Wednesday 24 May 2017

মুক্ত বাংলাঃ- গরম নিয়ে ফান!!-এই তীব্র গরমে কী করতে পারেন, তা এবার দেখে নেওয়া যাক—

 


v আইসক্রিম বিক্রির ব্যবসা করতে পারেন। যা গরম পড়েছে, তাতে কয়েকদিনে এ ব্যবসায় লাখপতি হয়ে যেতে পারবেন। তবে কেউ যদি আইসক্রিম বিক্রির ব্যবসা করতে যেয়ে নিজেই সব আইসক্রিম খেয়ে ফেলেন, তাহলে কিন্তু এর দায়ভার কেউ নেবে না!


v যারা চাকরিজীবী, তারা অফিসে যাওয়া ও আসার সময় লেবুর শরবত বিক্রি করতে পারেন। এর ফলে অফিসও করা হলো আবার শরবত বিক্রির মাধ্যমে বাড়তি কিছু টাকাও ইনকাম করা হলো।


v রিকন্ডিশন এসি বিক্রির ব্যবসা করা যেতে পারে। কমদামে নষ্ট এসি কিনে, ঠিকঠাক করে তা বাজারের থেকে কম দামে বিক্রির ব্যবসা করা যেতে পারে। এই গরমে সস্তায় এসি পেয়ে, অনেকেই রিকন্ডিশন এসি কিনে ফেলতে পারে।


v রাতের বেলা চুপ করে বিভিন্ন ডাব গাছ থেকে ডাব পেরে, তা পরেরদিন বিক্রি করা যেতে পারে। আর এই গরমে প্রতি পিস ডাবের দাম কমপক্ষে হলেও ৩০-৫০ টাকা। একাজে ১০০% লাভ নিশ্চিত। ডাব চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়লে ঠাট্টা মোটেও দায়ী নয়!

মুক্ত বাংলাঃ-গরম কালে নিজেদের সুস্থ রাখতে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করে চলা উচিত।

 চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো কি কি-

# পানি
অতিরিক্ত গরমের কারণে শরীর থেকে প্রচুর মাত্রায় পানি বেরিয়ে যায়, যা একেবারেই শরীরের পক্ষে ভাল নয়। তাই পানির এই ঘাটতি মেটাতে গরম কালে প্রতিদিন কম করে ৩ লিটার পানি খেতেই হবে।

# ফল এবং সবুজ শাক-সবজি
রোজকার ডায়েটে ফল এবং সবুজ শাক-সবজি রাখাটা আবশ্যিক। প্রসঙ্গত, এই সময় দিনে একবার হলেও সালাদ খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ একাধিক কেস স্টাডি করে দেখে গেছে, গরমের হাত থেকে বাঁচাতে সালাদের কোনও বিকল্প নেই।

# মশলাদার খাবার বাদ
গরম কালে যতটা পারবেন ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার এড়িয়ে চলবেন। পরিবর্তে হালকা খাবার বেশি করে খাবেন। আসলে এই সময় হজম ক্ষমতা খুব কমে যায়। তাই স্পাইসি খাবার খেলে বদহজম হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে দেখা দিতে পারে আরও কিছু সমস্যা।

# সানস্ক্রিন
এই সময় সান স্ক্রিন ব্যবহার করতেই হবে। কারণ গরম কালে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে না পারলে সান বার্ন এবং নানাবিধ ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহু গুণে বৃদ্ধি পায়।

# নাস্তা
আমরা অনেকেই সকালে ঠিকমতো নাস্তা করি না। এটা একদমই উচিৎ না, বিশেষত গরমের সময়। কারণ প্রাতঃরাশ শুধু এনার্জি বাড়ায় না, সেই সঙ্গে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনাও কমায়।


# লেবুর রস
গরম কালে যখনই সুযোগ পাবেন ইলোকট্রোলাইট সমৃদ্ধ পানীয় (যেমন: লেবুর রস) বেশি করে খাবেন। এমনটা করলে শরীরে পানির অভাব হবে না, ফলে ডিহাইড্রেশন হওয়ার আশঙ্কা কমবে।

