Tuesday, 16 May 2017

মুক্ত বাংলাঃ-ভাঙ্গনরোধে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ ও বাহুকা, শুভগাছায় বিকল্প রিং বাঁধ নির্মাণের নির্দেশ দেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ।

 
 যমুনা নদীর ভাঙনরোধ ও আবাদি জমিসহ ঘরবাড়ি রক্ষায় সিরাজগঞ্জের যমুনাপাড়ে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাহুকা এবং কাজিপুর উপজেলার শুভগাছা ও বীরশুভগাছায় জরুরীভিত্তিতে এ বাঁধ নির্মাণ করছে। এতে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয় এই বাধ নির্মান করা হচ্ছে। বন্যার আগেই এ বাঁধ নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করা হবে। এদিকে, পানি উন্নয়ন বিভাগ (বিআরই) সার্ভে বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই সিরাজগঞ্জের উজান ও ভাটিতে যমুনায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেয়। ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে সদর উপজেলার বাহুকা ও কাজিপুরের শুভগাছার প্রায় আড়াই’শ ফুট বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ বহু জায়গা-জমি, ঘর-বাড়ি। ভাঙনের মখ থেকে শতাধিক বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রায় আড়াই কি.মি. বাঁধের বিভিন্ন অংশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পুরো বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানিতে মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতির কথা ভেবে এলাকার  মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। অপর দিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙ্গনরোধে বালিভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হলেও ভাঙন প্রতিরোধে তেমন সফল হয়নি। সিরাজগঞ্জে যমুনাপাড়ের অসময়ের ভাঙনে জমি-জিরাত ও জনগণের ক্ষয়ক্ষতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ভাঙ্গনরোধে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ ও বাহুকা, শুভগাছায় বিকল্প রিং বাঁধ নির্মাণের নির্দেশ দেন। দ্রুত বাধের কাজ শেষ করার জন্য ইতোমধ্যেই প্রকল্প এলাকায় চারটি এক্সকেভেটর দিয়ে মাটি কাটার কাজ শুরু করা হয়েছে। তাছাড়াও, যমুনা নদীর তলদেশ থেকে ড্রেজিং করে অপসারিত মাটি বাঁধের কাজে ব্যবহারের জন্য স্থানীয়ভাবে দুটি ড্রেজিং মেশিনও কাজ শুরু করেছে। এতে এলাকার মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তিও ফিরেছে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম যমুনার ভাঙন প্রসঙ্গে বলেছেন- অসময়ে যমুনায় এমন ভাঙন আগে কখনও হয়নি। এজন্য, এ বাঁধ নির্মাণ কাজ শুর করা হয়েছে। সেই সাথে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অভ্যন্তরে আরও একটি রীং বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া, যমুনা নদীর ভাঙন থেকে খুদবান্দি, সিংড়াবাড়ি, বাহুকা ও শুভগাছা এলাকায় স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক কাজের জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে এবং প্রায় ৪শ’ ৬৫ কোটি চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন পাঠানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে বর্ষার আগেই তা শুরু করা হবে বলে তিনি উলে¬খ করেন।


সূত্রঃ- asianbarta24

No comments:

Post a Comment

অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে কাজিপুরের ইজিবাইক চালক

                                       সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার অনিক বাবু (২০) নামের এক ইজিবাইক চালককে অজ্ঞান করে মোবাইল ফোন ও বাইক...