সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান (৪৩) ও সিনিয়র স্টাফ নার্স জোবেদা খাতুনকে (৩৫) খাবারে বিষ মিশিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ১৬৪ ধারায় আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে এ কথা স্বীকার করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বাসার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী লাকি খাতুন।
আদালত ও পুলিশ সূত্র জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় কাজীপুর উপজেলার বেড়ী পোটল গ্রামের জহরুল ইসলামের স্ত্রী লাকি খাতুনকে সিরাজগঞ্জের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় লাকি ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নজরুল ইসলাম তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করার পর লাকিকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, লাকি খাতুন তাঁর লিখিত জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন,
‘স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের ওপর আমি ক্ষুব্ধ ছিলাম। তাঁকে
শায়েস্তা করার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকি। পাশের গ্রামের কবিরাজ তমসের আলীর
কাছ থেকে ওষুধ (বিষ) সংগ্রহ করি। গত ২৫ এপ্রিল দুপুরে প্রধান সহকারী আলমগীর
স্যারের বাসা থেকে খাবার আনার সময় তরকারির সঙ্গে ওষুধ মেশাই। ওই খাবার
খেয়ে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁদের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মনিরুজ্জামান ও জোবেদা খাতুন মারা যান।’
এদিকে লাকি খাতুনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল কাজীপুর উপজেলার টিকোভিটা গ্রাম থেকে ‘বিষ সরবরাহকারী’ কবিরাজ তমসের আলীকে আটক করেছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশের একটি সূত্র।
এ বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সূত্রটি জানায়, এই মুহূর্তে কোনো তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। তবে একজনকে (কবিরাজকে) আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জবানবন্দি রেকর্ড করার পর লাকি খাতুনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। লাকির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও বেশ কয়েকজনকে আটকে অভিযান চলছে।
গত ২৫ এপ্রিল দুপুরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, সিনিয়র নার্স জোবেদা খাতুন ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী আলমগীর হোসেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কক্ষে দুপুরের খাবার খান। খাবার খেয়ে তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁদের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও নার্স মারা যান। আলমগীর বর্তমানে সুস্থ আছেন।
সূত্রঃ প্রথম আলো
এদিকে লাকি খাতুনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল কাজীপুর উপজেলার টিকোভিটা গ্রাম থেকে ‘বিষ সরবরাহকারী’ কবিরাজ তমসের আলীকে আটক করেছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশের একটি সূত্র।
এ বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সূত্রটি জানায়, এই মুহূর্তে কোনো তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। তবে একজনকে (কবিরাজকে) আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জবানবন্দি রেকর্ড করার পর লাকি খাতুনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। লাকির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও বেশ কয়েকজনকে আটকে অভিযান চলছে।
গত ২৫ এপ্রিল দুপুরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, সিনিয়র নার্স জোবেদা খাতুন ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী আলমগীর হোসেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কক্ষে দুপুরের খাবার খান। খাবার খেয়ে তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁদের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও নার্স মারা যান। আলমগীর বর্তমানে সুস্থ আছেন।
সূত্রঃ প্রথম আলো
No comments:
Post a Comment