Monday 31 July 2017

মুক্ত বাংলাঃ-শুরু হলো শোকের মাস আগস্ট

 

  
আজ পহেলা আগস্ট। বাঙালি, বাংলাদেশের শোকের মাস। বর্ষণমুখর এই মাসটি আমাদের জন্য অশ্রু ও বেদনার মাস। এ মাসের ১৫ তারিখের রাতটি কেবল বঙ্গবন্ধু ও সেদিন ৩২ নম্বরে উপস্থিত পরিবারের স্বজনদের নৃশংস হত্যার কালরাত নয়, নয় কেবল শেখ মনি দম্পতি, আবদুর রব সেরনিয়াবাত হত্যাকা-ের কালরাত। এ ছিল এক জঘন্য চক্রান্ত ও গভীর ষড়যন্ত্রের বহির্প্রকাশ। এ কেবল কয়েকজন রজনীতিবিদের হত্যাকা- নয়, এ ছিল আমাদের জাতীয় ইতিহাসের উল্টোযাত্রার অপপ্রয়াস।

এই ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ আমাদের জাতীয় ইতিহাসে যেন এক বিভাজন রেখা। বায়ান্ন থেকে এ জাতির যে অভিযাত্রা শুরু হয়েছিল তার গতিমুখ ছিল গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা ও স্বাধীনতার দিকে। কিন্তু পঁচাত্তরের পটপরিবর্তনের সঙ্গে জাতীয় ইতিহাসেরও গতি পরিবর্তনের জবরদস্তি আমরা লক্ষ করি। সেই থেকে টানা দুই দশক বাংলাদেশের রাজনীতি চলেছে মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যাখ্যাত পাকিস্তানি প্রতিক্রিয়াশীলতার ধারায়। বহু আন্দোলন-সংগ্রাম ও ত্যাগের মধ্য দিয়ে এ দেশ আবার স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সামনে চলার প্রেরণা ফিরে পেয়েছে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু ও জেলহত্যার ঘাতকদের বহু প্রত্যাশিত বিচার ও শাস্তি হয়েছে। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারও চলছে এবং অনেকের রায় অনুযায়ী শাস্তি হয়েছে।
ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং জেলের ডায়রি ‘কারাগারের রোজনামচা’ প্রকাশিত হয়েছে। তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার এ যেন প্রত্যক্ষ প্রমাণ আমাদের সামনে। অনেক বিতর্ক ও অপপ্রচার কাটিয়ে আজ বঙ্গবন্ধুর ভাবমূর্তি জাতির সামনে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভাস্বর হয়ে উঠেছে।

এই আগস্ট মাস নানা কারণেই শোকবিধুর মাস। এই মাসেই তিরোধান ঘটেছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। এ মাসেই জাপানের হিরোশিমা-নাগাসাকিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন লাখো মানুষ। এ মাস আমাদের শোকার্ত করে জাতীয় কবি নজরুলের মৃত্যু উপলক্ষে। এ মাসে সাম্প্রতিককালের বাঙালির প্রিয় কবি শামসুর রাহমান ও মুক্তচিন্তার লেখক এবং কবি হুমায়ুন আজাদেরও মৃত্যু হয়েছিল। আর বঙ্গবন্ধুকন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল এ মাসেই। সেই হামলায় আওয়ামী লীগের নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন।

তবে সব ছাপিয়ে আপামর বাঙালি বারবার স্মরণ করে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে।

মুক্ত বাংলাঃ-শোকের মাসে জন্মদিন পালন না করার ঘোষনাঃ প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়।

 

আগস্ট মাসে জন্মদিন উপলক্ষে কেঁক কাঁটা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানালেন ক্যাপ্টেন মুনসুর আলীর উত্তরসূরি, উত্তরবঙ্গের সিংহ পুরুষ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সুযোগ্য সন্তান, সিরাজগঞ্জ-১ কাজিপুর আসনের সাবেক সাংসদ, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক-লীগের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী তানভির শাকিল জয়। ১৯৭৪ সালের ১লা আগস্ট জাতীয় নেতা ক্যাপ্টেন মুনসুর আলীর সন্তান মোহাম্মদ নাসিম ও লায়লা আঞ্জমান বানু বীথির ঘরে জন্মগ্রহন তানভীর শাকিল জয়। তিন ভাই এর মধ্যে তিনিই বড়।
তিনি ১লা আগস্টের শোকের মাসে জন্মদিন পালন করা থেকে বিরত থাকার জন্য তার শুভাকাক্ষী ও দলের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের নিষেধ করেছেন।
তিনি মুঠোফোনে জানান, শোকের আগস্ট মাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদৎ বার্ষিকী, জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার ১৩ম বার্ষিকী উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে আওয়ামী-লীগ ও অন্যান্য সংগঠন। এসব কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে আরও ভালোভাবে জানবে, জাতির জনকের আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নিয়ে সেটা নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করবে। ১লা আগস্টে জন্মদিন পালন না কওে দলীয় কর্মসূচি সফল করতে নেতাকর্মীদের দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। এসময় তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়াও চেয়েছেন।
নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বের তানভীর শাকিল জয় তাঁর এলাকার সর্বস্তরের মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় একটি নাম। তিনি ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-(১) কাজিপুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তারপর দীর্ঘ পাঁচ বছর নিজের নির্বাচিত এলাকার উন্নয়নে, এলাকার মানুষের সুখ-দুখে নিরালস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
তিনি পিতামহ জাতীয় নেতা শহীদ এম মনসুর আলী ও পিতা মোহাম্মদ নাসিমের পদাঙ্ক অনুসরণ করে কাজিপুরের নদীভাঙ্গা দুখী মানুষের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি দাদা জাতীয় নেতা শহীদ এম মনসুর আলী ও পিতা জাতীয় রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ নাসিমের ধারাবাহিকতায় নিজেকে রাজনীতির মাধ্যমে জনবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন।
২০০৭ সালের ১১জানুয়ারি সেনা সমর্থিত ফকরুদ্দিন সরকার ক্ষমতায় এসে মোহাম্মদ নাসিম সহ দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করে বিভিন্ন কারাগারে অন্তরীণ রাখে। সে সময় কাশিমপুর কারাগারে মোহাম্মদ নাসিম স্ট্রোক করেন। মূলত তখনই তানভীর শাকিল জয়কে জনসমুখে আসতে হয়। পিতার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজনীতির বিপক্ষে দাঁড়ানো সেনা সমর্থিত সেই সরকারের সঙ্গে লড়তে হয়েছে তাঁকে। ভীষণ প্রতিকুল পরিস্থিতির মোকাবেলা করে তিনি পিতাকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে সক্ষম হন।
মোহাম্মদ নাসিম সিঙ্গাপুরে চিকিৎসারত অবস্থায় দেশে ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনের আয়োজন শুরু হয়। সেখানেও নানা বৈরি পরিস্থিতির মোকাবেলা করে মানুষের ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে যান তরুণ এই রািজনীতিবীদ প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়।
তানভীর শাকিল জয় ঢাকা ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল থেকে স্টার মার্কসহ প্রথম বিভাগে এস,এস,সি এবং ঢাকা কলেজ থেকে স্টার মার্কসহ প্রথম বিভাগে এইচ,এস,সি পাশ করেন। তারপর তিনি আমেরিকায় ভার্জিনিয়ার বিখ্যাত জর্জ ম্যাশন ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেকট্রনিক্স এন্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার বিষয়ে বি,এস,সি ডিগ্রি অর্জন করেন।

