কাজিপুরের দূর্গম চরাঞ্চলের নাটুয়ারপাড়ার সাথে জামালপুর সরিষাবাড়ীর স্থল যোগাযোগের।
বিস্তারিতঃ সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার যমুনানদী পূর্ব দূর্গম চরাঞ্চলের লোকজনের যাতায়াতের তিক্ত অভিজ্ঞতা দীর্ঘ দিনের।যমুনা নদীর উত্তাল তরঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত থেকে মুক্তি পেতে এখানকার মানুষ হাজার বছর ধরে সড়ক পথে যাতায়াতের মাধ্যমে যমুনা নদী পাড়ির স্বপ্ন লালন করে আসছে। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেছে। কিন্তু এবার কাজিপুরের যমুনানদী পূর্ব দূর্গম চরাঞ্চলবাসির সুখবর রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে উপজেলার যমুনানদী পূর্ব দূর্গম চরাঞ্চলের নাটুয়ারপাড়ার উত্তর পূর্ব কোণে যমুনানদীর বুক চিরে জেগে উঠছে এক বিশাল ভূমি। ভূমি জাগরণের ওই প্রক্রিয়ায় ক্রমেই জেগে ওঠা চরের আয়তন ও উচ্চতা বাড়ছে তাল মিলিয়ে।এ ধারা অব্যাহত থাকলে কয়েক বছরের মধ্যে প্রকৃতির আপন খেয়ালে নাটুয়ারপাড়ার সঙ্গে মুনসুর নগর হয়ে নিকটবর্তী সরিষাবাড়ি উপজেলার সাথে স্থল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।একই সঙ্গে বিশাল এ চরে নতুন শিল্পকারখানা স্থাপন করতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ আগ্রহীও হয়ে উঠেছে।
তাছাড়া চর প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় এখনই এ সুযোগটি সরকার কাজে লাগাতে পারলে কাজিপুর উপজেলার দূর্গম চরাঞ্চল উন্নয়নের,উত্তর বঙ্গের কৃত্তি সন্তান বর্তমান সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জনাব নাসিম (এমপি) ও কাজিপুরের মা,মাটিও মানুষের নেতা সাবেক এমপি জনাব, প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় ভাইয়ের বৃহৎ পরিকল্পনাও বাস্তবায়িত হবে বলে চরাঞ্চলবাসি আশা প্রকাশ করেন। একাধিক সূত্র জানায়, কাজিপুরের দূর্গম চরাঞ্চলের নাটুয়ারপাড়া টু সরিষাবাড়ী সড়ক পথটি তৈরি হলে কাজিপুরের যমুনানদী পূর্ব দূর্গম চরাঞ্চলবাসির দীর্ঘদিনের স্বপ্ন স্থলপথে মূল ভূ-খণ্ডের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ সম্ভব হবে।
আবার কাজিপুর উপজেলার যমুনা নদী পূর্ব দূর্গম চরাঞ্চলের ৬টি ইউনিয়ন সহ সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার যমুনানদী পূর্ব চরাঞ্চলবাসি রাজধানী ঢাকার সঙ্গে কম সময়ে স্বাচ্ছন্দ্যে স্থল পথে যোগাযোগও করতে পারবেন। জেগে ওঠা বিশাল এ ভূ-খণ্ডে ছোট-খাটো শিল্প কারখানাসহ চমৎকার পর্যটনের মাধ্যমে পাল্টে যাবে কাজিপুর উপজেলার যমুনানদী পূর্ব দূর্গম চরাঞ্চলের গোটা চেহারা। মূল ভূ-খণ্ডের সঙ্গে বর্তমানে যোগাযোগের জন্য এখানে ইঞ্জিন চালিত নৌকার সার্ভিস রয়েছে। শুধুমাত্র দিনের বেলায় এ সকল রুটে যাতায়াত সম্ভব হয়।
