Monday 3 April 2017

এতিম ফাউন্ডেশনের নতুন খাতা এবং ইসমাইল সাহেবের কিছু কথা

বাংলাদেশ প্রাইমরী এন্ড হাইস্কুল এতিম ফাউন্ডেশনের নতুন খাতা তৈরি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক গার্মেন্টস শ্রমিক মোঃ ইসমাইল হোসেন সিরাজী।
********************************************
ইসমাইল সাহেবের কিছু কথাঃ
এখন থেকে নতুন মোড়কে ১দিস্তা কাগজের লেখার খাতা ও একটি কলম প্রতি মাসে পাবে তালিকা ভুক্ত এতিম ছাত্র-ছাত্রী।

কাজিপুর উপজেলার উল্লাপাড়া গ্রামের মৃত জিন্নাত আলীল পুত্র গার্মেন্টস শ্রমিক মোঃ ইসমাইল হোসেন সিরাজি ব্যক্তিগত উদ্যোগে কাজিপুর উপজেলার ৪২টি প্রাথমিক ও হাইস্কুলের ৪৬০জন দরিদ্র এতিম ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে এই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে কয়েক বছর যাবত।
বাংলাদেশ প্রাইমারি এন্ড হাইস্কুল ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ইসমাইল হোসেন সিরাজী মুক্ত বাংলা কে জানান আমি টাকা পয়সার অভাবে লেখা পড়া করতে পারিনি।
একদিন এক দিস্তা কাগজের অভাবে স্কুলে পড়া লিখে দিতে পারিনি একটি কলম কতটা হিসাব করে লিখেছি তা শুধু আমি জানি।ছোট বেলাতেই বাবা কে হাড়িয়েছি।

বাবা ছাড়া জীবন টা যে কত কষ্ঠের তা আমি জানি।ইচ্ছে থাকা সত্যেও লেখা পড়া করতে পারিনি।আমি তো খুব ভালো ছাত্র ছিলাম না তবে আমার পার্শ্ববর্তি এক দরিদ্র মেধাবি ছাত্রের কাগজ কলমের অভাবে লেখা পড়া করতে পারেনি।
সেই থেকে আমার মধ্যে একটা উপলব্ধী কাজ করছে যে যদি আমার সুযোগ হয় তাহলে আমি দরিদ্র এতিম ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য কিছু কাজ করে যাব। লেখা পড়া যতটুকু শিখেছি এর পর কয়েক বছর যাবৎ আমি শিল্পপতি মোশারফ সাহেবের ষ্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টস এ ওয়াশিং ষ্টোর সাপ্লাইম্যান পদে মাসিক ১২হাজার টাকা বেতনে চাকরি করছি এবং অব টাইমে ওভারটাইম এ কাজ করে আরো কিছু টাকা আয় করার চেষ্টা করি। অনেক কষ্ট সেখান থেকে ৫-৬ হাজার টাকা বাচিয়ে দরিদ্র এতিম ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে প্রতি মাসে আমি এই খাতা কলম বিতরন করে আসছি।
ইতিপূর্বে আমি দিস্তা কাগজ বিতরন করেছি। এতে কিছু সমস্যা হয়েছে অনেক ছাত্র/ছাত্রী বলেছেন খাতার মলাট না থাকায় খাতা তাড়াতাড়ি ছিড়ে যায়।তাই তাদের কথা মাথায় রেখে আমার একটু কষ্ট হলেও এই মলাট যুক্ত খাতা তৈরি করেছি।
তার মহতী উদ্যোগকে অনেকেই স্বাগত জানিয়েছেন।
কাজিপুরের সকল স্কুলে তিনি তার প্রতিষ্ঠানের খাতা কলম পৌছাতে চান।তিনি এই কর্মসূচিকে চালিয়ে নেওয়ার এবং বৃদ্ধি করার জন্য সমাজ ও দেশের বৃত্তবানদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।

সংস্থার পরিচালক মোঃ ইসমাইল হোসেন সিরাজি মুক্ত বাংলাকে আরো বলেন সংস্থাকে আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে দরিদ্র মেধাবি ছাত্র/ছাত্রীদের সংখ্যা যাতে আরো বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে যথাযথ চেষ্টা করছি। আমি সকলের কাছে দোয়া চাই।আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন সুস্থ থাকি।
প্রতিবেদনঃ মুক্ত বাংলা নিজস্ব প্রতিনিধি।

No comments:

Post a Comment

অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে কাজিপুরের ইজিবাইক চালক

                                       সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার অনিক বাবু (২০) নামের এক ইজিবাইক চালককে অজ্ঞান করে মোবাইল ফোন ও বাইক...