির বেশি মালামাল নিলেই তার জন্যে আলাদা ভাড়া দিতে হয়। অথচ তাদের যাত্রী সেবার মান বাড়াতে কোন উদ্যোগ নেই না। উপজেলা পরিষদ থেকে মেঘাই ঘাটে একটা যাত্রী ছাউনি তৈরি করেছে। কিন্তু তাতে যাত্রীদের তেমন কোন সুবিধা হয়নি। আর নৌঘাটে নেই টয়লেট, বসার ব্যবস্থা। সরকারীভাবে একটি পল্টুন থাকলেও সেখানে একটির বেশি নৌকা লাগানো সম্ভব নয়।
ফলে প্রায়ই যাত্রীদের ঝুঁকিপূর্ণ সিঁড়ি দিয়ে, পানি বা বালির মধ্যে লাফিয়ে নামতে হয়। এতে করে শিশু, বৃদ্ধদের চরম কষ্ট সহ্য করতে হয়। সাইকেল, মোটসাইকেল ও মালামাল নৌকায় উঠানোর জন্য নেই ভালো ব্যবস্থা। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়, রোগী ও গর্ভবতী মায়েদের উপজেলা বা জেলা হাসপাতালে নেওয়ার ক্ষেত্রে।
প্রতিদিন যমুনা পার হয়ে চরের স্কুলে শিক্ষকতা করা শফিকুল ইসলাম শামসুল আলম, রেদওয়ান ও সাইফুদ্দিন জানান, আমরা প্রতিদিন প্রায় এপার থেকে ৭০ থেকে ৮০ জন শিক্ষক নিয়মিত নৌকা ঘাট দিয়ে চলাচল করি। কিন্তু নৌকা ঘাটে ন্যূনতম যাত্রীসেবা নেই।
নৌকার নির্ধারিত যাত্রী না হওয়া পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ঘাট থেকে অন্তত দুইশত ফুট দূরে ছোট্ট একটা অপেক্ষমান কক্ষ থাকলেও সেখানে রিক্সা ও ভটভটি, ভাড়ায় মোটসাইকেল, অটো রিক্সা চালকরা বসে আড্ডা দেয়। অথচ ঘাট কর্তৃপক্ষের এদিকে কোন খেয়াল নেই। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া দেখা দিলেও অনেক সময় যাত্রী ও মলামালসহ নৌকাগুলো ডুবে গিয়ে এ পর্যন্ত অনেক যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন। অনেক ব্যবসায়ী মালামাল হারিয়ে পথে বসেছেন।
নাটুয়ারপাড়া ঘাট মালিক সমিতির সভাপতি ওমর আলী জানান, ঘাটগুলো প্রায়ই নানাস্থানে সরিয়ে নিতে হয় বলে যাত্রীদের সুযোগ সুবিধার জন্যে তেমন কোন স্থায়ী ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়না। তবে যাত্রীদের বসার ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান।
নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক জানান, আমরা কাজিপুরের চরাঞ্চল বাসী, প্রশাসনের কাছে বারবারই দাবি করেছি চরাঞ্চলের মানুষের নিরাপদ যোগাযোগের ব্যবস্থা করার জন্য। আশা করি কর্তৃপক্ষ সত্বর এ বিষয়ে নজর দেবেন।
সৌজন্যেঃসিরাজগঞ্জ কন্ঠ।

হজরত মুসা (আঃ) এর একটি ঘটনা....

হজরত মুসা (আঃ) এর একটি ঘটনা....
* একবার হজরত মুসা (আঃ) আল্লাহ্কে জিজ্ঞেস করলেন হে আল্লাহ্, আপনি যখন খুশি হন তখন কি করেন?
- উত্তরে আল্লাহ্ বললেন, আমি তখন বৃষ্টি বর্ষণ করি।
* তখন মুসা (আঃ) আবার জিজ্ঞেস করলেন, যখন বেশি খুশি হন তখন কি করেন?
- আল্লাহ্ বললেন, তখন আমি তোমাদের কন্যা সন্তান দান করি।
* মুসা (আঃ) আবার বললেন, হে আল্লাহ্, আপনি যখন সবচেয়ে বেশি খুশি হন তখন কি করেন? -
তখন আল্লাহ্ বললেন, আমি তখন তোমাদের গৃহে মেহেমান প্রেরন করি।
সুবহাআল্লাহ...

সুতরাং মেহমানদের মেহমানদারি করতে কেও কৃপণতা করবেননা....

২৫টি নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ২২ ধরনের সেবা দিবে স্মার্ট কার্ড।


অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে কাজিপুরের ইজিবাইক চালক

                                       সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার অনিক বাবু (২০) নামের এক ইজিবাইক চালককে অজ্ঞান করে মোবাইল ফোন ও বাইক...