Wednesday 17 May 2017

মুক্ত বাংলাঃ-এগিয়ে যাচ্ছে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের নির্মাণ কাজ

 

 জাতীয় নেতা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শহীদ, এম মনসুর আলীর নামানুসারে সিরাজগঞ্জে নির্মাণাধীন ''শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের'' নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।   ৩০ একর জমির উপর নির্মাণাধীন এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবার কথা ২০১৯ সালের জুন মাসে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার টার্গেট নিয়ে গণপূর্ত বিভাগ নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। ইতোমধ্যেই ৫শ শয্যার হাসপাতাল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে।
প্রায় ৬ শ’ রাজমিস্ত্রি ও শ্রমিকের হাকডাকে  শিয়ালকোল নতুন করে জেগে উঠেছে।
 স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম নিজেও নির্মাণ কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন ।

Tuesday 16 May 2017

মুক্ত বাংলাঃ-কাজিপুরে ২৮ ধান কোনরকম ভাবে ঘরে আসলে ও ২৯ ধান পানিতে !!


মুক্ত বাংলা বিস্তারিতঃ-যমুনায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ও প্রতিদিনের ঝড় বৃষ্টির কবলে পড়ে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের ইরি-বোরোধান চাষীদের মাজা ভেঙ্গে গেছে।
যমুনা নদীর পানি আকস্মিক বৃদ্ধি পাওয়ায় ধান তলিয়ে গেছে, অবশিষ্ট ধান বৃষ্ঠি ও ঝড়ের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চাষিরা লোকসানের কবলে পড়েছে।

সার, কীটনাশক ব্যতিরেকে বিনা চাষে রোপন, খেতে সুস্বাধুসহ নানাবিদ অনুন্না বৈশিষ্টোর কারণে ইরি ধান চাষ কাজিপুরে ইতিমধ্যে খুব সমাদৃত হয়েছে।
গত কয়েক দিনের বৃষ্টির কারনে ২৯ নং ধানের জমিতে পানি জমে গেছে।যে কারনে কৃষকরা ধান কাটতে পারছেন না।এতে ক্ষতির কবলে কাজিপুরের কৃষকরা।

মুক্ত বাংলাঃ-ভাঙ্গনরোধে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ ও বাহুকা, শুভগাছায় বিকল্প রিং বাঁধ নির্মাণের নির্দেশ দেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ।

 
 যমুনা নদীর ভাঙনরোধ ও আবাদি জমিসহ ঘরবাড়ি রক্ষায় সিরাজগঞ্জের যমুনাপাড়ে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাহুকা এবং কাজিপুর উপজেলার শুভগাছা ও বীরশুভগাছায় জরুরীভিত্তিতে এ বাঁধ নির্মাণ করছে। এতে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয় এই বাধ নির্মান করা হচ্ছে। বন্যার আগেই এ বাঁধ নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করা হবে। এদিকে, পানি উন্নয়ন বিভাগ (বিআরই) সার্ভে বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই সিরাজগঞ্জের উজান ও ভাটিতে যমুনায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেয়। ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে সদর উপজেলার বাহুকা ও কাজিপুরের শুভগাছার প্রায় আড়াই’শ ফুট বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ বহু জায়গা-জমি, ঘর-বাড়ি। ভাঙনের মখ থেকে শতাধিক বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রায় আড়াই কি.মি. বাঁধের বিভিন্ন অংশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পুরো বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানিতে মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতির কথা ভেবে এলাকার  মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। অপর দিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙ্গনরোধে বালিভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হলেও ভাঙন প্রতিরোধে তেমন সফল হয়নি। সিরাজগঞ্জে যমুনাপাড়ের অসময়ের ভাঙনে জমি-জিরাত ও জনগণের ক্ষয়ক্ষতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ভাঙ্গনরোধে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ ও বাহুকা, শুভগাছায় বিকল্প রিং বাঁধ নির্মাণের নির্দেশ দেন। দ্রুত বাধের কাজ শেষ করার জন্য ইতোমধ্যেই প্রকল্প এলাকায় চারটি এক্সকেভেটর দিয়ে মাটি কাটার কাজ শুরু করা হয়েছে। তাছাড়াও, যমুনা নদীর তলদেশ থেকে ড্রেজিং করে অপসারিত মাটি বাঁধের কাজে ব্যবহারের জন্য স্থানীয়ভাবে দুটি ড্রেজিং মেশিনও কাজ শুরু করেছে। এতে এলাকার মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তিও ফিরেছে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম যমুনার ভাঙন প্রসঙ্গে বলেছেন- অসময়ে যমুনায় এমন ভাঙন আগে কখনও হয়নি। এজন্য, এ বাঁধ নির্মাণ কাজ শুর করা হয়েছে। সেই সাথে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অভ্যন্তরে আরও একটি রীং বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া, যমুনা নদীর ভাঙন থেকে খুদবান্দি, সিংড়াবাড়ি, বাহুকা ও শুভগাছা এলাকায় স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক কাজের জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে এবং প্রায় ৪শ’ ৬৫ কোটি চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন পাঠানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে বর্ষার আগেই তা শুরু করা হবে বলে তিনি উলে¬খ করেন।