কাজিপুর দূর্গম চরাঞ্চলবাসীদের মুমূর্ষু রোগী নিয়ে মারাত্মক বিপাকে পড়তে হয়। সময়মতো চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে অনেক মূল্যবান জীবন। বর্ষায় ডেলিভারি রোগীদের নিয়ে দুর্ভোগের অন্ত থাকে না। অনেক সময় ডেলিভারি রোগীকে স্যালাইন সংযোগ দিয়ে যমুনানদীর উত্তাল ঢেউয়ের মাঝে জীবন বাজি রেখে পাড়ি দিতে হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ঝুঁকিসহ এ সকল অত্যাবশ্যকীয় যাত্রা সিন্দাবাদের অ্যাডভেঞ্চারের মতই। যা না দেখলে কেউ বিশ্বাস করতে পারবে না।
পারাপারের প্রতিটি মুহূর্তই ঝুঁকিপূর্ণ। এত দুর্ভোগ-দুর্ঘটনার পরও কাজিপুরের যমুনানদী পূর্ব চরাঞ্চলে অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করে অতীতের কোনো সরকারই সড়কপথে যোগাযোগের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বিগত ’৯৬ এর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এলজিইডি’র আওতায় কাজিপুর যমুনানদী পূর্ব চরাঞ্চলেরর সঙ্গে মুনসুর নগর হয়ে সরিষাবাড়ির সঙ্গে সড়ক যোগাযোগের একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল কাজিপুরবাসির প্রিয় নেতা বর্তমান সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
এ পরিকল্পনায় সরিষাবাড়ি থেকে মুনসুর নগর হয়ে চরগিরিশ ইউনিয়নের সালাল চর পযর্ন্ত সড়ক বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে মাধ্যমে একীভূত করা হয়েছে।যা চর গিরিশ ইউনিয়নের সালালের চরের নদীর তীর পর্যন্ত একটি সড়কও পাকাকরণ করা হয়েছে। উক্ত সড়ক প্রতিষ্ঠায় কাজিপুরের মা,মাটিও মানুষের নেতা সাবেক এমপি প্রকৌশলী জনাব তানভীর শাকিল জয় ভাইয়ের ব্যক্তিগত আর্থিক সহযোগিতা রয়েছে।সালাল চরের পাকা সড়ক ও নাটুয়ারপাড়া সড়কের প্রান্ত পর্যন্ত মাঝখানে নদীর ব্যবধান খুবই সামান্য। প্রকৃতির স্বাভাবিক আচরণে উভয় প্রান্তে বর্তমানে চর জেগে উঠেছে। সেখানে দিন দিন সালালের চর ও নাটুয়ারপাড়ার দূরত্ব খুব কাছাকাছি চলে আসছে।
এমন অবস্থায় একটি বেইলি ব্রিজের মাধ্যমে সালালের চর- নাটুয়ারপাড়ার যোগাযোগের সহজ সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে বর্তমানে সালালের চরের পশ্চিমাংশে থেকে নাটুয়ারপাড়ার উত্তর পূর্ব কোণের ব্যবধান নদীপথে খুবই কম। মাত্র ২-৩ মিনিটে নৌকা পাড়ি দিয়ে সেখানে যাতায়াত সম্ভব।তাছাড়া সালাল চরের পশ্চিম প্রান্তে ও নাটুয়ারপাড়া উঃপূর্ব কোণের নদীর প্রশস্ততা মাত্র ৫০০মিটার হওয়ায় ক্রসড্রাম না হলেও এখানে বেইলি ব্রিজ দিয়ে সড়ক যোগাযোগ তৈরি করা সহজ।