তানভীর শাকিল জয় ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডঃ মোহাম্মদ শফি চৌধুরীর কন্যা সাবরিনা সুলতানা চৌধুরীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বর্তমানে স্ত্রী সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক। এই দম্পতি ‘তাপসী জয় (প্রথমা)’ নামক এককন্যা সন্তানের জনক-জননী।

Sunday 30 July 2017

মুক্ত বাংলাঃ-কাজীপুরে অজ্ঞাত যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার


কাজীপুর থানা পুলিশ অজ্ঞাত এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। রবিবার দুপুরে উপজেলার গান্দাইল ইউনিয়নের কালীকাপুর হাটখোলা এলাকার একটি খাল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
গান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার আমিনুল ইসলাম জানান, রবিবার বেলা ১২টার দিকে কালীকাপুর হাটখোলা এলাকার একটি খালে এক যুবকের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থান
ীয়রা তার পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি। পরে বিষয়টি কাজীপুর থানা পুলিশকে অবগত করা হয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
কাজীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আজম লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।


সূত্রঃ-যমুনাবার্ত নিউজ।

মুক্ত বাংলাঃ-কাজীপুরের বেড়িপোটলে স্থাপিত হচ্ছে আমিনা মনসুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট!!ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন!!


মানুষ এখন উন্নয়নে বিশ্বাসী। আর উন্নয়ন চায় বলেই এদেশের জনগণ বাারবার উন্নয়নের রূপকার জননেত্রি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আ.লীগকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। রবিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে আমিনা মনসুর টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন পরবর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রি মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, লন্ডনে বসে বেগম জিয়ার ও তার সন্তান মিলে দেশকে আকার্যকর করতে আগামী নির্বাচনকে ভন্ডুল করার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি সন্ত্রাসীদের জন্যে নানাভাবে মায়াকান্না শুরু করে দিয়েছেন। নাসিম বলেন, যে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশ আমেরিকা - ইউরোপকে ছাড়িয়ে গেছে বলে উল্লেখ করে মন্ত্রি বলেন, এখন সময় এসেছে দলীয় নেতাকর্মিদের একতাবন্ধ হবার। দেশবিরোধী শত্রুদের শক্তহাতে দমন করে উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। নাসিম আরো বলেছেন- কোন চক্রান্ত ষড়যন্ত্র করে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তা সংবিধান অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অধিনেই নির্বাচন হবে। এর কোন বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগকে ভোটের মাধ্যমে পরাজিত করতে পারবেনা বলেই বিএনপি দেশী বিদেশী চক্রান্তের পথে পা দিয়েছে। তাদের এই চক্রান্ত সফল হবে না। এ দেশের জনগণ শান্তি ও উন্নয়নের পক্ষে থাকবে। যে কোন অশুভ শক্তির চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেবে। তিনি বলেন চরাঞ্চলের মানুষের জন্যে মনসুরনগর, নাটুয়ারপাড়া এবং নিশ্চিন্তপুর ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র গত শনিবার উদ্বোধন করা হয়েছে। এতে করে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূলের মানুষের কাছে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেবার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এই দুর্গম চরাঞ্চলে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে তা পূরণ করা হলো। কাজীপুরের উন্নয়ন কার্যক্রম শেষ করতে তিনি সবার সহযোগিতকা কামনা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কামরুন্নাহার সিদ্দিকা, পাট মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব, কাজীপুরের সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম, কাজীপুর পৌর মেয়র হাজী নিজাম উদ্দিন, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি শওকত হোসেন, সাধারন সম্পাদক খলিলুর রহমান, যুগ্ন সম্পাদক ছাইদুল ইসলাম, আব্দুল হান্নান তালুকদার, গান্দাইল ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে নাজমুল আলম প্রমূখ।# ৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কলেজের ভিত্তিপ্র¯তর স্থাপন শেষে মন্ত্রি মোনাজাতে অংশ নেন।