সূত্রঃ- asianbarta24

Sunday 14 May 2017

মুক্ত বাংলাঃ-এক নজরে কাজিপুরের ২নং চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়ন ও ইউনিয়নের ইতিহাস।


  **জেনেনিন-কে ছিলেন এই ইউনিয়নের প্রথম চেয়ারম্যান!!
  
মুক্ত_বাংলাঃ-যমুনা নদী দ্বারা ক্ষত-বিক্ষত কাজিপুরের ১২টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভার মধ্যে মাত্র ২টি ইউনিয়ন যমুনার করাল গ্রাস হতে অক্ষত রয়েছে যার অন্যতম ২নং চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়ন।
সুজলা সফলা শস্য শ্যামলা, সবুজে ঘেরা একটি ঐতিহ্যবাহী ইউনিয়ন চালিতাডাঙ্গা। যাহা কাজিপুর উপজেলার বাণিজ্যিক রাজধানী এবং শস্য ভান্ডার হিসাবে খ্যাত। অত্র ইউনিয়নের পূর্ব-উত্তরে ৬নং মাইজবাড়ী ইউনিয়ন, পূর্ব-দক্ষিণে কাজিপুর পৌরসভা, দক্ষিণে ৩ নং গান্ধাইল ইউনিয়ন, দক্ষিণ-পশ্চিমে বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়ন এবং চৌকিবাড়ী ইউনিয়ন, পশ্চিমে ১নং সোনামুখী ইউনিয়ন এবং উত্তরে ৬নং মাইজবাড়ী ইউনিয়ন দ্বারা বেষ্টিত। যাহা চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নকে ভৌগলিকভাবে অত্যমত্ম মনোরম পরিবেশে চমৎকারভাবে ঢাকিয়ে রেখেছে।
(((মুক্ত বাংলা)))
 
