Thursday 18 August 2016

কমলার চার গুণ ভিটামিন সি পেয়ারায়

---------------------------------------------------------------পেয়ারার মৌসুম এখন। গোল, লম্বাটে, ছোট-বড় নানা আকারের পেয়ারা পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। দামেও বেশ সস্তা। একেবারে নরম কিংবা আধপাকা যেভাবেই খান না কেন পেয়ারা অতুলনীয়। পুষ্টিগুণও অনেক ফলের তুলনায় বেশি। এতে কমলার কয়েক গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে।
পেয়ারা ভিটামিন সি, ক্যারটিনয়েডস, ফোলেট, পটাশিয়াম, আঁশ ও ক্যালসিয়ামে সমৃদ্ধ। এক শ গ্রাম পেয়ারায় প্রায় দুই শ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি আছে। সে হিসেবে পেয়ারায় কমলার চেয়ে চার গুণ বেশি ভিটামিন সি আছে। আর পেয়ারার খোসায় কমলার চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে। পুষ্টিমানের বিবেচনায় কমলার মান যেখানে ১৮৬ পয়েন্ট, সে ক্ষেত্রে পেয়ারার পুষ্টি মূল্যমান ৪২১ পয়েন্ট। পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনল আছে, যা ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
১০০ গ্রাম পেয়ারায় রয়েছে ৮৬ দশমিক ১০ গ্রাম পানি, ৫১ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, শূন্য দশমিক ৮২ গ্রাম আমিষ, ৫ দশমিক ৪ গ্রাম আঁশ, ২৫ মিলিগ্রাম ফসফরাস ও তিন মিলিগ্রাম সোডিয়াম। এ ছাড়া পেয়ারায় ম্যাঙ্গানিজ, সেলিনিয়াম, ভিটামিন বি-১, বি-২, বি-৩ ইত্যাদি মূল্যবান খনিজ ও ভিটামিন থাকে। ফলে পেয়ারা রোগপ্রতিরোধের শক্তি জোগায়। পেয়ারার বীজে ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ পলি আনসেচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড ও আঁশ রয়েছে।
ভিটামিন সি–এর অভাবে চামড়া খসখসে হয়ে বার্ধক্য দ্রুত আসে। বার্ধক্য ঠেকাতে নিয়মিত পেয়ারা যোগ করুন খাদ্যতালিকায়। সারা দিনে একটা পেয়ারা খেয়েই ভিটামিন সি–এর চাহিদা মেটানো সম্ভব। খোসাসহ খাওয়া যায় বলে এতে প্রচুর আঁশ পাওয়া যায়। এই আঁশ শরীরের জন্য খুবই দরকারি। ডায়াবেটিস রোগীর জন্য আরও উপকারী। পেয়ারার আঁশ রক্তের চিনি নিয়ন্ত্রণ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ফলে দেহ ও মন থাকে সতেজ।
"মুক্ত বাংলা"
জানতে চাই,জানাতে চাই
সংগৃহীত তথ্য

No comments:

Post a Comment

অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে কাজিপুরের ইজিবাইক চালক

                                       সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার অনিক বাবু (২০) নামের এক ইজিবাইক চালককে অজ্ঞান করে মোবাইল ফোন ও বাইক...