Wednesday 26 April 2017

মুক্ত বাংলাঃ হার্ট এটার্ক থেকে কিভাবে বাঁচবেন ? ? ? (পোস্টটি পড়ুন, বাঁচতে... পারে একটি জীবন)


মনে করুন, সন্ধ্যা ছয়টার সময় একা একা বাড়িতে বসে আছেন। বাসার মানুষেরা অন্য কামরাতে বসে টিভি দেখছে। হঠাৎ করে আপনার বুকে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হলো এবং সেই ব্যথা যেন আস্তে আস্তে করে আপনার নিচের চোয়ালের দিকে হেঁচড়ে আসা শুরু করলো! আপনার কাছাকাছি কেউ নেই। আপনি বুঝতে পারছেন, আপনার হৃদপিণ্ডে ক্রিয়া বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে। এখন আপনি কি করবেন???
হার্ট এটাক হবার ফলে অধিকাংশ সময় মানুষ মারা যান, কারণ তারা একা থাকেন। অন্য কারো সাহায্য ছাড়া তাদের বুকের ওপর পাম্প করে হৃদযন্ত্রে রক্ত সঞ্চালন সম্ভব হয় না, এবং ব্যথা শুরু হবার পরে অজ্ঞান হয়ে যাবার আগ পর্যন্ত সাধারণত তাদের হাতে ১০ সেকেণ্ড সময় থাকে ।
এমতাবস্থায় বুকে ব্যথার শিকার ব্যক্তি নিজেকে সাহায্য করতে পারেন বারংবার জোরে জোরে উচ্চস্বরে কাশি দিয়ে।
- লম্বা করে শ্বাস নিন। অার কাশি দিন।
- শ্বাস – কাশি, শ্বাস – কাশি’ এই প্রক্রিয়া প্রতি দুই সেকেণ্ডে একবার করে করতে থাকুন, যতক্ষণ না কেউ আপনার সাহায্যে এগিয়ে আসে অথবা যতক্ষণ আপনার হৃদযন্ত্র একা একাই স্বাভাবিকভাবে স্পন্দিত হতে থাকে।
- লম্বা করে শ্বাস নেবার ফলে আপনি পর্যাপ্ত অক্সিজেন পাবেন। আর কাশির ফলে আপনার হৃদযন্ত্র সংকোচন প্রসারণ হবে যার ফলে আপনার হৃদপিণ্ডের ভিতর দিয়ে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
- এভাবে কয়েকবার কাশির ফলে উৎপন্ন সংকোচন-প্রসারণে হৃদযন্ত্রের স্বাভাবিক, স্বয়ংক্রিয় স্পন্দনে ফিরে আসতে সহায়তা করে৷

এরপরে অপর কোনো ব্যক্তির সাহায্যে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছতে চেষ্টা করুন৷ বিষয়টি সবাইকে শিখিয়ে দিন৷ সাহায্যহীনভা অার একটি প্রানও যেন না হারাতে হয়৷

মুক্ত বাংলাঃ খাবার সঠিক সময়ে খাওয়ার উপর নির্ভর করে লিভারের সুস্থতা

খাবার সঠিক সময়ে খাওয়ার উপর নির্ভর করে লিভারের সুস্থতা, ভালো হজমক্রিয়া ও মেটাবোলিক ফাংশন৷ তাই সঠিক সময়ে খাবার খান৷ সবার জন্য শেয়ার করুন৷ 

মুক্ত বাংলাঃ দাওয়াতের খাবার খেয়ে কাজিপুর হাসপাতালের টিএইচও ও নার্সের মৃত্যুঃ আটক ৩: তদন্ত কমিটি গঠন


আব্দুল জলিলঃ-দাওয়াতের খাবার খেয়ে গত মঙ্গলবার রাতে বিষক্রিয়ায় সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও এক সিনিয়র নার্সের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ওই হাসপাতালে কর্মরত ৩ জনকে আটক করেছে । তদন্তে কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আটককৃতরা হলেন, কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হিসাব রক্ষক বরইতলী গ্রামের আব্দুল হামিদ, এমএলএসএস কাজিপুরের উল্লাপাড়ার মোয়াজ্জেম হোসেন ও মসলিমপাড়ার চান মিয়া।
কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সমিত কুমার কুন্ডু জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে এখনও কোন মামলা হয়নি। আটককৃতরা ঘটনার সময়ে নিহত স্বাস্থ্য কর্মকর্তার রুমে কর্মরত ছিলেন।
সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ মঞ্জুর রহমান জানান, ঘটনার তদন্তে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে কর্মরত মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক উদয় নারায়ন মোহন্তকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ্য প্রধান সহকারী আলমগীর ফেরদৌসকে শজিমেক হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামানের রুমে প্রধান সহকারী আলমগীর ফেরদৌসের বাসায় রান্না করা খাবার আনা হয়। সেখানে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সিনিয়র নার্স জোবাইদা ও প্রধান অফিস সহকারী আলমগীর ফেরদৌস একত্রে সেই খাবার খান। কিছুক্ষণ পরেই তারা যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন। একপর্যায়ে আশংকাজনক অবস্থায় তাদের বিকেল চারটায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত ৯টার দিকে নার্স ও সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার মৃত্যু হয়।
নিহত উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মনিরুজ্জামান পাবনার বেড়া উপজেলার সাানিলা গ্রামের নুরুল হকের ছেলে। সিনিয়র স্টাফ নার্স জোবাইদা খাতুন (৪০) কাজিপুর উপজেলার বিয়ারা এলাকার বাবলু মিয়ার স্ত্রী। মৃত্যুকালে চিকিৎসক মনিরুজ্জামান স্ত্রী, ২ মেয়ে ও নার্স জোবায়দা স্বামী ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। আর জীব-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা প্রধান সহকারী আলমগীর ফেরদৌস রায়গঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

Tuesday 25 April 2017

মুক্ত বাংলাঃ মাইজবাড়ী ইউনিয়নের ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের উন্মুক্ত বাজেট সভা


মুক্ত বাংলাঃ কাজিপুরে খাসরাজবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট ঘোষণা

আবদুল জলিলঃ  কাজিপুরের ৭নং খাসরাজবাড়ী ইউনিয়নে গতকাল ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের ৮৮৯৩৫০০ টাকার বাজেট ঘোষণা করেন ইউপি সচিব হেলাল উদ্দিন। ইউনিয়ন পরিষদ গর্ভাননেন্স প্রজেক্টের অর্থায়নে ও খাসরাজবাড়ী ইউপির আয়োজন করে।  বাজেটে মোট আয় ধরা হয়েছে ৮৯৬৭০০০ টাকা। রাজস্ব তহবিলে উদ্বৃত্ত ধরা হয়েছে ৭৩৫০০ টাকা। ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী-এর সভাপতিত্বে এই উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা করেন সচিব হেলাল উদ্দিন। এই উন্মুক্ত বাজেট আলোচনায় অংশ গ্রহন হরেন  খাসরাজবাড়ী ইউপি’র সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক মাষ্টার, খাসরাজবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জহুরুল ইসলাম মাষ্টার, প্যানেল চেয়ারম্যান বকুল মিয়া, ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। খাসরাজবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করে পরিষদের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান। তিনি আদর্শ ইউনিয়ন পরিষদ গঠনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

মুক্ত বাংলাঃ কাজিপুরে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় চিকিৎসক ও নার্সের মৃত্যুঃ টিএইচওসহ অসুস্থ্য ৩!!



বিস্তারিতঃ-খাদ্যে বিষক্রিয়ায় সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক ও একজন নার্সের মৃত্যু হয়েছে।
গত কাল মঙ্গলবার রাতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (শজিমেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দুইজনের মৃত্যু হয়।
তারা হলেন- সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামান (৪২) এবং একই হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স জোবেদা খাতুন (৪৫)।
সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর রহমান শেখ খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ওই দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সিনিয়র স্টাফ নার্স রাত পৌনে ৯টায় এবং লাইফ সার্পোটে থাকা চিকিৎসক মনিরুজ্জামান রাত ১০টার দিকে বগুড়ার ওই হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। একই হাসপাতালের উচ্চমান সহকারী হিসাবরক্ষক গুরুতর অব্স্থায় বগুড়া শমিজেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সিভিল সার্জন মনজুর রহমান শেখ আরও জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামান এবং সিনিয়র স্টাফ নার্স জোবেদা খাতুন একই হাসপাতালের উচ্চমান সহকারী-কাম-হিসাব রক্ষক আলমগীর হোসেনের বাড়িতে দুপুরের খাবার খান। তাদের খাবারে ভাতের সাথে কাাঁচা কাঠালের তরকারিসহ তিনটি তরকারি ছিল।
তিনি জানান, ওই খাবার খেয়ে হঠাৎ তিনজনই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সাথে সাথে তাদেরকে কাজিপুর উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাদের বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সিভিল সার্জন জানান, এরপর বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নার্স জোবেদা রাত পৌনে ৯টার দিকে মারা যান। লাইফ সাপোর্টে থাকা কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামান রাত ১০টার দিকে মারা যান। ফরিদুজ্জামান ২৯তম বিসিএসে সরকারি চিকিৎসক হিসেবে নিযুক্ত হন। তার পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে ঢাকায় আছ