ইতিহাসঃ-ইউনিয়ন পরিষদ গ্রামীন স্থানীয়সরকার ব্যবস্থার সবচেয়ে পুরনো প্রতিষ্ঠান। প্রাচীনকালের পঞ্চায়েতীব্যবস্থার ধারাবাহিকতায় ব্রিটিশ আমলে ১৮৭০ সালে রাজনৈতিক, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ওরাজস্ব আদায়ে সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য ৩ বছর মেয়াদি ৫ সদস্য বিশিষ্ঠ‘চৌকিদারি পঞ্চায়েত’ যাত্রা শুরম্ন করে। এরপর ১৮৮৫ সালে ‘বঙ্গীয় স্থানীয়স্বায়ত্তশাসিত আইন’-এর মাধ্যমে ২ বছর মেয়াদি ৫-৯ জন সদস্য নিয়ে ‘ইউনিয়নকমিটি’ গঠন করা হয়। ১৯১৯ সালে ‘বঙ্গীয় গ্রামীণ স্বায়ত্তশাসিত আইন’-এরমাধ্যমে ৬-৯ সদস্য বিশিষ্ট ‘ইউনিয়ন বোর্ড’ গঠন করা হয়। পরবর্তীতে পাকিস্থানআমলে ১৯৫৯ সালে মৌলিক গনতন্ত্র আদেশ জারি করে ১০-১৫ জন সদস্য নিয়ে গঠন করাহয় ‘ইউনিয়ন কাউন্সিল।
(((মুক্ত বাংলা)))
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশে ত্রান ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৯৭২ সালে১০-১৩ জন সদস্য নিয়ে গঠিত ‘ইউনিয়ন পঞ্চায়েত’ দায়িত্ব পালন করে। এরপর ১৯৭৩সালে রাষ্ট্রপতির আদেশের মাধ্যমে ১১ জন সদস্য নিয়ে ৩ বছর মেয়াদি ইউনিয়নপরিষদের যাত্রা শুরম্ন হয়। পরে ১৯৮৩ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ)অধ্যাদেশ জারি করে ৫ বছর মেয়াদি ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত হয়।
(((মুক্ত বাংলা)))
ইউনিয়ন পরিষদ গ্রামীণএলাকায় সুশাসন বা মানুষের অধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাসহ জীবনের মানউন্নয়ন, মানবাধিকার সংরÿন, প্রশাসন, আইন-শৃংখলা রক্ষাও গনতান্ত্রিক অধিকারপ্রতিষ্ঠায় গুরম্নত্বপূর্ণ ভহমিকা পালন করে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানটি দেশেরএমন একটি প্রশাসনিক কাঠামো যার মাধ্যমে রাষ্ট্রের সব সহায়তা সরাসরি গ্রামীণজনগোষ্ঠীর কাছে পৌছায়।


(((মুক্ত বাংলা)))
প্রথম চেয়ারম্যান বাবরআলী তালুকদারের পর ১৯৪৫ সালে জসিম মন্ডল দ্বিতীয় চেয়ারম্যান হন। তবে অত্রইউনিয়নের ইতিকথা/কত সাল থেকে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে তারনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায় নি।

"মুক্ত বাংলায়" কাজিপুরের সকল তথ্য পেতে লাইক দিয়ে মুক্ত বাংলার সাথেই থাকুন।মুক্ত বাংলা কাজিপুরের একটি আঞ্চলিক ফেসবুক পেইজ।
"মুক্ত বাংলা"
জানতে চাই,জানাতে চাই

বিঃদ্রঃ আপনাদের লাইক ,কমেন্টে,শেয়ার বলে দিবে আপনাদের ইউনিয়নকে আপনারা কতটা ভালোবাসেন।

Saturday 13 May 2017

মুক্ত বাংলাঃ এবার একটি কিশোরীর পাশে "ভয়েস অব কাজিপুর"



কাজিপুরের শুভগাছা গ্রামের একজন দিনমজুরের মেয়ে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী সোনিয়া(ছদ্মনাম)।
কিছুদিন আগে ডায়রিয়া ও মারাত্মক রক্তস্রাব সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিল কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।৭ দিন হাসপাতালে ভর্তি থেকে ডায়েরিয়ার সাময়িক সমাধান হলেও কিছুতেই কমছিল না পিভি ব্লিডিং।
কর্তব্যরত চিকিৎসক মেয়েটির উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেন।কিন্তু বড় ডাক্তারের ভিজিট,পরীক্ষা নিরীক্ষা,ঔষধ,ঢাকায় যাতায়াত সহ নানান খরচ দরিদ্র পরিবারের পক্ষে যোগাড় করা সম্ভব ছিলনা।প্রতিদিন দুবেলা দুমুঠো আহার যোগাড় করা যাদের জন্য অসম্ভব তারা কি করে এই মেয়েটির চিকিৎসা করাবে।যতই দিন যাচ্ছিল মেয়েটির শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অবস্থার মারাত্মক অবনতি হচ্ছিল।এর আগেও ফেসবুকে এই খবরটি সিরাজগঞ্জ গ্রুপ সহ বিভিন্ন পেইজে প্রচারিত হয়েছিল।