রিপটঃ- আব্দুল জলিল স্যার



pagelink:-www.facebook.com/muktobangla.kazipur

Saturday 29 July 2017

মুক্ত বাংলাঃ-জনগণের ভালবাসা নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও নৌকার বিজয় হবে, সোনামুখীতে -স্বাস্থ্যমন্ত্রি মোহাম্মদ নাসিম।



সোমামুখী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ আয়োজিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহজাহান আলী।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কাজীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক বকুল সরকার, সোনামুখী ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আবু জাফর মন্ডল প্রমূখ। এর আগে নাসিম সোনামুখীতে কাজীপুর শহীদ শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন এবং পরে মাইজবাড়িতে বেলতৈল সড়ক পাকা করন কাজের শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময় পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক আবু নুর মোঃ শামসুজ্জামান, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম, প্রকল্পের ইজ্ঞিনিয়ার নাসির উদ্দিন সহ উপজেলার বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

১৪ দলের সমন্বয়ক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রি মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনার শাসনামলের বর্তমান বাংলাদেশ শান্তির দেশে পরিণত হয়েছে। মানুষের মনে এখন শান্তির সুবাতাস বইছে।
তাই বিএনপির কোন চক্রান্ত সামনের নির্বাচনকে ভন্ডল করতে পারবে না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অধিনেই অনুষ্ঠিত হবে মন্তব্য করে নাসিম আরো বলেছেন ক্ষমতায় থেকে বিএনপি’র মতো আওয়ামীলীগ হাওয়া ভবন সৃষ্টি করেনি, জঙ্গীবাদেরও সৃষ্টি করেনি। বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ শান্তির দেশে পরিণত হয়েছে। দেশের মানুষ সুখে শান্তি বসবাস করছে। তাই জনগণকে আওয়ামীলীগ ভয় পায়না না । জনগণের ভালবাসা নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও নৌকার বিজয় হবে। তিনি শুক্রবার বিকেলে তাঁর নির্বাচনী এলাকা কাজীপুরের সোনামুখীতে আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেছেন।
রিপটঃ-আবদুল জলিল স্যার।

Tuesday 25 July 2017

মুক্ত বাংলাঃ-এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন কাজিপুরের সচেতন নাগরিক সমাজ।


সভাপতি এ কে এম ফজলুল হক মনোয়ার, সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম পলাশী, সাধারণ সম্পাদক আলমাহমুদ সরকার জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক টি এম কামাল, প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান, অর্থ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক সহ অন্যান্য সদস্য গণ ২০১৭ এর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

মুক্ত বাংলাঃ-একনজরে কাজিপুরের এইচ এস সি ফলাফল- ২০১৭


 কাজিপুরে শীর্ষে আছে আলহাজ্ব ফরহাদ আলী কলেজ।
 গত বছরের তুলনায় অনেকটা ভালো করেছে কাজিপুর সরকারী মুনসুর আলী কলেজ ।
 গত বছর শীর্ষে থাকা চালিতাডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রী কলেজ এবার কিছুটা পিছিয়েছে।

শতকরা পাশের হার সহ কাজিপুরের ১৩ টি কলেজের ফলাফল দেওয়া হইয়েছে। ।তথ্য সংগ্রহ ও প্রতিবেদন তৈরি করেছেন মুক্ত বাংলা নিজস্ব প্রতিনিধি।কাজিপুরের PSC,JSC,SSC,HSC এর ফলাফল জানতে লাইক দিয়ে মুক্ত বাংলার সাথেই থাকুন।

১।আলহাজ্ব ফরহাদ আলী কলেজ- পরীক্ষার্থী -১৯০ জন,পাশকরেছে-১৮৫, (A+ ৩) জন (৯৭.৩৭%)
“মুক্ত বাংলা”
২।নাটুয়ারপাড়া ডিগ্রী কলেজ- পরীক্ষার্থী -২৪৯ জন,পাশকরেছে-২৩১, (A+ ০)জন (৯২.৭৭%)
“মুক্ত বাংলা"
৩।কাজিপুর সরকারী মুনসুর আলী কলেজ- পরীক্ষার্থী ২৩৪ জন ,পাশকরেছে-১৮৯, (A+ ১)জন (৮০।৭৭%)
“মুক্ত বাংলা”
৪।উদগারী কলেজ- পরীক্ষার্থী-১১৩জন ,পাশকরেছে-৮৫, (A+ ২)জন (৭৫.২২%)
“মুক্ত বাংলা"
৫।আমিনা মুনছুর আলী কলেজ- পরীক্ষার্থী-১৪১জন ,পাশকরেছে-১০৭, (A+ ২)জন (৭১.৮১%)
“মুক্ত বাংলা"
৬।গান্ধাইল আইডিয়াল ডিগ্রী কলেজ- পরীক্ষার্থী-৭৮জন ,পাশকরেছে-৫৬, (A+ ০)জন (৭১.৭৯%)
“মুক্ত বাংলা"
৭।চালিতাডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রী কলেজ- পরীক্ষার্থী -৯৩ জন ,পাশকরেছে-৬৬, (A+ ০)জন (৭০.৯৬%)
“মুক্ত বাংলা"
৮।আর আই এম ডিগ্রী কলেজ- পরীক্ষার্থী -২৩৬জন ,পাশকরেছে-১৫৭, (A+ ২)জন (৬৬.৫৩%)
“মুক্ত বাংলা"
৯। আঙ্চলিক মহিলা কলেজ- পরীক্ষার্থী -৫৮জন ,পাশকরেছে-৩৬, (A+ ০)জন (৬২.০৭%)
“মুক্ত বাংলা"
১০।বঙ্গবন্ধু ডিগ্রী কলেজ - পরীক্ষার্থী -১৫৩ জন ,পাশকরেছে-৯১, (A+ ০)জন (৫৯.৪৮%)
“মুক্ত বাংলা"
১১।আফজাল হোসেন মেমোরিয়াল কলেজ- পরীক্ষার্থী-৮০জন ,পাশকরেছে-৪০, (A+ ০)জন (৫০.০০%)
“মুক্ত বাংলা"
১২।কাজিপুর থানা সদর কলেজ- পরীক্ষার্থী-৭৪জন ,পাশকরেছে-২৮, (A+ ১)জন (৩৭.৮৪%)
“মুক্ত বাংলা"
১৩। কাজিপুর মহিলা কলেজ- পরীক্ষার্থী-৪৬ জন ,পাশকরেছে-১৮, (A+ ০)জন (৩৪.১৩%)
“মুক্ত বাংলা”

উল্লেখ,যে অন্যান্য বিভাগের তুলনায় প্রতিটি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে পাশের হার বেশী।
মুক্ত বাংলার ফাইল পোস্ট থেকে গত বছরের শতকরা পাশের হার আপানাদের আরেকবার দেখানোর জন্য দেওয়া হয়েছে ।আপনারাই তুলনা করুন। কাজিপুরের ১৩ টি কলেজের-২০১৬ সালের এইচ এস সি ফলাফল।
১।চালিতাডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রী কলেজ-৯০.০০%।
২।বঙ্গবন্ধু ডিগ্রী কলেজ -৮৬.৭১%।
৩।গান্ধাইল আইডিয়াল ডিগ্রী কলেজ-৮৪.৪৮%।
৪।নাটুয়ারপাড়া ডিগ্রী কলেজ-৮১.৩৭%।
৫।কাজিপুর মহিলা কলেজ-৮০ ৯৫%।
৬।আলহাজ্ব ফরহাদ আলী কলেজ-৭৭.৭৮%।
৭।আমিনা মুনছুর আলী কলেজ-৭৭.৬০%।
৮।আর আই এম ডিগ্রী কলেজ-৭৬.৮৯%।
৯।আফজাল হোসেন মেমোরিয়াল কলেজ-৭৫.৮৯%।
১০।উদগারী কলেজ-৭১.৪৩%।
১১।কাজিপুর থানা সদর কলেজ-৬৪.৭৯%।
১২।আঙ্চলিক মহিলা কলেজ-৫৯.৬৮%।
১৩।কাজিপুর সরকারী মুনসুর আলী কলেজ-৫৫.১৭%।

মুক্ত বাংলা সব সময় কাজিপুরের সকল তথ্য প্রচার করে আসছে ।আপনার লাইক ,কমেন্ট,শেয়ার এবং মুল্যবান মতামত জানাতে ভুলবেন না!!
মুক্ত বাংলা
জানতে চাই,জানাতে চাই
কাজিপুরের একটি আঙচলিক ফেসবুক পেইজ।
সবার আগে কাজিপুরের সর্বশেষ খবর, দেখুন মুক্ত বাংলা ফেসবুক পেজে।
এ ছাড়াও আমাদের ওয়েভ সাইট ও গ্রুপে এই খবর গুলো পুর্ণপ্রচার করা হয় সেখানে ও পড়তে পারবেন।

((((শেয়ার করে কাজিপুরের সবাই কে জানাতে ভুলবেন না)))))


pagelink:-www.facebook.com/muktobangla.kazipur

Saturday 22 July 2017

মুক্ত বাংলাঃ-জন্মদিনে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সাথে এক কাতারে বসে খাবার খেলেন প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন। আয়োজনে "মুজিব পাড়া দূঃস্থ কল্যাণ ট্রাস্ট"



 প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন এর জন্মদিন উপলক্ষে কাজিপুরের গান্ধাইলের
মুজিব পাড়া দূঃস্থ কল্যাণ ট্রাস্ট এর আয়োজনে আজ দুপুরে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা কমেটি। উক্ত দোয়া মাহফিলে প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেনের দীর্ঘায়ু এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সেবায় যেভাবে কাজ করছেন ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা যেন ধরে রাখতে পারেন সেই কামনা করা হয়।

এ প্রসঙ্গে মুজিবপাড়া দুঃস্থ কল্যাণ ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক রাজু মুক্ত বাংলা কে জানিয়েছেন প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন আমাদের কাজিপুরের অন্যতম গর্ব,তাঁর জন্মদিন আমরা এর আগেও পালন করেছি। বিগত দুই বছর ধরে আমরা তাঁর জন্মদিন পালন করতে পেরে আনন্দিত।আগামীতেও আমরা এই বিশেষ দিনে দোয়া মাহফিল আয়োজন করব।
দোয়ামাহফিল শেষে এতিম ও অসহায় এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন দুপুরের খাবার শেষ করেন।
উল্লেখ্য এই মাসের প্রথম দিকে প্রকৌশলী সাখাওয়াত সাহেবের জন্মদিন পালনের ঘোষনা দেন "মুজিব পাড়া দূঃস্থ কল্যাণ ট্রাস্ট"
বিগত দুই বছরের ন্যায় এ বছর ও মজিব পাড়া দূঃস্থ কল্যাণ ট্রাস্টের শীর্ষ পর্যায়ের সদস্য মোঃ রাজু,শাহ আলম ও ছালাম এর উদ্দ্যোগে ২২ জুলাই প্রকৌশলী সাখাওয়াত সাহেবের শুভ জন্মদিন পালন করবে এমনটিই জানিয়েছিলেন মুক্ত বাংলাকে।
প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন প্রতি বছর "Voice of Kazipur"এর ব্যানারে কাজিপুরের অসহায় গরীব দুঃখী মানুষেদের সাহায্য করে আসছে। গরীবের প্রতি এই ভালোবাসা কে সম্মান জানাতেই এই জন্মদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে মুজিব পাড়া দূঃস্থ কল্যাণ ট্রাস্ট।
ছবিসহ তথ্য সংগ্রহ করেন মুক্ত বাংলা প্রতিনিধি এস কে শিপন।

Friday 21 July 2017

মুক্ত বাংলাঃ-কাজীপুরে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা !নিহত ২!