Monday 24 April 2017

মুক্ত বাংলাঃ-চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নে ১ কোটি ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা

চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা। কাজিপুরের ২নং চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের ১ কোটি ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। গত রবিবার ঘোষিত বাজেটে মোট আয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ২০ লাখ ৪২ হাজার টাকা এবং মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রাজস্ব তহবিলে উদ্বৃত্ত ধরা হয়েছে ৯২০০০ টাকা। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান মুকুল, পরিষদ কার্যালয়ে (গ্রোথ-সেন্টার) এই উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা করেন। এই উন্মুক্ত বাজেট অনুষ্ঠানে সিরাজগঞ্জের স্থানীয় সরকারের উপ-সচিব আবু নূর মোঃ শামসুজ্জামান, ইউএনও শফিকুল ইসলাম, ট্যাগ অফিসার কল্যাণ প্রসাদ পাল, ইউপি সচিব রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক টি এম কামাল, ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল কুদ্দুস, মোকলেছুর রহমান, আমিনা খাতুন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

Sunday 23 April 2017

মুক্ত বাংলাঃ-এসএমএস-এর মাধ্যমে প্রসুতি পরামর্শ

একজন মা গর্ভ ধারণ করলে তিনি এসএমএস-এর মাধ্যমে প্রসুতি পরামর্শ নিতে পারেন। এ জন্য তাকে এ সেবার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।রেজিস্ট্রেশন করা সহজ।

রেজিস্ট্রেশন করার জন্য মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে যান।
সেখানে টাইপ করুনঃ dghs reg lmp_date mobile_no. name
উদাহরণঃ dghs reg 04072012 01713018545 marjina
ব্যাখ্যাঃ lmp হলো Last menstrual period (শেষ মাসিকের তারিখ)।

লিখতে হবে এভাবে 04072012 (অর্থাৎ ০৪ জুলাই ২০১২ - প্রথমে তারিখ; এরপর মাস; এরপর বছর)।
মোবাইল নম্বর হলো, আপনি যে মোবাইল নম্বরে পরামর্শ পেতে চান। নাম হলো প্রসুতি মায়ের নাম।
টাইপ করা হয়ে গেলে মেসেজ পাঠাতে হবে ১৬৩৪৫ নম্বরে।

ফিরতে মেসেজে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য ধন্যবাদ জানানো হবে। প্রসুতির সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ জানানো হবে এবং সন্তানের জন্ম হওয়া পর্যন্ত স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরামর্শ প্রেরণ করা হবে। প্রসুতি মা এসব পরামর্শ অনুসরণ করলে নিরাপদে সন্তান জন্ম দিতে পারবেন এবং নবজাতকও সুস্থ থাকবে।

মুক্ত বাংলাঃ- ফেসবুকের মাধ্যমে অসহায় মানুষের পাশে সিরাজগঞ্জের মামুন ।


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের এক ভিন্নতর ব্যবহারের মাধ্যমে অসহায় ও প্রতিবন্ধী মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার মামুন বিশ্বাস। দেশের যে কোনো প্রান্তে অসহায় মানুষের খবর পেলেই ছুটে যান মামুন। তাদের তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করে, ফেসবুকের মাধ্যমে জানিয়ে দেন সবাইকে। আর্তি রাখেন মানবিক সাহায্যের। তার এই আহ্বানে, দেশ-বিদেশের অনেকেই আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এতে উপকৃত হচ্ছেন অনেক দরিদ্র, অসহায় ও প্রতিবন্ধী মানুষ।
পেটে টিউমার হওয়ায় শাহজাদপুরের ছয় বছরের শিশু ফাতেমার পেট অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যায়। মামুন বিশ্বাস জানার পর, তিনি মেয়েটির তথ্য ও ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে সাহায্যের আবেদন জানান। মামুনের আবেদনে সাড়া দিয়ে অনেকেই আর্থিক সাহায্য পাঠায় তার কাছে। সেই অর্থ দিয়ে অস্ত্রোপচার করে ফাতেমার পেট থেকে টিউমার অপসারণ করা হয়। ফেসবুকের মাধ্যমে এরকম অনেক অসহায়, প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন তিনি। আর সহায়তার জন্য পাঠানো অর্থের পরিমাণ সততার সাথে ফেসবুকে জানিয়ে দেন মামুন।
তার এমন পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানান এলাকাবাসী। উপকৃত দরিদ্র মানুষও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তার প্রতি।
মানবিক এই কাজে মামুনকে সার্বিক সহায়তা দেয়ার কথা জানালেন জেলা প্রশাসক।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দীকা বলেন, ‘অনেক ব্যস্ততার কারণে অনেক সময় ছোটখাটো বিষয়গুলো আমাদের নজরে আসে না। আর যখন মামুন এই ধরনের কোনো বিষয় আমাদের নজরে নিয়ে আসে তখন সেটি আমরা ফলোআপ করি।’
ফেসবুকের মাধ্যমে মামুন বিশ্বাস ২০ জন প্রতিবন্ধীকে হুইল চেয়ার, ২৪ জন দু:স্থ রোগীকে চিকিৎসা সেবা ও নগদ প্রায় ২৫ লাখ টাকা দিয়ে অসহায় মানুষকে সহায়তা করেছেন।
সূত্রঃ সময় সংবাদ

মুক্ত বাংলাঃ- আজ সোমবার পবিত্র লাইলাতুল মিরাজ।

আজ সোমবার পবিত্র লাইলাতুল মিরাজ। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের কাছে এ রাত অতি পবিত্র এবং মহান আল্লাহর অফুরন্ত রহমত-বরকতে সমৃদ্ধ। মুসলিম জাহানের কাছে এ রাতের তাত্পর্য অপরিসীম। তাই বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, মিলাদ মাহফিল, নফল রোজা রাখা ও নফল নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে মুসলমানরা পবিত্র লাইলাতুল মিরাজ পালন করেন।

এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আজ সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে (বাদ মাগরিব) বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে। এতে ওয়াজ করবেন ঢাকার নারিন্দার দারুল উলুম আহছানিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল হযরত মাওলানা আবু জাফর মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। সভাপতিত্ব করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্র জানায়, বাংলাদেশের আকাশে গত ২৯ মার্চ ১৪৩৮ হিজরি সনের পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা যায়। তাই গত ৩০ মার্চ থেকে পবিত্র রজব মাস শুরু হয়। সে অনুযায়ী আজ সোমবার দিবাগত রাতে সারা দেশে পবিত্র লাইলাতুল মিরাজ পালিত হবে।
www.facebook.com/muktobangla.kazipur/

Saturday 22 April 2017

মুক্ত বাংলাঃ তিনই অধিনায়ক।

টি-টোয়েন্টি  বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
মাশরাফির অবসরের পর থেকেই নতুন অধিনায়ক হিসেবে শোনা যাচ্ছিল সাকিব আল হাসানের নাম। কাল শনিবার বিসিবির নির্বাহী কমিটির ১৬তম সভায় সাকিবকেই করা হলো বাংলাদেশের নতুন
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে সাকিব অধিনায়ক হওয়ায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো পা রাখল ‘তিন অধিনায়কের যুগে’! টেস্টে বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম, ওয়ানডেতে মাশরাফি বিন মুর্তজা আর টি-টোয়েন্টিতে সাকিব আল হাসান। ক্রিকেটের তিন সংস্করণে ভিন্ন তিন অধিনায়ক প্রথম পেয়েছে ইংল্যান্ড। পরে আরও অনেক ক্রিকেট বোর্ড ইংলিশদের পথে হাঁটলেও পরে সেখান থেকে তারা সরে এসেছে। এই সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড আস্থা রাখছে দুই অধিনায়কে। অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক আবার একজনই।

২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ এগোচ্ছিল দুই অধিনায়কে সওয়ার হয়ে। তখন থেকে টেস্টে বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিক আর সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মাশরাফি। তবে অনেক দিন ধরেই তিন সংস্করণে তিন অধিনায়কের কথা ভাবছিল বিসিবি। অবশেষে সেটিই দেখছে আলোর মুখ। সাকিবের সঙ্গে অবশ্য আরও দু-একজনের নাম উঠেছিল সভায়। তবে ৫৯ টি-টোয়েন্টি খেলা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকেই শেষ পর্যন্ত বেছে নিয়েছে বিসিবি। সভা শেষে বিসিবির সভাপতি সংবাদমাধ্যমকে বললেন, ‘খুব কাছাকাছি সময়ে আমাদের টি-টোয়েন্টি নেই। সাকিব আগে সহ-অধিনায়ক ছিল, এমনিতেই সে এগিয়ে ছিল। আরও কয়েকজনের নাম এসেছিল। সবকিছু মিলিয়ে সাকিবই সবার চেয়ে এগিয়ে। তার পারফরম্যান্সও ভালো।’

শ্রীলঙ্কাতেই সম্ভাব্য নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে আগাম শুভকামনা জানিয়েছিলেন মাশরাফি। কাল অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের নাম ঘোষিত হতেই প্রথম আলোর মাধ্যমে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিদায়ী অধিনায়ক, ‘সাকিবের জন্য থাকল আমার শুভকামনা।’