কম দূরত্বের এ জলপথকে বেইলি ব্রিজের মাধ্যমে সংযুক্ত করে নাটুয়ারপাড়া -মুনসুর নগর-সরিষাবাড়ি মহাসড়কটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে কাজিপুরের দূর্গম চরাঞ্চলবাসির সড়কপথে যোগাযোগের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ করা যাবে।বেইলি ব্রিজগুলোর দৈর্ঘ্যও তুলনামূলক কম বিধায় খরচের পরিমাণও খুব বেশি হবে না বলে ধারণা করছেন ঠিকাদাররা। উক্ত সড়ক প্রতিষ্ঠা করা গেলে কাজিপুরের দূর্গম চরাঞ্চলের সঙ্গে সরিষাবাড়ি সরাসরি যোগাযোগ ছাড়াও এ প্রান্ত দিয়ে কম খরচে নাটুয়ারপাড়া সহ পাশের ইউনিয়ন গুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি গ্যাস সংযোগ প্রদানের পথও সহজ হবে। তাছাড়া সড়কটি আলোর মুখ দেখলে কাজিপুর চরাঞ্চলেরর ৬টি ইউনিয়ন সহ নাটুয়ারপাড়া বানিজিক এলাকায় পরিনিত হবে।নাটুয়ারপাড়ায় যে বিশাল আয়তনের চর জেগে উঠছে তাতে ডেইরি ফার্ম, বড় বড় শিল্প কারখানা স্থাপনসহ একটি চমৎকার পর্যটন এলাকা গড়ে তোলার উজ্জ্বল সম্ভাবনাও সৃষ্টি হবে।
সব চেয়ে আশার কথা হচ্ছে- উক্ত সড়কটি নির্মিত হলে কাজিপুর চরাঞ্চলবাসী খুব অল্প সময়ে ঢাকা সহ সারা বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। সেই সঙ্গে কাজিপুর যমুনা পূর্ব চরাঞ্চলের অবকাঠামোগত চেহারাও পাল্টে যাবে এবং কাজিপুরের মা,মাটিও মানুষের নেতা জনাব,প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় ভাইয়ের, স্বপ্নের ডিজিটাল চরাঞ্চলের পরিনত হবে।নতুন চর জেগে ওঠায় কাজিপুরের চরাঞ্চলের ৬টি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের দীর্ঘ দিনের বুকের মাঝে লালিত স্বপ্ন বাস্তবে রুপ নিবে।
সূত্রঃসিরাজগঞ্জ কন্ঠ
বিস্তারিতঃ সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার যমুনানদী পূর্ব দূর্গম চরাঞ্চলের লোকজনের যাতায়াতের তিক্ত অভিজ্ঞতা দীর্ঘ দিনের।যমুনা নদীর উত্তাল তরঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত থেকে মুক্তি পেতে এখানকার মানুষ হাজার বছর ধরে সড়ক পথে যাতায়াতের মাধ্যমে যমুনা নদী পাড়ির স্বপ্ন লালন করে আসছে। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেছে। কিন্তু এবার কাজিপুরের যমুনানদী পূর্ব দূর্গম চরাঞ্চলবাসির সুখবর রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে উপজেলার যমুনানদী পূর্ব দূর্গম চরাঞ্চলের নাটুয়ারপাড়ার উত্তর পূর্ব কোণে যমুনানদীর বুক চিরে জেগে উঠছে এক বিশাল ভূমি। ভূমি জাগরণের ওই প্রক্রিয়ায় ক্রমেই জেগে ওঠা চরের আয়তন ও উচ্চতা বাড়ছে তাল মিলিয়ে।এ ধারা অব্যাহত থাকলে কয়েক বছরের মধ্যে প্রকৃতির আপন খেয়ালে নাটুয়ারপাড়ার সঙ্গে মুনসুর নগর হয়ে নিকটবর্তী সরিষাবাড়ি উপজেলার সাথে স্থল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।একই সঙ্গে বিশাল এ চরে নতুন শিল্পকারখানা স্থাপন করতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ আগ্রহীও হয়ে উঠেছে।