কাজীপুরে যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ২ জন নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৭ জনকে কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের একজন বাসের সুপারভাইজার মিনাল চন্দ্র রায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।অন্যজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। 

শনিবার ভোর রাতে কাজীপুর-সিরাজগঞ্জ সড়কের সোনামুখীতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আবদুল হামিদ ও কাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার লিয়াকত আলী জানান, শনিবার ভোর রাতে কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারি থেকে সুমন এন্টারপ্রাইজের যাত্রীবাহী একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-ব, ১৪-৮৮১১) কাজীপুর সিরাজগঞ্জ বিকল্প সড়ক হয়ে মুন্সীগঞ্জ যাচ্ছিলো। বাসটি ওই সড়কের সোনামুখী কনসোর্টিয়াম নামক স্থানে পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এসময় বাসটি রাস্তার পাশে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বাসের সুপারভাইজারসহ ২ জন নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হয়। প্রত্যক্ষদর্শী এক যাত্রী জানান, সোনামুখী বাজার পার হয়েই চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিল।
 

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে। কাজীপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

কাজীপুর থানার ওসি (তদন্ত) তসলিম উদ্দিন জানান, বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ২ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে একজন বাসের সুপারভাইজার রয়েছেন। লাশ সিরাজগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 
রিপটঃ- আবদুল জলিল স্যার
 
মুক্ত বাংলা পেইজ লিংকঃ-https://www.facebook.com/muktobangla.kazipur


Monday 17 July 2017

মুক্ত বাংলাঃ-কেউ বিষ খেলে কি করবেন?

জানা থাকলে বেঁচে যাবে হয়তো একটি জীবন

প্রায়ই বিষপানের রোগী পাওয়া যায় সেগুলোর মধ্যে উলেখযোগ্য: কীটনাশক পান করা, অনেক পরিমাণে ঘুমের ঔষধ খাওয়া, কেরোসিন পান করা, ধুতরার বীজ খাদ্যের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া, কোনো ঔষধ ভুলক্রমে বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলা, বিষাক্ত মদ্যপান বা অতিরিক্ত মদপান ইত্যাদি৷ বিষপানের রোগী আসা মাত্র বিষপানের ধরন সম্পর্কে আন্দাজ করা সম্ভব৷ সাধারণভাবে বিষপানের পর দেরী না করে নিম্নরূপ ব্যবস্থা নিতে হবে এবং হাসপাতলে পাঠাতে হবে ।
রোগী শ্বাস নিতে না পারলে তাকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দিতে হবে
সজ্ঞান রোগীকে সর্বপ্রথম একগ্লাস পানি বা দুধ পান করানো ভালো কারণ এতে বিষ পাতলা হয়ে যায় ও বিষের ক্ষতির প্রভাব কমে আসে৷ শিশুদের ক্ষেত্রে আধা গ্লাসের মতো পানি বা দুধ রোগীকে পান করানো ভালো৷ অজ্ঞান রোগীকে তরল দেয়া যাবে না৷ তাকে সুবিধাজনক স্থানে শুইয়ে দিতে হবে।

রোগীকে বমি করানো উচিত কিনা তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ কারণ সকল বিষপানের পর বমি করানো যাবে না৷ রোগীর শরীরে খিঁচুনি থাকলে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রোগীকে বমি করানো যাবে না৷ কিছু বিষ যা প্রবেশের সময় মুখ, মুখগহ্বর ও অন্ননালীতে প্রদাহের বা দগ্ধতার সৃষ্টি করে অথবা ফুসফুসে প্রবেশ করে সংক্রমণের সৃষ্টি করে এরূপ বিষপানের রোগীকে কোনক্রমেই বমি করানো উচিত নয়৷ কারণ বমি করার সময় উল্লেখিত পদার্থগুলো পুনরায় ক্ষতিসাধন করে ক্ষতের পরিমাণ বৃদ্ধি করে
পোড়া ও ক্ষত সৃষ্টিকারী বিষ :

অম্ল বা এসিড
ক্ষার বা এলকালি
গৃহে ব্যবহৃত বিশোধক
গোসলখানা পায়খানা নর্দমা পরিষ্কারকারক বিশোধক
প্রদাহ সৃষ্টিকারী বিষ :

কেরোসিন
তারপিন তেল
রঙ এবং রঙ পাতলাকারক দ্রব্য
পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোলিয়াম জাতীয় দ্রব্য
রোগী কোন ধরনের বিষ পান করেছে তা রোগীর মুখ, মুখগহ্বর ও শ্বাস-প্রশ্বাস পরীক্ষা করলে অতি সহজেই অনুমান করা যায়
পোড়া ও ক্ষত সৃষ্টিকারী বিষপানে রোগীর মুখ ও মুখগহ্বরে পোড়া ক্ষত বা ফোসকা দেখা যাবে
কেরোসিন জাতীয় বিষপানে রোগীদের শ্বাসে উক্ত দ্রব্যের গন্ধ পাওয়া যাবে
৪ ঘণ্টার ভেতর বিষ খেয়ে থাকলে এবং জ্ঞান থাকলে রোগীকে নিম্নলিখিতভাবে বমি করানো যেতে পারে :

মুখের মধ্যে আঙুল প্রবেশ করিয়ে বমি করানো যায়
খারাপ স্বাদযুক্ত ডিমের সাদা অংশ ও কুসুম স্বল্প গরম দুধসহ বা স্বল্প গরম লোনা পানি পান করালে অনেকেরই সহজে বমি হয়ে যায়৷ তিতা কোন দ্রব্য মুখের মধ্যে দিয়েও বমি করানো যেতে পারে
বমি করানোর সময় বিশেষভাবে নজর দিতে হবে যেন বমিকৃত কোনো জিনিস বা পানীয় ফুসফুসে প্রবেশ না করে৷ এজন্য বমি করানোর সময় রোগীর মাথা নিচের দিকে ও মুখ পাশে কাত করিয়ে রাখতে হবে৷ হাসপাতালে রোগীকে বিষ অপসারণের ক্ষেত্রে রাইলস টিউবের (একটি বিশেষ নল) সাহায্যে করা যেতে পারে৷
বিষের বিরুদ্ধে কার্যকর ঔষধ প্রয়োগ : কিছু বিষকে নিষ্ক্রিয় করার ঔষধ রয়েছে৷ রোগী কোন বিষ দ্বারা আক্রান্ত তা জানতে পারলে সেই বিষকে নিষ্ক্রিয় করা ঔষধ প্রয়োগ করে রোগীর অবস্থার উন্নতি করা সম্ভব৷ এক্ষেত্রে চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে৷

কেরোসিনের বিষক্রিয়ার ক্ষেত্রে: সাধারণত বাচ্চারা না বুঝে কেরোসিন তেল খেয়ে ফেলে৷ এ ধরনের রোগীর বমি, মুখ, শ্বাস-প্রশ্বাস, প্রস্রাব ও কাপড় চোপড় থেকে কেরোসিনের গন্ধ পাওয়া যাবে৷ গলায় জ্বালাপোড়া ও ব্যথা থাকবে৷ পাতলা পায়খানা ও পেটে ব্যথা থাকবে৷ শ্বাস-প্রশ্বাস ঘন ঘন হবে৷ বুকের মধ্যে ঘড়ঘড় শব্দ হতে পারে, জ্বর থাকতে পারে৷ নাড়ি দুর্বল ও অনিয়মিত হতে পারে৷
এ ধরনের রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠাতে হবে৷ এই রোগীর স্টোম্যাক ওয়াশ দেয়া বা বমি করানো যাবে না । এ্যান্টিবায়োটিক দিতে হবে যাতে নিউমোনিয়া বা ফুসফুসে অন্য কোনো সংক্রমণ না হতে পারে ।
এসিড কিংবা ক্ষারের বিষক্রিয়ার ক্ষেত্রে :
রোগীকে বমি করানোর চেষ্টা করা যাবে না
ক্ষতের ওপর প্রলেপ সৃষ্টি করে এমন খাদ্যবস্তু যেমনঃ দুধ, ডিমের সাদা অংশ খাওয়ানো যেতে পারে
মুখ বা শরীরের কোনো অংশে এসিড অথবা ক্ষার পড়লে সেখানে প্রচুর পানি ঢেলে ধুয়ে ফেলতে হবে । এসিড খেলে এন্টাসিড সাসপেনশন দেয়া যেতে পারে
যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে

ঘুমের ঔষধ বিষক্রিয়ার ক্ষেত্রে বমি করানোর চেষ্টা করতে হবে
ঠিকমতো বমি করানো না গেলে স্টোমাক ওয়াশ করানোর জন্য নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠাতে হবে
প্রতিরোধের উপায় : আমাদের দেশের ক্ষেত-খামারে পোকা মারার জন্য অনেক ধরনের বিষ ব্যবহার করা হয়ে থাকে৷ এ ছাড়া কেরোসিন, ঘুমের ওষুধ ইত্যাদি দিয়ে বিষক্রিয়া ঘটতে পারে৷ দুর্ঘটনাক্রমে ঘটে যাওয়া বেশিরভাগ বিষক্রিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব৷

বিষক্রিয়া চিকিত্সার চেয়ে এর প্রতিরোধ নিরাপদ এবং সহজ৷ নিজের ঘরবাড়ি, কর্মস্থলকে নিরাপদ রাখার জন্য কৃষক, কলকারখানায় ও মাঠে-খামারে নিয়োজিত কর্মী, শিক্ষক, স্বাস্থ্যকর্মী, বাবা-মাসহ ছাত্র-ছাত্রী কিংবা ছেলেমেয়ে সবার ভূমিকা রয়েছে ।
যে কোনো ধরনের কেমিক্যাল বা রাসায়নিক সামগ্রী নিরাপদভাবে ব্যবহার ও নাড়াচাড়া করুন
রাসায়নিক সামগ্রী নিরাপদে রাখুন৷ ব্যবহার করে তা সরিয়ে নিরাপদে রেখে দিন৷ শিশুর নাগালের বাইরে কীটনাশক, ওষুধ ও পরিষ্কারকরণ সামগ্রী (ডেটল, স্যভলন ইত্যাদি) রাখুন
আপনার প্রয়োজন নেই এমন কোনো রাসায়নিক পদার্থ ঘরে রাখবেন না
খাবার জিনিসের কোনো পাত্রে রাসায়নিক সামগ্রী রাখবেন না৷ ভুলবশত কেউ খাবার কিংবা পানীয় মনে করে খেতে বা পান করতে পারে

যথাযথ পরিমাণ ও যথাযথভাবে কীটনাশক, ওষুধ ও পরিষ্কারকরণ সামগ্রী ব্যবহার করুন৷ গায়ে আঁটা লেবেল পড়ে নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবহার করুন৷ পড়তে না পারলে অন্য কারো সাহায্য নিন । লেবেলহীন পাত্র থেকে রাসায়নিক সামগ্রী ব্যবহার করা বিপজ্জনক। প্রয়োজনে দোকান থেকে লেবেলসহ সামগ্রী বদলিয়ে নিন
ঔষুধ সেবন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।

Sunday 16 July 2017

মুক্ত বাংলাঃ-কাজিপুরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত


যমুনাবার্তার সৌজন্যে বিস্তারিতঃ-  শিক্ষা কমিটি এবং স্কুল পরিচালনা কমিটির নির্বিকারের কারণে ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।
অনুরোধ জানানো যাচ্ছে সুপ্রিয় পাঠকদের উদ্দেশ্যে এ বিষয়ে জনমত গড়ে তুলে র্কৃপক্ষের নজরে নিয়ে আসতে
কাজীপুরের প্রজারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কচিকাচা শিক্ষার্থীরা বর্ষার ৩টি মাস জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুৃলে যাতায়াত করে থাকে। বেশ কয়েকবছর ধরে এই অবস্থা চললেও কৃর্তপক্ষ এখনও কোন উদ্যোগ নেয়নি।

গতকাল সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কাজীপুর সদর ইউনিয়নের প্রজারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৯৭ সালে যমুনার ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। তখন একই ইউনিয়নের সিংড়াবাড়িতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধের প্রায় ১৫০ মিটার পশ্চিমে বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করা হয়।
পরের বছর তিনকক্ষ বিশিষ্ট একতলা পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। তখন থেকে ওই স্থানে বিদ্যালয়ের পাঠদান পরিচালিত হয়ে আসছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রহিমা পারভীন জানান, বিদ্যালয়ে ৫ জন শিক্ষিকা ও ১০২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতিবছর পিএসসিতে ভালো ফলাফল সহ সকল পরীক্ষায় মেধা তালিকায় শিক্ষার্থীরা স্থান করে নিচ্ছে। অথচ বিদ্যালয়টি স্থানান্তরের প্রায় দুইযুগ অতিক্রান্ত হলেও মাত্র ১৫০ মিটার কাঁচা রাস্তায় মাটি ফেলার অভাবে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে দুই পাশে গভীর গর্তের মাঝখানের পায়ে চলা সরু রাস্তা দিয়ে কচিকাচা ছেলে-মেয়েদের যাতায়াত করতে হয়। ভয় হয় যদি পা ফসকে গর্তে পড়ে যায়।
বিদ্যালয়ের সভাপতি ফজলুল করিম জানান, প্রধান শিক্ষকা আলহাজ্ব রহিমা পারভীন একজন ধর্মপ্রাণ ও বিদ্যানুরাগী মানুষ। প্রতিষ্ঠানটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৩৮ শতাংশ জমি ক্রয় করে তিনি সরকারকে লিখে দেন। ফলে বিদ্যালয়টিতে পাকা ভবন হয়েছে। যাতায়াতের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি জানান, রাস্তা করার মতো সরকারি জায়গা রয়েছে ।
বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে সংশ্লিষ্ট কর্র্র্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার দাবী জানান। সেইথে স্থানীয় জনগণের সহযেগিতা কামনা করেন।




পেজ লিংকঃ- https://www.facebook.com/muktobangla.kazipur/

Thursday 13 July 2017

মুক্ত বাংলাঃ- কাজিপুরে যমুনা নদীগর্ভে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,বন্যায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত।

 সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কাজিপুর পয়েন্টে যমুনা বিপদসীমার ৬০ সেমি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নতুন নতুন গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় উপজেলার ১৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্ধ হয়ে গেছে। কৃষি সূত্রে জানা গেছে, ২ হাজার একশ হেক্টর পাট খেত বন্যায় তুলিয়ে গেছে।

এদিকে উপজেলা প্রশাসনের হঠকারিতায় নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের ফুলজোড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাকা ভবনটি গতকাল যমুনায় বিলিন হয়ে গেছে। উপজেলার বগার মোড় এলাকায় ওয়াপদা বাধ চরম হুমকীর মুখে রয়েছে। স্থাণীয়রা জানিয়েছে, এই স্থানটি প্রচন্ড ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। এদিকে উপজেলা প্রশাসন বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেছে।

মুক্ত বাংলাঃ-কাজিপুর সদর ইউনিয়নের ৩নং স্পারের ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়।

সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার কাজিপুর সদর ইউনিয়নে ৩ স্পার ধ্বসে/বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করেন সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় সাহেব । এ সময় ইউএনও জনাব মো: শফিকুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান  জনাব মো: মোজাম্মেল হক সরকার, উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক জনাব খলিলুর রহমান সিরাজী সহ নেতৃবৃন্দ, পিআইও জনাব মো: শাহ আলম মোল্লা, উপ সহকারী প্রকৌশলী এস্এম অাবু মেতালেব, ইউপি চেয়ারম্যান জনাব,টি এম আতিকুর রহমান নান্নু মাষ্টার সহ ইউপি সদস্যগণ  উপস্থিত ছিলেন ।। গত ১১ জুলাই রাতে স্পারটির ২০০মি: অংশ নদীতে ধ্বসে পড়ে। ১০টি পরিবার গৃহহীন হয়। গৃহহীনদের মাঝে ১০ বান্ডিল ঢেউটিন বিতরণ করা হয়। ইউএনও জনাব মো: শফিকুল ইসলাম ১১ জুলাই তারিখে ধ্বসে যাওয়া স্পার ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। ৩০০জনের অনুকূলে  ১০কেজি করে চাল সহায়তা প্রদান করা হয়।

মুক্ত বাংলাঃ-কাজিপুর উপজেলায় ‘সচেতন নাগরিক সমাজ’ এর কার্যক্রম শুরু গঠন হয়েছে কমিটি।




 
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় ‘সচেতন নাগরিক সমাজ’ এর কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্বাচিত হলেন-
*একেএম ফজলুল হক মনোয়ার (সভাপতি)
 *
সাইফুল ইসলাম পলাশী
(সহসভাপতি) 