ইতিমধ্যে স্থানীয় যুবক তারেক হাসান মেয়েটির বিষয়ে কাজিপুরের সামাজিক সংগঠন "ভয়েস অব কাজিপুর"এর সভাপতি ডাঃআশকার পাইনকে জানান।তারপর সংগঠনের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রকৌশলী সাখাওয়াত সাহেবের সার্বিক সহযোগীতায় দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য মেয়েটিকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।রাজধানীর আশিয়ান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে গাইনী রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস (এমবিবিএস,এফসিপিএস,সহযোগী অধ্যাপক) এর পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসা চলছে।মেয়েটি এখন প্রায় সুস্থ্য।
উল্লেখ্য মেয়েটির চিকিৎসার সমস্ত ব্যয়ভার বহন করছে কাজিপুরের  সামাজিক সংগঠন "ভয়েস অব কাজিপুর"।

Thursday 11 May 2017

মুক্ত বাংলাঃ-কাজিপুরের গান্ধাইলে অভিযান চালিয়েও খোঁজ মেলেনি নাঈমের।

দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত নাঈম আশরাফের গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়েও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।কাজিপুরের গান্ধাইলে নাঈম আশরাফসহ তার বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে অভিযান চালানো হলেও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন কাজিপুর থনার উপ-পরিদর্শক (এসঅাই) মোখলেছুর রহমান


সুত্রঃ-সিরাজগঞ্জ কণ্ঠ

Wednesday 10 May 2017

মুক্ত বাংলাঃ-পোশাক শিল্পের গর্ব প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন কাজিপুরের গরীব অসহায় মানুষের পাশে।

বিস্তারিতঃ- অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত তৈরী পোশাক শিল্প । এই শিল্পের সাথে একযুগের বেশি সময় ধরে সফলতার সাথে কর্মরত আছেন বস্ত্র প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসাইন । জীবনের অনেকটা সময় পার করছেন এই শিল্পের সাথে ।

বস্ত্র প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসাইন এর জন্মস্থান সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলায়। ১৯৯১ সালে সিরাজগঞ্জ জেলার তারাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় হতে বিজ্ঞান বিভাগ সফলতার সাথে এস এস সি পাশ করেন। এরপর তিনি রাজশাহী কলেজ থেকে ১৯৯৩ সালে বিজ্ঞন বিভাগ হতে সফলতার সাথে এইচ এস সি পাশ করেন। এরপর তেজগাও সরকারী টেক্সটাইল কলেজ বর্তমান বুটেক্স এ ভর্তি পরীক্ষায় উওীন হয়ে যান ।

তিনি ১৯৯৯ সালে ২১তম ব্যাচের বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে সফলতার সাথে বি এস সি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স শেষ করেন। এরপর ধারাবহিক ভাবে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ এ Merchandiser হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন । সেখানে ২০০৩ সাল পর্যন্ত সফলভাবে কর্মরত ছিলেন। এরপর ২০০৩ সাল হতে ২০১৭ সালে সফলতার সাথে হংকং এর Shelsham Trading Co. Ltd. এ Country Manager হিসেবে কর্মরত আছেন।

তিনি বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সংগঠন বাধন এর সাথে যুক্ত আছেন। একসময় শিক্ষাজীবনে টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের অধিকার আদায়ের জন্য,ন্যায়কে প্রতিষ্ঠিত এবং অন্যায়কে রুখতে যারা
ছাত্রজীবনে লড়াই ও সংগ্রাম করে গেছেন । টেক্সটাইল কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তরিত করতে তিনি কাজ করেছেন । এছাড়া এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যেকোন সমস্যা সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন। এছাড়া টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সংগঠন আই টি ই টি এর সাথে যুক্ত আছেন। এছাড়া তার নিজ এলাকায় তিনি একজন সমাজ সেবক হিসেবে পরিচিত।

“ভয়েস অব কাজিপুর” নামক জনপ্রিয় সেবামূলক সংগঠনের ব্যানারে গরীব অসহায় মেধাবী শিক্ষাথীদের পাশে দাঁড়ান, বেকার কর্মস্থানের অগ্রণী ভুমিকা পালন করছেন। এলাকার ভুমিহীনদের বাসস্থান করে দিয়েছেন, মসজিদ মাদ্রাসায় নানা ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তিনি তার এলাকার বিভিন্ন বিদালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে কাজ করছেন।তিনি মনে করেন টেক্সটাইল শিক্ষাথীদেরকে গবেষণা ক্ষেত্রে অনেক সুযোগ দেওয়া সেই সাথে আরও টেক্সটাইল কলেজ স্থাপন করা।