২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে অধিনায়ক মাশরাফির সহকারী ছিলেন সাকিব। ২০০৯ থেকে ২০১১ সালের আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। তাঁর সফল নেতৃত্বে গত বিপিএল জিতেছে ঢাকা ডায়নামাইটস। এবার বাংলাদেশও সাফল্যের আশায় তাকিয়ে থাকবে নতুন অধিনায়কের দিকে।

মুক্ত বাংলাঃ কাঁচা আমের যত উপকারিতা

বাজারে উঠতে শুরু করেছে কাঁচা আম। অনেকেই ডালের সঙ্গে দিয়ে রান্নার জন্য কিনে নিয়ে যান। কেউ কেউ জুস বানিয়ে খান। কেউ আবার কাঁচা আমের ভর্তা খুব পছন্দ করেন। যে যেভাবেই খান না কেন, হয়ত নিজের অজান্তেই শরীরের অনেক বড় উপকার করছেন। কাঁচা আম আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।


আসুন জেনে নেই কাঁচা আমের উপকারিতাঃ
১.যাঁরা ওজন কমাতে বা শরীরের বাড়তি ক্যালরি খরচ করতে চান, তাঁদের জন্য এখন আদর্শ ফল কাঁচা আম। পাকা মিষ্টি আমের চেয়ে কাঁচা আমে চিনি কম থাকে বলে এটি ক্যালরি খরচে সহায়তা করে।

২.বুক জ্বালাপোড়া বা অম্লতার সমস্যায় ভুগছেন? কাঁচা আম এ সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। অম্লতা কমাতে কাঁচা আমের এক টুকরো মুখে দিতে পারেন।
৩.অনেকেরই সকালে উঠে বমি বমি ভাব হয়। বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা যাঁরা। এ সমস্যা দূর করতে পারে কাঁচা আম।
৪.কাঁচা আমে রয়েছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন সি যা ঠাণ্ডাজাতীয় রোগ প্রতিরোধ করে। শরীরে পটাসিয়ামের অভাব পূরণ করে লিভার ভালো রাখে।
৫.যকৃতের রোগ নিরাময়ের প্রাকৃতিক বন্ধু হতে পারে কাঁচা আম। কয়েক টুকরো কাঁচা আম চিবানো হলে পিত্তরস বৃদ্ধি পায়। এতে যকৃতের স্বাস্থ্য ভালো হয় এবং অন্ত্রের জীবাণু সংক্রমণ দূর হয়।
৬.গরমের সময় ঘামাচি একটি অস্বস্তিকর ব্যাপার। ঘামাচির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সবচেয়ে ভালো উপায় কাঁচা আম খাওয়া। কাঁচা আমে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা সানস্ট্রোক হতে বাধা দেয়।
৭.কাঁচা আমে আয়রন বা লৌহ থাকায় রক্তস্বল্পতা সমস্যা সমাধানে বেশ উপকারী।
৮.কাঁচা আম খেলে ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে কাঁচা আম।
৯.কাঁচা আম খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
১০.কাঁচা আমে পটাশিয়াম থাকার কারণে তা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে৷ এ কারণে শরীরে ঘাম কম হয়। গরমে ক্লান্তিও দূর হয়৷
১১.প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে তা চুল ও ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য ক
 প্রচুর পরিমান ভিটামিন সি যা ঠাণ্ডাজাতীয় রোগ প্রতিরোধ করে। শরীরে পটাসিয়ামের অভাব পূরণ করে লিভার ভালো রাখে।

মুক্ত বাংলাঃ সিরাজগঞ্জে হিন্দু থেকে একই পরিবারের ৭ জনের ইসলাম গ্রহণ

জেলার বেলকুচিতে হিন্দু (সনাতন) ধর্ম পরিবর্তন করে  ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন একই পরিবারের ৭ সদস্য।

শুক্রবার পৌর এলাকার চালা সাত রাস্তা জামে মসজিদে জুমার নামাজের আগে পেশ ইমাম মাওলানা রফিকুল ইসলামের কাছে তারা ইসলাম গ্রহণ করেন।

এসময় কালেমা (আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল) পরে স্ত্রী, তিন ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন আনন্দ দাস। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর আনন্দ দাসের নামা রাখা হয়েছে আনোয়ার ইসলাম। তিনি চালা গ্রামের গৌর দাসের ছেলে।

এসময় বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম ইউসুফজী খাঁন, সমাজসেবক মহের প্রামানিক ও লোকমান হোসেনসহ মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।

সদ্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী আনোয়ার ইসলাম বলেন, ইসলাম ধর্ম আমার কাছে আগে থেকেই ভালো লাগতো। অনেক চিন্তা-ভাবনা করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে জুমার নামাজ আদায় করলাম। পবিত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে পেরে এখন আমি নিজেকে অনেক ধন্য মনে করছি।

তিনি আরও বলেন, শান্তির ধর্ম ইসলাম গ্রহণ করে মনে হচ্ছে- আমি পুনঃজন্ম গ্রহণ করেছি। সঠিকভাবে যেন ইসলাম ধর্মের সকল নিয়ম-কানুন পরিবারের সবাইকে নিয়ে মেনে চলতে পারি এজন্য সকলের কাছে দোয়া চাই। আল্লাহ যেন আমাদের কবুল করেন।

মুক্ত বাংলাঃ কিডনি একবার নষ্ট হলে আর ফিরে পাবেন না। কিডনি ভালো রাখার সহজ সাত উপায় জানুন এখনি…

দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ সারা বিশ্বে একটি জটিল সমস্যা। তবে জানেন কি, কিছু সহজ বিষয় মেনে চললে কিডনির রোগ অনেকটা প্রতিরোধ করা যায়। জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে জানানো হয়েছে কিডনি ভালো রাখার কিছু উপায়ের কথা।

১. পরিবারের ইতিহাস জানুন পরিবারে কিডনির সমস্যা কারো আগে ছিল কি না জেনে নিন। পরিবারের কারো সমস্যা থাকলে আপনার কিডনির কার্যক্রম পরীক্ষা করুন। অনেকের ক্ষেত্রেই কিডনির সমস্যা থাকে, তবে আগে থেকে লক্ষণ দেখা যায় না। তাই নিয়মিত কিডনির কার্যক্রম পরীক্ষা করুন।

২. রক্তের সুগার পরীক্ষা ডায়াবেটিস থাকলে কিডনির রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অনেক ডায়াবেটিস রোগীই কিডনি ফেইলিউরের সমস্যায় আক্রান্ত হন। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।

৩. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। পাশাপাশি এটি কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ারও একটি কারণ। ঝুঁকি আরো বেড়ে যায় যদি ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ একত্রে থাকে। আপনার পরিবারের উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনি রোগের ইতিহাস থাকলে উচ্চ রক্তচাপ পরীক্ষা করান।
৪. কর্মক্ষম জীবন-যাপন করুন কর্মক্ষম না থাকা কিডনির রোগ বাড়িয়ে দেয়। সেডেনটারি জীবন-যাপন অর্থাৎ ব্যায়াম না করা, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ইত্যাদি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ওজন ইত্যাদি বাড়িয়ে দেয়। আর এগুলো কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
৫. স্বাস্থ্যকর খাবার খান স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া বিভিন্ন রোগপ্রতিরোধে সহায়ক। ফল ও সবজি খান বেশি করে। প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। ডায়েটেশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে কিডনির জন্য যেসব খাবার ভালো সেগুলো খান।


৬. ক্ষতিকর অভ্যাস বাদ দিন ধূমপান এড়িয়ে চলুন। এটি যেমন ফুসফুসের ক্ষতি করে, তেমনি কিডনিরও ক্ষতি করে।

৭. পানি পান করুন আমরা জানি, পর্যাপ্ত পানি পান করা কিডনিকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। তবে জানেন কি অতিরিক্ত পানি পান করলে কিন্তু কিডনির ওপর চাপ পড়ে? তাই আপনার শরীরে কতটুকু পানি প্রয়োজন সেটি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে জেনে নিন।

মুক্ত বাংলাঃ বজ্রপাত থেকে বাঁচার ১৪ উপায় জেনে রাখুন



এ মৌসুমে দেশে বজ্রপাতের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। আর বজ্রপাতের কারণে এ সময় জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ লেখায় দেওয়া হলো কয়েকটি উপায়, যা বজ্রপাত থেকে বাঁচতে সহায়ক হবে। এক নিবন্ধে বিষয়টি জানিয়েছে উইকিহাউ।

১. দালান বা পাকা ভবনের নিচে আশ্রয় নিন
ঘন ঘন বজ্রপাত হতে থাকলে কোনো অবস্থাতেই খোলা বা উঁচু স্থানে থাকা যাবে না। সবচেয়ে ভালো হয় কোনো একটি পাকা দালানের নিচে আশ্রয় নিতে পারলে।
২. উঁচু গাছপালা ও বিদ্যুৎ লাইন থেকে দূরে থাকুন
কোথাও বজ্রপাত হলে উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটিতে বজ্রপাতের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এসব স্থানে আশ্রয় নেবেন না। খোলা স্থানে বিচ্ছিন্ন একটি যাত্রী ছাউনি, তালগাছ বা বড় গাছ ইত্যাদিতে বজ্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি থাকে।