*আলমাহমুদ সরকার জুয়েল
(সাধারণ সম্পাদক)
 *
টি এম কামাল
(সাংগঠনিক সম্পাদক)
*
শফিকুল ইসলাম
(প্রচার সম্পাদক)
  *
মিজানুর রহমান
(দপ্তর সম্পাদক)
 *
আব্দুর রাজ্জাক
(অর্থ সম্পাদক)

 
 
এর আগে গতকাল বুধবার উপজেলার সোনামুখী অনুশীলন একাডেমির হলরুমে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ফজলুল হক মনোয়ার। সভায় সংগঠনের লক্ষ ও উদ্দেশ্য বিষয়ে মূল আলোচক ছিলেন সমাজসেবক সাইফুল ইসলাম পলাশী।
এরপর কাজীপুরের উন্নয়নে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব নিয়ে আলোচ
নায় অংশ নেন সংগঠনের সদস্য কৌমুদ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, কবি শাহ আলম, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, কৃষিবিদ আব্দুর রাজ্জাক, প্রভাষক ও সাংবাদিক আবদুল জলিল, কাজীপুরের ইতিহাস বইয়ের লেখক আল মাহমুদ সরকার জুয়েল , শফিক শাওন, আব্দুল লতিফ মির্জা, মুক্ত বাংলার সম্পাদক প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মামুন,সাংবাদিক টিএম কামাল,এনজিওর জহুরুল ইসলাম প্রমূখ।



"মুক্ত বাংলার পক্ষ থেকে কমিটির সম্মানিত সকল সদস্যকে অভিনন্দন" 

Saturday 8 July 2017

মুক্ত বাংলাঃ-কাজিপুরে যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ভাঙন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।

 সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে যমুনার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ভাঙন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। উজান থেকে নেমে আসা ঢলে যমুনায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে ভাঙন শুরু হয়েছে দুর্গম চরাঞ্চলের মনসুরনগর, চরগিরিশ, খাসরাজবাড়ী, মাইজবাড়ী, তেকানী, নাটুয়ারপাড়া ও নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম।

স্রোতের তোড়ে মাইজবাড়ী, খাসরাজবাড়ী, মনসুরনগর, চরগিরিশ, নিশ্চিন্তপুর, নাটুয়ারপাড়া, তেকানী ইউনিয়নর বিভিন্ন এলাকাজুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়েছে ফুলজোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাড়িঘর, দোকানপাট, মসজিদ, আবাদি জমি ও নিশ্চিন্তপুর ও চরগিরিশ ইউনিয়ন রাস্তা। ভাঙনকবলীত এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ভাঙন চলে এলেও তা রোধের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে ভিটোমাটি হারিয়েছেন অনেকেই। আতস্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন এই জনপদের নিঃস্ব মানুষেরা।

এদের মধ্যে কেউ কেউ আশ্রয় নিয়েছেন পাশ্বের বাঁধ ও উঁচু জায়গায়। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ভাঙনে ভিটেমাটি ও আবাদি জমিহারা মালিক আমজাদ হোসেন জানান, ভাঙনের চিন্তায় রাতে ঘুমাতে পারি না। ওই এলাকায় শতাধিক ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও জমি গত কয়েক দিনে নদীতে বিলীন হয়েছে বলে সূত্রে জানা যায়।

কাজিপুর উপজেলার খাসরাজবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী জানান, নদীর পানি বৃদ্ধি থাকায় স্রোত বেড়েছে। এ কারণে এলাকাজুড়ে বেড়েছে ভাঙনের তীব্রতা।

মুক্ত বাংলাঃ-কাজীপুরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি।

 
 কাজীপুরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। সিরাজগঞ্জ পাউবোর্সত্রে জানা গেছে গতকল পর্যন্ত যমুনা কাজীপুর পয়েন্টে বিপদসীমার ১৬ সেমি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সেইসাথে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। বন্যায় ঐতিহ্যবাহী ঢেকুরিয়া হাট তলিয়ে গেছে। 

বিলচতল, ঢেকুরিয়া, শ্রীপুর, সুতানারা, মল্লিকপাড়া, বদুয়ারপাড়া, দাদবোরা, খিরাইকান্দি, খাসরাজবাড়ি, ভেটুয়া, বাশজান, ভাঙ্গারছেও গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।  নাটুয়ারপাড়া চরের পূর্বপাশের বাড়িঘর ভাঙনের কবলে পড়েছে। লোকজন তাদের বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। খাসরাজবাড়ি, জজিরা, মল্লিকপাড়া, মাজনাবাড়ি চরের মানুষ ভাঙনের শিকার হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এদিকে প্রায় ৮০ লাখ টাকা খরচ করে সাধারন জনগণের নির্মাণ করা মনসুর নগর ইউনিয়নের মাজনাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধটি চরম হুমকির মুখে পড়েছে। 
১ হাজার ৯শ ফুট দৈর্ঘ্যের এই বাধটি ভাঙলে প্রায় দেড় হাজার বসতবাড়ি মুহূর্তে বিলীন হয়ে যাবে বলে জানান ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক রাজমহর। 
মাজনাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন জানান, এই বাধের ফলে স্কুলসহ অনেক স্থাপনা বন্যা-ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পাচ্ছে। ফলে বাধটি নির্মাণে সরকারি সহায়তা জরুরি। এছাড়া বন্যায় চরাঞ্চলের নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তায় ধস নেমেছে। 

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খোশ মাহমুদ জানান, গতকাল থেকে এ পর্যন্ত রাস্তার অর্ধেকটা ধসে গেছে। ধস না রোধ করলে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে পারবে না। ফলে তাদের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা দেয়া কঠিন হয়ে যাবে। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন জানান, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে।



রিপট করেছেনঃ-আবদুল জলিল

অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে কাজিপুরের ইজিবাইক চালক

                                       সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার অনিক বাবু (২০) নামের এক ইজিবাইক চালককে অজ্ঞান করে মোবাইল ফোন ও বাইক...