*********************************************
কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী ঠিকাদার এবং সর্বনিম্ন দরদাতা আব্দুর রাজ্জাকসহ মমতাজ আলী, মোহাম্মদ তুহিন ও মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন টেন্ডারে দুর্নীতির অভিযোগ এনে জেলা সিভিল সার্জন সিরাজগঞ্জ, ডিডি রাজশাহী এবং মহাপরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালী, ঢাকা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর প্রেরিত অভিযোগপত্রে তারা উল্লেখ করেছেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত নিময় মেনে তারা কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীদের পথ্য, স্টেশনারি ও ধোলাই কাজের টেন্ডারে অংশ নেন। নিয়মানুযায়ী সব বিষয়েই সর্বনি¤œ দরদাতা কাজ পাবার কথা। সে মোতাবেক ৩ বিষয়েই সর্বনি¤œ দরদাতা হন আব্দুর রাজ্জাক। কিন্তু কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ মনিরুজ্জামান, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ এমএম সুমনুল হক সজিব কারসাজির মাধ্যমে তাদের পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দিতে উঠে পড়ে লেগেছেন। এজন্যে তারা সিভিল সার্জন অফিসে মেসার্স আব্দুর রাজ্জাক এর নাম না পাঠিয়ে পছন্দের ঠিকাদারদের নাম পাঠিয়েছেন। তারা হলো রোগীর পথ্য বিষয়ে মেসার্স কনক এন্ড কণা এন্টারপ্রাইজ দর ৩৭২০টাকা যেখানে আব্দুর রাজ্জাক এর দর ১৯৩৩ টাকা, ধোলাই কাজে মেসার্স দিশারী এন্টারপ্রাইজ দর ৬৮৫ টাকা যেখানে আব্দুর রাজ্জাক ১২৯ টাকা এবং স্টেশনারির বিষয়ে মেসার্স এম আর কনস্ট্রাকশন দর ১৬৬৫০ টাকা যেখানে আব্দুর রাজ্জাক এর দর ৮০৪ টাকা। উল্লিখিত ঠিকাদারগণ যেন কাজ পায় এজন্যে তাদের সাথে আরও দুজন করে ঠিকাদারের নাম দর বেশি দেখিয়ে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ অজ্ঞাত কারনে কম দরদাতা হিসেবে মেসার্স আব্দুর রাজ্জাক এর নাম পাঠানো হয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে গেলে অভিযোগকারিগণসহ অন্য ঠিকাদারদের সাথে অসদাচারণ করেন এবং পুলিশ ডেকে হয়রানি করেন বলে তারা অভিযোগ করেন। তারা এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এদিকে কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, নিয়ম মেনেই টেন্ডারের কাজ করা হয়েছে।
সূত্র:সিরাজগঞ্জ কন্ঠ,যমুনা বার্তা।।
No comments:
Post a Comment