৩. জানালা থেকে দূরে থাকুন
বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি থাকবেন না। জানালা বন্ধ রাখুন এবং ঘরের ভেতর থাকুন।
৪. ধাতব বস্তু স্পর্শ করবেন না
বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না। এমনকি ল্যান্ড লাইন টেলিফোনও স্পর্শ করবেন না। বজ্রপাতের সময় এগুলো স্পর্শ করেও বহু মানুষ আহত হয়।
৫. বিদ্যুৎচালিত যন্ত্র থেকে সাবধান
বজ্রপাতের সময় বৈদ্যুতিক সংযোগযুক্ত সব যন্ত্রপাতি স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি বন্ধ করা থাকলেও ধরবেন না। বজ্রপাতের আভাষ পেলে আগেই এগুলোর প্লাগ খুলে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করুন। অব্যবহৃত যন্ত্রপাতির প্লাগ আগেই খুলে রাখুন।


৬. গাড়ির ভেতর থাকলে…
বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভেতরে থাকলে সম্ভব হলে গাড়িটি নিয়ে কোনো কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন। গাড়ির ভেতরের ধাতব বস্তু স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। গাড়ির কাচেও হাত দেবেন না।
৭. খোলা ও উঁচু জায়গা থেকে সাবধান
এমন কোনো স্থানে যাবেন না, যে স্থানে আপনিই উঁচু। বজ্রপাতের সময় ধানক্ষেত বা বড় মাঠে থাকলে তাড়াতাড়ি নিচু হয়ে যান। বাড়ির ছাদ কিংবা উঁচু কোনো স্থানে থাকলে দ্রুত সেখান থেকে নেমে যান।

৮. পানি থেকে সরুন
বজ্রপাতের সময় আপনি যদি ছোট কোনো পুকুরে সাঁতার কাটেন বা জলাবদ্ধ স্থানে থাকেন তাহলে সেখান থেকে সরে পড়ুন। পানি খুব ভালো বিদ্যুৎ পরিবাহী।
৯. পরস্পর দূরে থাকুন
কয়েকজন মিলে খোলা কোনো স্থানে থাকাকালীন যদি বজ্রপাত শুরু হয় তাহলে প্রত্যেকে ৫০ থেকে ১০০ ফুট দূরে সরে যান। কোনো বাড়িতে যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সবাই এক কক্ষে না থেকে আলাদা আলাদা কক্ষে যান।
১০. নিচু হয়ে বসুন
যদি বজ্রপাত হওয়ার উপক্রম হয় তাহলে কানে আঙুল দিয়ে নিচু হয়ে বসুন। চোখ বন্ধ রাখুন। কিন্তু মাটিয়ে শুয়ে পড়বেন না। মাটিতে শুয়ে পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।


১১. বজ্রপাতের আগ মুহূর্তের লক্ষণ জানুন
আপনার উপরে বা আশপাশে বজ্রপাত হওয়ার আগের মুহূর্তে কয়েকটি লক্ষণে তা বোঝা যেতে পারে। যেমন বিদ্যুতের প্রভাবে আপনার চুল খাড়া হয়ে যাবে, ত্বক শিরশির করবে বা বিদ্যুৎ অনুভূত হবে। এ সময় আশপাশের ধাতব পদার্থ কাঁপতে পারে। অনেকেই এ পরিস্থিতিতে ‘ক্রি ক্রি’ শব্দ পাওয়ার কথা জানান। আপনি যদি এমন পরিস্থিতি অনুভব করতে পারেন তাহলে দ্রুত বজ্রপাত হওয়ার প্রস্তুতি নিন।
১২. রবারের বুট পরুন
বজ্রপাতের সময় চামড়ার ভেজা জুতা বা খালি পায়ে থাকা খুবই বিপজ্জনক। এ সময় বিদ্যুৎ অপরিবাহী রাবারের জুতা সবচেয়ে নিরাপদ।


১৩. বাড়ি সুরক্ষিত করুন
আপনার বাড়িকে বজ্রপাত থেকে নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। এজন্য আর্থিং সংযুক্ত রড বাড়িতে স্থাপন করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারের পরামর্শ নিতে হবে। ভুলভাবে স্থাপিত রড বজ্রপাতের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে।
১৪. বজ্রপাতে আহত হলে
বজ্রপাতের সময় আশপাশের মানুষের খবর রাখুন। কেউ আহত হলে বৈদ্যুতিক শকে আহতদের মতো করেই চিকিৎসা করতে হবে। প্রয়োজনে দ্রুত চিকিৎসককে ডাকতে হবে বা হাসপাতালে নিতে হবে। একই সঙ্গে এ সময় বজ্রাহত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃৎস্পন্দন ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এ বিষয়ে প্রাথমিক চিকিৎসায় প্রশিক্ষণ নিয়ে রাখুন।

মুক্ত বাংলাঃ কাঁচা ডিম ফ্রিজে রাখার বিপদ

সুস্থ সবল দেহের জন্য খাদ্যতালিকায় ডিম অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু সেই কাঁচা ডিম ফ্রিজে রাখলে মারাত্মক ভুল করা হবে। কেননা ডিমের যাবতীয় গুণ চলে যায় ফ্রিজের ঠাণ্ডায়। সেই ডিম খেলে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে শরীরে।

সকালে ডিমসিদ্ধ হোক বা দুপুরের খাবারে ঝাল ঝাল ডিমের তরকারি, টিফিনে ডিমের ওমলেট হোক বা এগ চাউমিন- এসব নাম শুনে জিভে জল আসে না, এমন কেউ নেই বললেই চলে। ডিম মানে একটা অন্য ব্যাপার। এটি খেতে যেমন ভালো, শরীরের জন্যও উপকারী। কারণ, শরীরে যাচ্ছে প্রচুর প্রোটিন আর ভিটামিন। বাজার থেকে ডিম আসছে বাড়িতে। তারপর তা ঢুকে যাচ্ছে সোজা ফ্রিজে। দিনের পর দিন কাঁচা ডিম থাকছে ফ্রিজবন্দি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত একটি ডিমে ১৩টি প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ থাকে। এতে ছয় গ্রাম অত্যন্ত উচ্চমাত্রার প্রোটিন থাকে। ডিম যে কোনও মানুষের খাদ্যাভাসের সুষম আহার বলেই বিবেচিত হয়। কিন্তু ফ্রিজে দিনের পর দিন কাঁচা ডিম রাখার রেওয়াজ ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁচা ডিমের মধ্যে থাকা খাদ্যগুণ নষ্ট করে দেয় ফ্রিজের ঠাণ্ডা। ডিমের মধ্যে বেশ কিছু খনিজ পদার্থ থাকে যা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। ফ্রিজের ঠাণ্ডা ওই খনিজ পদার্থকে অকেজো করে দেয়। ডিমের মধ্যে থাকা অ্যাক্টিভ এনজাইম যা ঠাণ্ডায় নষ্ট হয়ে যায়। ঠাণ্ডায় ডিম রাখলে তার মধ্যে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের প্রবণতা বাড়ে। সেই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে টাইফয়েডে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়। ঠাণ্ডা ডিমের জন্য গ্যাসট্রোএনটেরেটিস ও ফুড পয়জনিংয়ের প্রবণতা বেড়ে যায়।

মুক্ত বাংলাঃ- ভয়েস অব কাজিপুরের আর্থিক সহযোগীতায় বৃত্তি প্রদান ও সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে সহযোগীতা প্রদান


           



মুক্ত বাংলা বিস্তারিতঃ-গতকাল শুক্রবার কাজিপুর অডিটোরিয়ামে সকাল ১০ টায় উপজেলার নদীভাঙ্গন কবলিত এলাকার ৪র্থ শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষার অর্ধশত মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান করা হয়।প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের একটি স্কুল ব্যাগ,নগদ অর্থ,১০টি খাতা,১ ডজন কলম,জ্যামিতি বক্স,ইংরেজি গ্রামার,ভোকাবুলারি বই,সনদসহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এছাড়াও কাজিপুরের বিভিন্ন গ্রামের পিএসসি,জেএসসি,এসএসসি ও এইচএসসি গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে আর্থিক সহযোগীতা করা হয়। এরপর সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে হুইলচেয়ার,সেলাইমেশিন এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ফ্যান,ডিজিটাল ঘড়ি ইত্যাদি বিতরণ করা হয়। আব্দুল মজিদ বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক,"ভয়েস অব কাজিপুর" এর উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জান্নাতুল হক শাপলা তার বক্তব্যে বলেন,"কাজিপুরের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে থাকতে আমি আনন্দিত,এ ধরনের সেবামূলক কর্মকান্ডে স্বামর্থবান সবাই এগিয়ে আসুন,ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে "ভয়েস অব কাজিপুর" এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখবে বলে আশা করি "। "ভয়েস অব কাজিপুর"এর মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন,"দেশ ও জাতি গঠনে সুশিক্ষার কোন বিকল্প নাই,তোমরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, তোমাদেরকে মানুষের মত মানুষ হতে হবে,গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় যে কোন সহযোগীতা করতে সদা প্রস্তুত ভয়েস অব কাজিপুর"। এসময় উপস্থিত ছিলেন "ভয়েস অব কাজিপুর" এর কার্যকরী সদস্য রাশেদুল হক,সভাপতি ডাঃ আশকার পাইন,সহঃসভাপতি তরিকুল চিশতী,সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদুল ইসলাম মিন্টু,কোষাধ্যক্ষ আল আমিন সহ আরো অনেকে।