তৈরী পোশাক খাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তিনি বলেন, শ্রমিকের বেতন ভাতা,টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য সুযোগ–সুবিধা বাড়ানো,বিদেশী বায়ারদের ব্যবসায় অগ্রাধিকার দেওয়া,কলুষিত রাজনীতি দুর করা, শ্রম আইনের সঠিক ব্যবহার, গার্মেন্টসগুলোতে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সরকার,বিজিইএমইসহ সকলের সহযোগিতার মাধ্যমে আগামী দিনে তৈরি পোশাক শিল্প হবে বাংলাদেশের রোল মডেল ।

এছাড়া ২০২১ সালে এই খাতে ৫০ বিলিয়ন লক্ষ্যমাত্রায় পৌছাতে হলে কি করনীয় জানতে চাইলে তিনি বলেন কারখানাগুলোতে নিয়মিত গ্যাস বিদুৎ এর সরবরাহ বজায় রাখতে হবে। এছাড়া উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি, উদ্ভাবন, কাজের পরিবেশ সৃষ্টি, শ্রমিক মালিকের সম্পর্ক উন্নয়ন শুধু এই শিল্পখাতের উন্নয়নের জন্যই নয় বরং গোটা অর্থনীতির স্বার্থেই জরুরী। কারন পোশক খাত এর মাধ্যমে সকল সেক্টরকে এগিয়ে চলেছে। আর মাত্র কয়েক বছর পর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী।

শুধু টিকে থাকা নয়, পোশাক শিল্পকে আরও কয়েক ধাপ উন্নত স্তরে নিয়ে শ্রমিক– মালিক–শুভাকাঙ্ক্ষী একত্রে সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবে এটাই হোক প্রত্যাশা। তিনি মনেকরেন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে পোশাক খাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

ফেসবুক পেজ লিংকঃwww.facebook.com/muktobangla.kazipur

মুক্ত বাংলাঃ-বনানীর তরুণী ধর্ষণের আসামি নাঈম, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার গান্দাইল ইউনিয়নের ‘হাসান মোহাম্মদ হালিম'।



বিস্তারিতঃ“নাঈম আশরাফের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার গান্দাইল ইউনিয়নে। তার বাবার নাম #আমজাদ_হোসেন। আর তার আসল নাম #হালিম। এলাকায় আপাদমস্তক ‘চিটার’ হিসেবে পরিচিত তিনি।
সিরাজগঞ্জের হাসানের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। হাসানও মিরপুর এলাকায় থাকেন বলে ওই এলাকার বাসিন্দারা জানেন।
কাজীপুরের গান্দাইল গ্রামে যে বাড়িটি হালিমের বলে স্থানীয়রা জানান, বুধবার দুপুরে তা তালাবদ্ধ দেখা গেছে।
পাশের বাড়ির মাহমুদা খাতুন বলেন, “বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে হালিম কিছুদিন আগে তার বাবা-মাকে ঢাকায় নিয়ে গেছে।
পত্রিকায় ‘নাঈম আশরাফ’ নামে ছাপানো ছবি দেখে তিনি বলেন, “এটাই হালিম। হাসান মোহাম্মদ হালিম।”একই কথা বলেন মাহমুদার স্বামী দিনমজুর আবু বকর সিদ্দিকসহ গ্রামবাসী।
মাহমুদা বলেন, “হালিম পাঁচ-ছয় বছর বাড়ি আসে না। বাড়ির সাথে তার কোনো যোগাযোগ নেই। বসতবাড়ি ও আবাদি জমি মিলে ১৭ শতক জায়গা আছে তাদের। আগে হালিমের বাবা ফেরি করে থালা-বাটি বিক্রি করতেন। ক্ষেতমজুর হিসেবে মাