শীত এসে যাওয়ায় সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে কম্বল শিল্প পল্লীতে বেড়ে গেছে ব্যস্ততা। জমতে শুরু করেছে ঝুট কাপড়ের তৈরী উন্নত মানের বাহারী কম্বল ও শিশুদের শীত পোশাকের উৎপাদন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা আসতে শুরু করায় ভাল ব্যবসার প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে শিল্পটির প্রসারে ব্যাংক স্থাপন এবং স্বল্প সুদে ঋণের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের ২০টি গ্রামে তৈরি হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, গাজিপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আনা ঝুট কাপড়ের বাহারী কম্বল। প্রায় ২০ বছর আগে এই কম্বল শিল্পটি এখানে ক্ষুদ্র আকারে শুরু হলেও, বর্তমানে এর সাথে শিশুদের শীত-পোশাকও তৈরি করে বাজারজাত করায় এর ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। সম্ভাবনাময় এ শিল্পকে ঘিরে স্থানীয়ভাবে গড়ে উঠেছে বিশাল পাইকারী বাজার। প্রতিদিন রাজধানী ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা আসছে কম্বল ও শিশুদের শীত-পোশাক কিনতে। তারপর এসব কম্বল ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশের বাজার।
শিল্পটির
প্রসারে এখানে বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা এবং স্বল্প সুদে ঋণের দাবি জানিয়েছেন
ব্যবসায়ী নেতারা। এলাকার কর্মসংস্থানের বিকাশে সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ
গ্রহণের আশ্বাস দিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। সম্ভাবনাময় এ কম্বল
শিল্পে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১০ হাজার নারী-পুরুষ জড়িত। তাই সরকারী
পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি এ শিল্পে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর ব্যবস্থা নিতে
দাবী জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
No comments:
Post a Comment