মুক্ত বাংলাঃ-কাজিপুরে-১৩ বছরের নাবালিকা’ উল্লেখ করে মামলয় প্রেমিক, অন্যদিকে বয়সের ভুয়া সনদপত্র নিয়ে বাল্য বিবাহ সম্পূর্ণ।


বিস্তারিতঃ-এক বছর আগেও মেয়েটির বয়স ছিল ১৩ বছর। স্থানীয় এক স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত। গত বছর বিয়ের উদ্দেশ্যে ১৮ বছর বয়সী প্রেমিকের হাত ধরে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। ক্ষুব্ধ বাবা মেয়েকে ‘১৩ বছরের নাবালিকা’ উল্লেখ করে মামলা ঠুকে দেন মেয়ের প্রেমিক, বাবাসহ চারজনের বিরুদ্ধে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিন পেয়ে প্রেমিক মুক্ত হলে মেয়েটি নিজের বাড়ি ছেড়ে উঠে যায় প্রেমিকের বাড়িতে। এরপর বাবা জোর করে মেয়েকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান। নিশ্চিন্ত হতে বিয়েও দিয়ে দেন। তবে বিয়ের নিবন্ধনে মেয়ের বয়স এবার ১৮ বছর উল্লেখ করেছেন। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে মেয়ের বয়স ১৩ থেকে বেড়ে ১৮ বছর হয়ে যাওয়ার ঘটনা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে এলাকায়। এখন প্রেমিকের মা এ ঘটনায় উল্টো বিচার দাবি করে বসেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নে। অভিযোগ উঠেছে, বাল্যবিবাহের দায় থেকে বাঁচতে মেয়েটির বাবা মেয়ের বয়স বাড়িয়ে ১৮ বছর উল্লেখ করেছেন। আর এর জন্য জোগাড় করা হয়েছে বয়সের ভুয়া সনদপত্র।
এলাকাবাসী ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েটির সঙ্গে একই গ্রামের ১৮ বছর বয়সী এক ছেলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তারা বিয়ে করার উদ্দেশ্যে বগুড়ার শেরপুরে চলে যায়। এর দুদিন পর ১৬ ফেব্রুয়ারি মেয়ের বাবা কাজীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় প্রেমিক, তাঁর বাবাসহ চারজনকে আসামি করা হয়। মামলার এজাহারে মেয়ের বয়স ১৩ বছর এবং স্থানীয় স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী বলে উল্লেখ করা হয়।
পরবর্তী সময় গ্রামবাসীর সহায়তায় দুই পক্ষের অভিভাবকদের সমঝোতা হয়। ছেলে ও মেয়ে দুজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের বাড়িতে আসার জন্য বলা হয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি বাড়িতে আসার সময় দুজনকে থানা-পুলিশ ধুনট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে মেয়েটিকে তার বাবার হেফাজতে দেওয়া হয় এবং প্রেমিককে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
প্রায় এক বছর কারাগারে আটক থাকার পর এ বছর উচ্চ আদালতের আদেশে প্রেমিক জামিনে ছাড়া পান। খবর পেয়ে মেয়েটি নিজ বাড়ি ছেড়ে প্রেমিকের বাড়িতে এসে ওঠে। ক্ষুব্ধ বাবা এবার মেয়েকে জোর করে বাড়িতে নিয়ে যান। মেয়ে যেন আবার এ কাণ্ড না ঘটাতে পারে সে কারণে চটজলদি মেয়ের বিয়ে ঠিক করে ফেলেন। গত ৩ মার্চ মেয়েকে পাশের গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে (নিবন্ধন নম্বর ২০/২০১৭, পাতা নম্বর ৭১) দেন। নিবন্ধনে মেয়ের বয়স ১৮ বছর উল্লেখ করা হয়েছে। আর তা নিয়েই ঘটেছে বিপত্তি। এক বছরে কীভাবে একজনের বয়স পাঁচ বছর বেড়ে গেল, তা নিয়েই শুরু হয়েছে আলোচনা।

অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ভুয়া বয়সের জন্মসনদ সংগ্রহ করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে মেয়ের বয়স ১৮ বছর ৬ মাস বলে দাবি করেছেন বাবা। মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে প্রথমে গ্রামের স্কুলে পড়ে। পরে কারিগরি স্কুলে ভর্তি করা হলেও বেশি দিন পড়েনি। সে নাবালিকা নয়।’ এর আগে মেয়েকে নাবালিকা উল্লেখ করে মামলা করেছিলেন কেন? জানতে চাইলে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
মেয়েটি যে স্কুলে পড়ত সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন বলেন, মেয়েটি সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তবে সে অনিয়মিতভাবে স্কুলে আসত।

বিয়ের কাজি বেলাল হোসেন বলেন, ‘বর-কনের বয়সের সনদ দেখেই বিয়ে নিবন্ধন করা হয়েছে। তাঁরা কীভাবে কোথা থেকে সনদ এনেছেন, এটি দেখার দায়িত্ব আমার না।’
বিয়েতে সাক্ষী কনের এক আত্মীয় জানান, চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বয়সের সনদপত্র আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার কার্যালয় থেকে জন্মসনদ দেওয়া হয়েছে কি না, তা না দেখে বলা কঠিন। যদি তা দেওয়া হয়ে থাকে তবে তা আমার অজান্তে হয়েছে।’
এদিকে প্রেমিকের মা ছেলের বিরুদ্ধে মামলা ও এক বছর জেল খাটার ঘটনায় মেয়ের পরিবারের বিচার চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ওই মেয়ে নাবালিকা বলে আমার ছেলেকে জেল খাটতে হয়েছে। সেই নাবালিকা মেয়েকে কীভাবে বিয়ে দেওয়া হলো। তাহলে আমার ছেলেকে অন্যায়ভাবে কেন শাস্তি দেওয়া হলো। কে দেবে আমার এই বিচার?





সূত্রঃ- দৈনিক প্রথম আলো
দৈনিক শিক্ষা বার্তা
দৈনিক তরুন কন্ঠ

Friday 21 April 2017

সিরাজগঞ্জ,কাজিপুরের যমুনা নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধের স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিলেন- ১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।


মুক্ত বাংলা বিস্তারিতঃ  গতকাল শুক্রবার সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সাহেব কাজীপুরে আর আই এম ডিগ্রী কলেজের এবং সীমান্ত বাজারে আইএইচটি ভবনের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন।পরে পবিত্র জুমার নামায আদায় করেন সীমান্ত বাজার জামে মসজিদে। সেখানে তিনি মুসুল্লীদের সাথে কুশল বিনিময় করে সীমান্ত বাজারে নার্সিং কলেজ স্থাপন এবং যমুনা নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধের স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন।
এরপর সিরাজগঞ্জ সার্কিট হাউসে জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে জেলার সার্বিক উন্নয়ন বিষয়ক মত বিনিময়সভায় আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জনাব অালহাজ মোহাম্মদ নাসিম সাহেব বলেন,
সংবিধানে নিরপেক্ষ সরকার বলে কিছু নেই। এ দেশে আর কোন দিন অনির্বাচিত সরকারের অধিনে নির্বাচন হবে না। বিএনপিকে চক্রান্ত ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে ফিরে আসার আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেছেন কোন চক্রান্তই সফল হবে না।
নির্বাচনে বিজয়ের জন্য হেফাজতের সাথে সরকারের সখ্যতা বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এও বলেছেন- আওয়ামীলীগ তার দলীয় নীতি আদর্শ নিয়ে জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। হেফাজতের সাথে আওয়ামীলীগের নীতি আদর্শের কোন মিল নেই। বরং বিএনপি হেফাজতকে কাজে লাগিয়ে ষড়যন্ত্রের পথে পা দিয়েছিল।
কোন দল নির্বাচনে এলো কী না এলো তা দেকার কোন সুযোগ নেই। এদেশের মানুষ আর হরতালের নামে অরাজকতা ও অশান্তি চায় না। তিনি শুক্রবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ সার্কিট হাউসে জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে জেলার সার্বিক উন্নয়ন বিষয়ক এক মত বিনিময় সভায়। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেছেন।
সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দীকার সভাপতিত্বে উন্নয়ন বিষয়ক সভায় পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ, সিভিল সার্জন ডাঃ মনজুর রহমান, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির প্রেসিডেন্ট আবু ইউসুফ সূর্য্য, পৌরসবার মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, পল্লী বিদ্যুতের জিএম আজাহার আলী, শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের পিডি ডাঃ বাকির হোসেন, গণপুর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিম, স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ পরিচালক শাহিন হাসান সহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ মত বিনিময় সভায় নিজ নিজ দপ্তরের উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। সবা সঞ্চালনায় ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)শামীম আলম ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম জঙ্গী দমন এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সফলতার কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্য সেবা, বিদ্যুত, শিক্ষা, সার বীজসহ কৃষি এবং খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের সফলতা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে উল্লেখ করে বলেছেন- আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানুষের সাথে ভাল াআচরণ ও মন জয় করেই আওয়ামীলীগ আবার বিজয় লাভ করবে। শেখ হাসিনা উন্নয়নের নেত্রী উলে¬খ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্ব বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রশংসা করেছে। ছিটমহল উদ্ধার, পদ্মাসেতু নির্মাণ, বিদ্যুৎ উদপাদনসহ সকল ক্ষেত্রেই উন্নয়নের মডেল এখন বাংলাদেশ।