তাছাড়া চর প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় এখনই এ সুযোগটি সরকার কাজে লাগাতে পারলে কাজিপুর উপজেলার দূর্গম চরাঞ্চল উন্নয়নের,উত্তর বঙ্গের কৃত্তি সন্তান বর্তমান সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জনাব নাসিম (এমপি) ও কাজিপুরের মা,মাটিও মানুষের নেতা সাবেক এমপি জনাব, প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় ভাইয়ের বৃহৎ পরিকল্পনাও বাস্তবায়িত হবে বলে চরাঞ্চলবাসি আশা প্রকাশ করেন। একাধিক সূত্র জানায়, কাজিপুরের দূর্গম চরাঞ্চলের নাটুয়ারপাড়া টু সরিষাবাড়ী সড়ক পথটি তৈরি হলে কাজিপুরের যমুনানদী পূর্ব দূর্গম চরাঞ্চলবাসির দীর্ঘদিনের স্বপ্ন স্থলপথে মূল ভূ-খণ্ডের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ সম্ভব হবে।
আবার কাজিপুর উপজেলার যমুনা নদী পূর্ব দূর্গম চরাঞ্চলের ৬টি ইউনিয়ন সহ সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার যমুনানদী পূর্ব চরাঞ্চলবাসি রাজধানী ঢাকার সঙ্গে কম সময়ে স্বাচ্ছন্দ্যে স্থল পথে যোগাযোগও করতে পারবেন। জেগে ওঠা বিশাল এ ভূ-খণ্ডে ছোট-খাটো শিল্প কারখানাসহ চমৎকার পর্যটনের মাধ্যমে পাল্টে যাবে কাজিপুর উপজেলার যমুনানদী পূর্ব দূর্গম চরাঞ্চলের গোটা চেহারা। মূল ভূ-খণ্ডের সঙ্গে বর্তমানে যোগাযোগের জন্য এখানে ইঞ্জিন চালিত নৌকার সার্ভিস রয়েছে। শুধুমাত্র দিনের বেলায় এ সকল রুটে যাতায়াত সম্ভব হয়।
কাজিপুর দূর্গম চরাঞ্চলবাসীদের মুমূর্ষু রোগী নিয়ে মারাত্মক বিপাকে পড়তে হয়। সময়মতো চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে অনেক মূল্যবান জীবন। বর্ষায় ডেলিভারি রোগীদের নিয়ে দুর্ভোগের অন্ত থাকে না। অনেক সময় ডেলিভারি রোগীকে স্যালাইন সংযোগ দিয়ে যমুনানদীর উত্তাল ঢেউয়ের মাঝে জীবন বাজি রেখে পাড়ি দিতে হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ঝুঁকিসহ এ সকল অত্যাবশ্যকীয় যাত্রা সিন্দাবাদের অ্যাডভেঞ্চারের মতই। যা না দেখলে কেউ বিশ্বাস করতে পারবে না।
পারাপারের প্রতিটি মুহূর্তই ঝুঁকিপূর্ণ। এত দুর্ভোগ-দুর্ঘটনার পরও কাজিপুরের যমুনানদী পূর্ব চরাঞ্চলে অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করে অতীতের কোনো সরকারই সড়কপথে যোগাযোগের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বিগত ’৯৬ এর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এলজিইডি’র আওতায় কাজিপুর যমুনানদী পূর্ব চরাঞ্চলেরর সঙ্গে মুনসুর নগর হয়ে সরিষাবাড়ির সঙ্গে সড়ক যোগাযোগের একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল কাজিপুরবাসির প্রিয় নেতা বর্তমান সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
