Sunday, 14 May 2017

মুক্ত বাংলাঃ-এক নজরে কাজিপুরের ২নং চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়ন ও ইউনিয়নের ইতিহাস।


  **জেনেনিন-কে ছিলেন এই ইউনিয়নের প্রথম চেয়ারম্যান!!
  
মুক্ত_বাংলাঃ-যমুনা নদী দ্বারা ক্ষত-বিক্ষত কাজিপুরের ১২টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভার মধ্যে মাত্র ২টি ইউনিয়ন যমুনার করাল গ্রাস হতে অক্ষত রয়েছে যার অন্যতম ২নং চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়ন।
সুজলা সফলা শস্য শ্যামলা, সবুজে ঘেরা একটি ঐতিহ্যবাহী ইউনিয়ন চালিতাডাঙ্গা। যাহা কাজিপুর উপজেলার বাণিজ্যিক রাজধানী এবং শস্য ভান্ডার হিসাবে খ্যাত। অত্র ইউনিয়নের পূর্ব-উত্তরে ৬নং মাইজবাড়ী ইউনিয়ন, পূর্ব-দক্ষিণে কাজিপুর পৌরসভা, দক্ষিণে ৩ নং গান্ধাইল ইউনিয়ন, দক্ষিণ-পশ্চিমে বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়ন এবং চৌকিবাড়ী ইউনিয়ন, পশ্চিমে ১নং সোনামুখী ইউনিয়ন এবং উত্তরে ৬নং মাইজবাড়ী ইউনিয়ন দ্বারা বেষ্টিত। যাহা চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নকে ভৌগলিকভাবে অত্যমত্ম মনোরম পরিবেশে চমৎকারভাবে ঢাকিয়ে রেখেছে।
(((মুক্ত বাংলা)))
 
ইতিহাসঃ-ইউনিয়ন পরিষদ গ্রামীন স্থানীয়সরকার ব্যবস্থার সবচেয়ে পুরনো প্রতিষ্ঠান। প্রাচীনকালের পঞ্চায়েতীব্যবস্থার ধারাবাহিকতায় ব্রিটিশ আমলে ১৮৭০ সালে রাজনৈতিক, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ওরাজস্ব আদায়ে সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য ৩ বছর মেয়াদি ৫ সদস্য বিশিষ্ঠ‘চৌকিদারি পঞ্চায়েত’ যাত্রা শুরম্ন করে। এরপর ১৮৮৫ সালে ‘বঙ্গীয় স্থানীয়স্বায়ত্তশাসিত আইন’-এর মাধ্যমে ২ বছর মেয়াদি ৫-৯ জন সদস্য নিয়ে ‘ইউনিয়নকমিটি’ গঠন করা হয়। ১৯১৯ সালে ‘বঙ্গীয় গ্রামীণ স্বায়ত্তশাসিত আইন’-এরমাধ্যমে ৬-৯ সদস্য বিশিষ্ট ‘ইউনিয়ন বোর্ড’ গঠন করা হয়। পরবর্তীতে পাকিস্থানআমলে ১৯৫৯ সালে মৌলিক গনতন্ত্র আদেশ জারি করে ১০-১৫ জন সদস্য নিয়ে গঠন করাহয় ‘ইউনিয়ন কাউন্সিল।
(((মুক্ত বাংলা)))
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশে ত্রান ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৯৭২ সালে১০-১৩ জন সদস্য নিয়ে গঠিত ‘ইউনিয়ন পঞ্চায়েত’ দায়িত্ব পালন করে। এরপর ১৯৭৩সালে রাষ্ট্রপতির আদেশের মাধ্যমে ১১ জন সদস্য নিয়ে ৩ বছর মেয়াদি ইউনিয়নপরিষদের যাত্রা শুরম্ন হয়। পরে ১৯৮৩ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ)অধ্যাদেশ জারি করে ৫ বছর মেয়াদি ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত হয়।
(((মুক্ত বাংলা)))
ইউনিয়ন পরিষদ গ্রামীণএলাকায় সুশাসন বা মানুষের অধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাসহ জীবনের মানউন্নয়ন, মানবাধিকার সংরÿন, প্রশাসন, আইন-শৃংখলা রক্ষাও গনতান্ত্রিক অধিকারপ্রতিষ্ঠায় গুরম্নত্বপূর্ণ ভহমিকা পালন করে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানটি দেশেরএমন একটি প্রশাসনিক কাঠামো যার মাধ্যমে রাষ্ট্রের সব সহায়তা সরাসরি গ্রামীণজনগোষ্ঠীর কাছে পৌছায়।


(((মুক্ত বাংলা)))
প্রথম চেয়ারম্যান বাবরআলী তালুকদারের পর ১৯৪৫ সালে জসিম মন্ডল দ্বিতীয় চেয়ারম্যান হন। তবে অত্রইউনিয়নের ইতিকথা/কত সাল থেকে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে তারনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায় নি।

"মুক্ত বাংলায়" কাজিপুরের সকল তথ্য পেতে লাইক দিয়ে মুক্ত বাংলার সাথেই থাকুন।মুক্ত বাংলা কাজিপুরের একটি আঞ্চলিক ফেসবুক পেইজ।
"মুক্ত বাংলা"
জানতে চাই,জানাতে চাই

বিঃদ্রঃ আপনাদের লাইক ,কমেন্টে,শেয়ার বলে দিবে আপনাদের ইউনিয়নকে আপনারা কতটা ভালোবাসেন।

No comments:

Post a Comment

অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে কাজিপুরের ইজিবাইক চালক

                                       সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার অনিক বাবু (২০) নামের এক ইজিবাইক চালককে অজ্ঞান করে মোবাইল ফোন ও বাইক...