মুক্ত বাংলা
কাজিপুরের কথা বলে
লাইক দিন আপনাদের কাজিপুরের আঞ্চিক পেজে।

লিংকঃ
-www.facebook.com/muktobangla.kazipur

Thursday 20 April 2017

কাজিপুর উপজেলার মেঘাই মৌজায় ৫.৫০ একর জমিতে পর্যটন কেন্দ্র এবং মাজইবাড়ী ইউনিয়নের ঢেকুরিয়া ও মাইজবাড়ী মৌজায় ১২ একর জমিতে ইকোপার্ক



 বিস্তারিতঃ- সিরাজগঞ্জে কাজিপুরে মানুষের প্রাণপ্রিয় নেতা মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সাহেব গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কাজিপুরের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন।  কাজিপুর উপজেলার মেঘাই মৌজায় বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের অর্থায়নে ৫.৫০ একর জমিতে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। প্রকল্প পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী আলহাজ্ব মোহাম্মদ নাসিম, এম.পি। পর্যটন কেন্দ্রের কাজ খুব শীঘ্রই শুরু করা হবে। এছাড়াও তিনি মাজইবাড়ী ইউনিয়নের ঢেকুরিয়া ও মাইজবাড়ী মৌজায় পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রায় ১২ একর জমিতে ইকোপার্ক নির্মাণের জন্য স্থান পরিদর্শন করেন। এসময় বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের যুগ্ম সচিব জনাব মো. শহিদুল ইসলাম স্যার, সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক জনাব কামরুন নাহার সিদ্দীকা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মো. শফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নাজমুল হামিদ রেজা, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আজ (বৃহস্পতিবার) দিনাজপুর থেকে হেলিকপ্টারযোগে বিকেল সোয়া ৫টায় কাজিপুরে পৌছান।
পরিদর্শন শেষে তিনি কাজিপুর রেস্ট হাউজে জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন।

Saturday 15 April 2017

কাজিপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিস।কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ।

কাজিপুর উপজেলা সরকারী অফিস গুলোর মধ্যে উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অন্যতম। অফিসটি উপজেলা সদর হতে ১২০০ মিঃ দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত।
যোগাযোগঃ-
কাজিপুরের আলমপুর চৌরাস্তা নেমে সেখান হতে রিকসায় আলমপুর হেলিপ্যাডের নিকটে অত্র অফিসে আসা যায়।
উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিস
কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ।

টেলিফোন নম্বর- ০৭৫২৫৫৬২৯৯।
মোবাইল নম্বর- ০১৭৩০০০২৫৬০।

Friday 14 April 2017

এক নজরে কাজিপুর পৌরসভা



সীমানাঃ- উত্তরে কাজিপুর সদর ইউপি ও চালিতাডাঙ্গা ইউপি, পূর্বে তেকানী ও কাজিপুর সদর ইউপি, দক্ষিণে গান্ধাইল ইউপি এবং পশ্চিমে চালিতাডঙ্গা ও গান্ধাইল ইউপি
জেলা সদর হতে দূরত্বঃ-২৫ কিঃমিঃ।
আয়তনঃ-৫.৭৩ বর্গ কিলোমিটার।

জনসংখ্যাঃ-১৫,৯১৩জন (পুরুষ : ৮,৩৮৬ জন, মহিলা : ৭,৫২৭ জন)।
বাৎসরিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারঃ-১.৩%
মোট পরিবার(খানা)ঃ-৩,৩৭০ টি।
লোক সংখ্যার ঘনত্বঃ-১,৮৪৮ (প্রতি বর্গ কিলোমিটারে)।
মোট ভোটার সংখ্যাঃ-৯,৮৯৪ জন(পুরুষ : ৪,৫৪০ জন, মহিলা : ৫,৩০০ জন)।
নির্বাচনী এলাকাঃ-৬২ সিরাজগঞ্জ-১(কাজিপুর)।
গ্রামঃ-৭ টি।
মৌজাঃ-৫ টি।
পৌরসভাঃ-০১ টি।
এতিমখানা বে-সরকারীঃ-২ টি।
মসজিদঃ-১৪ টি।
মন্দিরঃ-৪ টি।

সুত্রঃbangladesh national web

Thursday 13 April 2017

মেঘাই ই ইউ আই পাইলট উচ্চ বিদ্যালইয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা-১৪২৪

আয়োজনেঃ মেঘাই ই ইউ আই পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়,কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ।

শুভ নববর্ষ ১৪২৪ ।

শুভ নববর্ষ ১৪২৪ ।
মুক্ত বাংলার সকল পাঠক, শুভানুধ্যায়ী, কলা-কুশলী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ সহ কাজিপুরের সকল জনগন এবং সারাদেশের সকল বাংলা ভাষা-ভাষীকে জানাচ্ছি নববর্ষের শুভেচ্ছা। আপনার প্রিয়জনদের সাথে বছরের প্রথম এবং প্রতিটি দিন হোক আনন্দময়।

"মুক্ত বাংলা"
জানতে চাই,জানাতে চাই

কাজিপুরের একটি আঞ্চলিক ফেসবুক পেইজ।

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে কাজিপুরের উপজেলা চত্তরে সাপের খেলা দেখানো হয়।

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে কাজিপুরের উপজেলা চত্তরে সাপের খেলা দেখানো হয়।

কাজিপুরে মঙ্গল শোভাযাত্রা-১৪২৪

আয়োজনেঃউপজেলা প্রশাসন,কাজিপুর,সিরাজগঞ্জ ।

Tuesday 4 April 2017

সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুরে বিনাবেতনে শিক্ষা প্রদান করে একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল।


 মুক্ত বাংলা বিস্তারিতঃ-শুধু মাত্র এতিম ছেলে-মেয়েরা বিনা বেতনে শিক্ষা গ্রহন করতে পারবে এই ভিন্ন ধর্মি কিন্ডারগার্টেনে।
মোঃ শরিফুল ইসলাম সবুজ সাহেবের এই কিন্ডারগার্টেনের নাম "গ্রিন,স মর্নিং গ্লোরি একাডেমীর",বাঐখোলা,কাজিপুর,সিরাজগঞ্জ।
যে প্রতিষ্ঠানটির মাসিক আয় মাত্র (১৭০০০) সতের হাজার টাকা এবং শুধু মাত্র শিক্ষক বেতন বাবদ প্রতিমাসে ব্যায় (২৫০০০)পঁচিশ হাজার টাকা।

১৩০ থেকে ১৪০ জনের মত ছাত্র ছাত্রী লেখাপড়া করে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।যার বেশিররভাগ শিক্ষার্থী এতিম ও গরীব। বেশীর ভাগ ছাত্র ছাত্রী বিনাবেতনে,অর্ধেক বেতনে আবার কোন কোন অভিভাবক যতটুকু বেতন প্রদান করেন তাতেই খুশি থাকেন মোঃ শরিফুল ইসলাম। গরীব ও এতিম শিশুরাও যেন কেজি স্কুলে পড়তে পারে সেই চিন্তা মাথায় রেখেই এগিয়ে যাচ্ছেন মোঃ শরিফুল ইসলাম।
এই স্কুলের সকল ছাত্রছাত্রীকে একটি আদর্শ মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার সকল চেষ্টা করছেন তিনি।
তিনি মুক্ত বাংলা কে বলেন,
"১০ টাকা চুরি বা কুরিয়ে পাওয়ার চেয়ে ১ টাকা উপার্জন করে পাওয়া অধিক মূল্যবান"

আশুন আমরা তার এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করিঃ-
পরিচালকের কিছু কথাঃ-
আমি মো:শরিফুল ইসলাম সবুজ। ((বাংলাদেশ সেনাবাহিনী)(প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং সহ সভাপতি) গ্রিন,স মর্নিং একাডেমি)
"শিক্ষার সর্বোচ্চ মান অর্জনই আমাদের লক্ষ্য"
প্রতিষ্ঠানের মূললক্ষ্যঃ-
উত্তরবঙ্গের বিশেষত সিরাজগ্জের কাজিপুর থানাধিন ছাত্র-ছাত্রীদের মান সমপন্ন শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্য নিয়েই এ প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু করেছি. সুপ্ত প্রতিভাকে খুঁজে বের করে তাদেরকে উপযোগী পরিবেশে পরিচর্যার মাধ্যমে ভবিষ্যতের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই হচ্ছে এর মূল লক্ষ্য। সে কারণে কেবল মাত্র বুদ্ধিবৃত্তিক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে শিশুর ব্যক্তিত্বের সুষম বিকাশের চেষ্টা করা হয়। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, কঠোর শৃংখলা ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার জন্য উপযোগী হয়ে গড়ে উঠতে পারে এবং একজন সুশৃংখল নাগরিক হিসেবে বেড়ে উঠতে পারে। সেই লক্ষ্যে মেধার ভিত্তিতে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি করা হচ্ছে।