এ পরিকল্পনায় সরিষাবাড়ি থেকে মুনসুর নগর হয়ে চরগিরিশ ইউনিয়নের সালাল চর পযর্ন্ত সড়ক বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে মাধ্যমে একীভূত করা হয়েছে।যা চর গিরিশ ইউনিয়নের সালালের চরের নদীর তীর পর্যন্ত একটি সড়কও পাকাকরণ করা হয়েছে। উক্ত সড়ক প্রতিষ্ঠায় কাজিপুরের মা,মাটিও মানুষের নেতা সাবেক এমপি প্রকৌশলী জনাব তানভীর শাকিল জয় ভাইয়ের ব্যক্তিগত আর্থিক সহযোগিতা রয়েছে।সালাল চরের পাকা সড়ক ও নাটুয়ারপাড়া সড়কের প্রান্ত পর্যন্ত মাঝখানে নদীর ব্যবধান খুবই সামান্য। প্রকৃতির স্বাভাবিক আচরণে উভয় প্রান্তে বর্তমানে চর জেগে উঠেছে। সেখানে দিন দিন সালালের চর ও নাটুয়ারপাড়ার দূরত্ব খুব কাছাকাছি চলে আসছে।
এমন অবস্থায় একটি বেইলি ব্রিজের মাধ্যমে সালালের চর- নাটুয়ারপাড়ার যোগাযোগের সহজ সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে বর্তমানে সালালের চরের পশ্চিমাংশে থেকে নাটুয়ারপাড়ার উত্তর পূর্ব কোণের ব্যবধান নদীপথে খুবই কম। মাত্র ২-৩ মিনিটে নৌকা পাড়ি দিয়ে সেখানে যাতায়াত সম্ভব।তাছাড়া সালাল চরের পশ্চিম প্রান্তে ও নাটুয়ারপাড়া উঃপূর্ব কোণের নদীর প্রশস্ততা মাত্র ৫০০মিটার হওয়ায় ক্রসড্রাম না হলেও এখানে বেইলি ব্রিজ দিয়ে সড়ক যোগাযোগ তৈরি করা সহজ।
কম দূরত্বের এ জলপথকে বেইলি ব্রিজের মাধ্যমে সংযুক্ত করে নাটুয়ারপাড়া -মুনসুর নগর-সরিষাবাড়ি মহাসড়কটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে কাজিপুরের দূর্গম চরাঞ্চলবাসির সড়কপথে যোগাযোগের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ করা যাবে।বেইলি ব্রিজগুলোর দৈর্ঘ্যও তুলনামূলক কম বিধায় খরচের পরিমাণও খুব বেশি হবে না বলে ধারণা করছেন ঠিকাদাররা। উক্ত সড়ক প্রতিষ্ঠা করা গেলে কাজিপুরের দূর্গম চরাঞ্চলের সঙ্গে সরিষাবাড়ি সরাসরি যোগাযোগ ছাড়াও এ প্রান্ত দিয়ে কম খরচে নাটুয়ারপাড়া সহ পাশের ইউনিয়ন গুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি গ্যাস সংযোগ প্রদানের পথও সহজ হবে। তাছাড়া সড়কটি আলোর মুখ দেখলে কাজিপুর চরাঞ্চলেরর ৬টি ইউনিয়ন সহ নাটুয়ারপাড়া বানিজিক এলাকায় পরিনিত হবে।নাটুয়ারপাড়ায় যে বিশাল আয়তনের চর জেগে উঠছে তাতে ডেইরি ফার্ম, বড় বড় শিল্প কারখানা স্থাপনসহ একটি চমৎকার পর্যটন এলাকা গড়ে তোলার উজ্জ্বল সম্ভাবনাও সৃষ্টি হবে।
সব চেয়ে আশার কথা হচ্ছে- উক্ত সড়কটি নির্মিত হলে কাজিপুর চরাঞ্চলবাসী খুব অল্প সময়ে ঢাকা সহ সারা বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। সেই সঙ্গে কাজিপুর যমুনা পূর্ব চরাঞ্চলের অবকাঠামোগত চেহারাও পাল্টে যাবে এবং কাজিপুরের মা,মাটিও মানুষের নেতা জনাব,প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় ভাইয়ের, স্বপ্নের ডিজিটাল চরাঞ্চলের পরিনত হবে।নতুন চর জেগে ওঠায় কাজিপুরের চরাঞ্চলের ৬টি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের দীর্ঘ দিনের বুকের মাঝে লালিত স্বপ্ন বাস্তবে রুপ নিবে।
সূত্রঃসিরাজগঞ্জ কন্ঠ
No comments:
Post a Comment