#আমি মনস্থ করেছি যে এতিম ছাত্র ছাত্রিদের বিনা বেতনে শিক্ষাদানে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবো যা ইতিমধ্যেই বাস্তবায়ন করেছি.
"এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পাঁচটি মূলনীতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত "
১। যথোপযুক্ত পরিবেশে জাতীয় শিক্ষা বোর্ড প্রণীত সিলেবাস অনুযায়ী সকল স্তরের শিক্ষাদান।
২। ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে চিন্তা-চেতনা, পরামর্শ ও মতবিনিময়ের অবাধ যোগাযোগ গড়ে তোলা।
৩। নির্ধারিত পাঠ্যক্রম ছাড়াও সহপাঠ্যক্রমিক যেমন: সাহিত্য, সংস্কৃতি ও খেলাধুলা কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক সুষম বিকাশে সাহায্য করা।
৪। শিক্ষার্থীরা যেন যোগ্য নাগরিক হিসেবে ভবিষ্যতে সকল ক্ষেত্রে মূল্যবান অবদান রাখতে পারে এবং জাতিকে গতিশীল নেতৃত্ব দান করতে পারে সে জন্য যুগোপযোগী সকল পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা গ্রহণ।
৫। নৈতিক, সামাজিক, শারীরিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে শিক্ষার্থীর জন্য সুষম সুযোগ সৃষ্টি করা।

প্রতিষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মো:শরিফুল ইসলাম সবুজ. প্রশাসনিক ক্ষমতার পরিধির মধ্যে এ প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত করবো। আরো আকর্ষন যে এমন দুইজন মানুষ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এবং উদ্দোক্তা সদস্য মনোনীত। যাদের অবদানে কাজিপুরের উন্নত শিক্ষায় অসাভাবিক ভুমিকা রাখছে.
★★ আমি পরিচালক হিসাবে নিজেই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য একটি স্থায়ী নীতিমালা বাস্তবায়ন করবো। আমি আশা করি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোছাঃ ছাবিনা ইয়াসমিন.(এমএ)।প্রাত্যহিক শিক্ষা কর্মকান্ড ও অন্যান্য বিষয়াবলি তদারকি করবেন।
মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, রাজশাহী এর নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালনা পর্ষদ গঠিত করেছি৷
#পরিচালনা_কমিটির_নামিয়_তালিকাঃ-
১।মো:আশরাফুল আলম. ইউপি চেয়ারম্যান গান্ধাইল, কাজিপুর. (সভাপতি)
২।মো:শরিফুল ইসলাম সবুজ.বাংলাদেশ সেনাবাহিনী .(প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং সহ সভাপতি.)
৩।মো:সাইদুল ইসলাম. কাজিপুর থানা আওয়ামি লীগ সেক্রেটারি.( প্রাধান উদ্দোক্তা সদস্য )
৪।মো: আ:সামাদ মাষ্টার. (সদস্য )
৫।মো:শাহ আলম মাষ্টার (সদস্য )
৬।মো: মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ মাষ্টার (সদস্য )
৭।মো:ওসমান গনি(অভিবাবক সদস্য )
৮।মো: বেল্লাল হোসেন (অভিবাবক সদস্য )
৯।মো:আ: সাত্তার সরকার (জমিদাতা সদস্য )
১০।শ্রী বিধান দাস (শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য )
১১।মোছা: শিল্পী খাতুন (শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য )
১২।মোছা:ছাবিনা ইয়াসমিন (উপ সচিব )

#ভর্তি_পদ্ধতিঃ
১।নার্সারিঃ
প্রতিবছর সাড়ে চার বছর থেকে পাঁচ বছর বয়সের শিশু শিক্ষার্থী নার্সারিতে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে ভর্তি করা হয়।
২।১ম থেকে ৫ম শ্রেণীঃ
শিক্ষার মুলনিতিকে স্মরন করে ভর্তি করা হবে.

বেতন ও পরিবহণ ভাড়া পরিশোধ নীতিমালাঃ-
★বকেয়া পাওনা/মাসিক বেতন/পরিবহন ভাড়া চলতি মাসের ১ হতে ১০ তারিখ পর্যনত্ম নার্সারি থেকে পঞ্চম শ্রেণি, প্রতি মাসে বেতন বই পূরণ করে ফরম শিক্ষক/শিক্ষিকার মাধ্যমে হিসাব সহকারীর কাছে জমা করার ব্যাবস্তা করবো৷

পোশাক পরিচ্ছদঃ-
ছাত্র-ছাত্রীরা অবশ্যই প্রতিষ্ঠান নির্দেশিত ও নির্ধারিত পোশাক সুচারুভাবে পরিধান করবে। গ্রীষ্মকালিন এবং শিতকালিন পোশাক পরিধানের সময়সূচি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যথাসময়ে জানানো হবে।
ভর্তি চলিতেছে প্লে থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত.


পরিচালকের সাথে যোগাযোগঃ-
মো:শরিফুল ইসলাম সবুজ।
মোবাইলঃ-01771104179
মেইলঃ-sharif1228cdo@gmail.com.

"মুক্ত বাংলা"
কাজিপুরের অজানা আরো তথ্য জানতে লাইক দিন মুক্ত বাংলা ফেসবুক পেজে।
আপনার চারপাশের ঘটে যাওয়া তথ্য,ছবি আমাদের কে মেসেজ করুন।প্রচার যোগ্য হলে আমরা প্রচার করব।

"মুক্ত বাংলা"
জানতে চাই,জানাতে চাই

Monday 3 April 2017

এতিম ফাউন্ডেশনের নতুন খাতা এবং ইসমাইল সাহেবের কিছু কথা

বাংলাদেশ প্রাইমরী এন্ড হাইস্কুল এতিম ফাউন্ডেশনের নতুন খাতা তৈরি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক গার্মেন্টস শ্রমিক মোঃ ইসমাইল হোসেন সিরাজী।
********************************************
ইসমাইল সাহেবের কিছু কথাঃ
এখন থেকে নতুন মোড়কে ১দিস্তা কাগজের লেখার খাতা ও একটি কলম প্রতি মাসে পাবে তালিকা ভুক্ত এতিম ছাত্র-ছাত্রী।

কাজিপুর উপজেলার উল্লাপাড়া গ্রামের মৃত জিন্নাত আলীল পুত্র গার্মেন্টস শ্রমিক মোঃ ইসমাইল হোসেন সিরাজি ব্যক্তিগত উদ্যোগে কাজিপুর উপজেলার ৪২টি প্রাথমিক ও হাইস্কুলের ৪৬০জন দরিদ্র এতিম ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে এই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে কয়েক বছর যাবত।
বাংলাদেশ প্রাইমারি এন্ড হাইস্কুল ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ইসমাইল হোসেন সিরাজী মুক্ত বাংলা কে জানান আমি টাকা পয়সার অভাবে লেখা পড়া করতে পারিনি।
একদিন এক দিস্তা কাগজের অভাবে স্কুলে পড়া লিখে দিতে পারিনি একটি কলম কতটা হিসাব করে লিখেছি তা শুধু আমি জানি।ছোট বেলাতেই বাবা কে হাড়িয়েছি।

বাবা ছাড়া জীবন টা যে কত কষ্ঠের তা আমি জানি।ইচ্ছে থাকা সত্যেও লেখা পড়া করতে পারিনি।আমি তো খুব ভালো ছাত্র ছিলাম না তবে আমার পার্শ্ববর্তি এক দরিদ্র মেধাবি ছাত্রের কাগজ কলমের অভাবে লেখা পড়া করতে পারেনি।
সেই থেকে আমার মধ্যে একটা উপলব্ধী কাজ করছে যে যদি আমার সুযোগ হয় তাহলে আমি দরিদ্র এতিম ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য কিছু কাজ করে যাব। লেখা পড়া যতটুকু শিখেছি এর পর কয়েক বছর যাবৎ আমি শিল্পপতি মোশারফ সাহেবের ষ্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টস এ ওয়াশিং ষ্টোর সাপ্লাইম্যান পদে মাসিক ১২হাজার টাকা বেতনে চাকরি করছি এবং অব টাইমে ওভারটাইম এ কাজ করে আরো কিছু টাকা আয় করার চেষ্টা করি। অনেক কষ্ট সেখান থেকে ৫-৬ হাজার টাকা বাচিয়ে দরিদ্র এতিম ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে প্রতি মাসে আমি এই খাতা কলম বিতরন করে আসছি।
ইতিপূর্বে আমি দিস্তা কাগজ বিতরন করেছি। এতে কিছু সমস্যা হয়েছে অনেক ছাত্র/ছাত্রী বলেছেন খাতার মলাট না থাকায় খাতা তাড়াতাড়ি ছিড়ে যায়।তাই তাদের কথা মাথায় রেখে আমার একটু কষ্ট হলেও এই মলাট যুক্ত খাতা তৈরি করেছি।
তার মহতী উদ্যোগকে অনেকেই স্বাগত জানিয়েছেন।
কাজিপুরের সকল স্কুলে তিনি তার প্রতিষ্ঠানের খাতা কলম পৌছাতে চান।তিনি এই কর্মসূচিকে চালিয়ে নেওয়ার এবং বৃদ্ধি করার জন্য সমাজ ও দেশের বৃত্তবানদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।

সংস্থার পরিচালক মোঃ ইসমাইল হোসেন সিরাজি মুক্ত বাংলাকে আরো বলেন সংস্থাকে আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে দরিদ্র মেধাবি ছাত্র/ছাত্রীদের সংখ্যা যাতে আরো বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে যথাযথ চেষ্টা করছি। আমি সকলের কাছে দোয়া চাই।আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন সুস্থ থাকি।
প্রতিবেদনঃ মুক্ত বাংলা নিজস্ব প্রতিনিধি।

Saturday 1 April 2017

কাজিপুরের নাটুয়ার পাড়ায় স্কুল, কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত।


 
তাদের_নেই_কোন_খেলার_মাঠ!!

আজকের শিশু আগামীদিনের রাষ্ট্র নায়ক কিংবা শিশুর কথা শুনব মোরা হাসবে শিশু গড়বে ধরা এ জাতীয় শ্লোগান কে সামনে রেখে প্রতিবছর শিশু অধিকার সপ্তাহ পালিত হলেও প্রতি পদে পদে লাঞ্ছিত বঞ্চিত হচ্ছে কাজিপুর উপজেলার নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের শিশুরা তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে। মেধা বিকাশের সুষ্ঠু পরিবেশ কিংবা অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছেনা অনেক শিশুর, বিশেষ করে নাটুয়ারপাড়ার স্কুল,কলেজের শিক্ষাথীদের মৌলিক অধিকার অধিকাংশ ক্ষেত্রে উপেক্ষিত। শিশুর প্রথম লেখাপড়া শুরু হয় মূলত মা-বাবার কাছে। নিজের ঘরের চার দেয়ালের বাইরে কেবল মাত্র শিক্ষকরা আনন্দ ঘন পরিবেশে তাদের চাওয়া পাওয়ার মাধ্যমে আনমনা শিশু শিক্ষার্থীদের পড়া শুনার প্রতি আগ্রহী করে গড়ে তোলেন। প্রাথমিক শিক্ষাই একটি শিশুর শিক্ষা জীবনের মূল ভিত্তি হিসাবে গড়ে ওঠে।
প্রাথমিক শিক্ষার ওপর নির্ভর করেই গড়ে ওঠে ব্যক্তি বা জাতির ভবিষ্যত। কিন্তু প্রথমিক বিদ্যালয়ে যদি শিশুর সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ না পাওয়া যায় তাহলে জাতির মেরুদন্ড কখনো সোজা হতে পারবে না, এ জন্য দরকার শিশু বান্দব শিক্ষার পরিবেশ। শিশু শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে শিশুদের বিনোদন ও অংশগ্রহণের বিষয়টি ও নিশ্চিত করতে হবে। শিশুদের হই হুল্লা আর লাফা লাফির মধ্যে দিয়ে তাদের প্রাথমিক শিক্ষা জীবন অতিবাহিত হয়ে থাকে। একারণে প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের শিক্ষার পাশাপাশি বিকাশের জন্য খেলা ধুলার বিষয়টি অত্যবশকীয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার যমুনা পুর্ব নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নে অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয় ও নাটুয়ারপাড়ার ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থীদের খেলার জন্য কোন মাঠ নেই। কোন কোন বিদ্যালয়ে এ্যাসেম্বলি ক্লাস কিংবা লাইনে দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সুযোগ নেই। কোথাও শুধুমাত্র ভবন আছে মাঠ গেছে নদীর বুকে। স্বাভাবিক ভাবে মাঠের অভাবে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ বাঁধা গ্রস্থ হচ্ছে।
ঘোড়া গাছা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মাঠের অভাবে ক্লাস রুমেই টিফিন কিংবা অন্য অবসর সময়ে নিরলস সময় কাটায়। সে কারণে ছাত্র ছাত্রীরা টিফিন পিরিয়ডে তাদের স্কুল সংলগ্ন নাটুয়ারপাড়ার ব্যস্ততম সড়কের উপর দিয়ে ছোটা ছুটি করে থাকে। রহিম নামের ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্র জানায় আমাদের খেলাধুলার জন্য কোন ফাকাঁ জায়গা নেই। আমাদের খেলার মাঠ নেই। এ প্রসঙ্গে সহকারী শিক্ষক বলেন আমাদের বিদ্যালয়ে কোন মাঠ নেই। জাতীয় সঙ্গীত ও এ্যাসেম্বলী ক্লাস করতে খুবই কষ্ট হয়।
চরাঞ্চলের প্রাণ কেন্দ্রে নাটুয়ারপাড়ায় অবস্থিত নাটুয়ারপাড়া ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থীদের কোন খেলা ধূলার সুযোগ নেই।অভিযোগ রইয়েছে কলেজের শিক্ষার্থীদের খেলা মাঠ না বানিয়ে,মাঠের মধ্যে পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ করছে নাটুয়ারপাড়া ডিগ্রী কলেজর ম্যানেজিং কমিটি লোক জন।গত বছর নাটুয়ারপাড়া ডিগ্রি কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা খেলা মাঠে জন্য অান্দোলন করলে ও কোন লাভ হয়নি।
নাটুয়ারপাড়ার উচ্চ বিদ্যালয়ের অবস্থা আরো করুন। খেলার মাঠের মধ্যে অবস্থিত এ বিদ্যালয়ে ও শুধুমাত্র ক্লাস রুম ছাড়া বাকি এক ইঞ্চি মাঠ পযন্ত নেই। ছাত্র ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে এক বার প্রবেশ করলে আর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
নাটুয়ারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের খেলার মাঠ না থাকায় দৈনিক এ্যাসেম্বলি ক্লাস ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন হচ্ছে না। মাঠ না থাকা বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা অবসর সময়ে অনেকটা বাধ্য হয়ে ক্লাস রুমের মধ্যেই বন্দি হয়ে থাকতে হয়। সে কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাভাবিক মেধা বিকাশে বাঁধা গ্রস্ত হয়ে পড়ছে। অনেক ছাত্রছাত্রী বিদ্যালয়ে আনন্দ ঘন পরিবেশ ও খেলা ধুলার সুযোগ না থাকায় অকালে শিক্ষা জীবন থেকে ঝরে পড়েছে। অপর দিকে, খেলার মাঠ না থাকায় নাটুয়ারপাড়ার কোন স্কুল কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কিংবা অন্য কোন প্রতিযোগিতা মূলক অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্বভ হয়ে উঠছেনা। যে কারণে ছাত্র ছাত্রীদের পড়া শুনার প্রতি আগ্রহী করে তোলা সস্বভ হচ্ছে না।
জাতিসংঘের সনদ আনুযায়ী শ্বিশুর স্বাভাবিক বিকাশ ও অংশগ্রহণের কথা বলা হলেও নাটুয়ারপাড়ার অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়,হাই স্কুল ও নাটুয়ারপাড়ার ডিগ্রি কলেজে এ বিষয়টি উপেক্ষিত হচ্ছে।
এলাকার লোকজন জানান, এসব বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির দায়িত্ব না নেয়া শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিদের গুরুত্ব না দেয়া, প্রসাশনের বাড়তি ঝামেলা মনে করে এড়িয়ে যাওয়া, শিক্ষকদের সোচ্চার না হওয়া, অবিবাভকদের অসচেতনতা, প্রভৃতি কারণে প্রাথমিক ও উচ্চ স্তরের ছাত্র-ছাত্রীরা খেলা ধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সর্বপরি,শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী করতে হলে অবশ্যই স্কুল,কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা বিকাশ, অংশ গ্রহণের সুযোগ দিতে হবে-দিতে হবে একটি আনন্দঘন পরিবেশ। আনন্দঘন ও সুষ্ঠু পরিবেশের অভাবে বর্তমানে কাজিপুর উপজেলার নাটুয়ারপাড়ার আশংকাজনক হারে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা অকালে ঝরে পড়েছে, এসব বিষয়ে এখনি সবার এগিয়ে আসতে হবে নতুবা অদূর ভবিষ্যতে নাটুয়ারপাড়ার প্রাথমিক বা উচ্চ স্তরের শিক্ষার কাংখিত অর্জন অনেকাংশে ব্যাহত হবে বলে অবিভাবকরা মনে করেন।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, উরোক্ত বিষয় গুরুত্ব সাথে বিবেচনা করে কাজিপুরের মা,মাটিও মানুষের নেতা জনাব,প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়( সাবেক এমপি) ,নাটুয়ারপাড়ার স্থানীয় আ'লীগের নেতাদের ও জনপ্রতিনিধিদের খেলার মাঠ তৈরি করার জন্য বার বার নির্দেশ প্রধান করলেও,নাটুয়ারপাড়ার আ'লীগের নেতারা এই বিষয়ে নিচ্ছে না কার্যকরী পদেক্ষেপ।
((সংগৃহীত খবর))
সূত্রঃ আমাদের নাটুয়ার পাড়ার সমাচার।

অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে কাজিপুরের ইজিবাইক চালক

                                       সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার অনিক বাবু (২০) নামের এক ইজিবাইক চালককে অজ্ঞান করে মোবাইল ফোন ও বাইক...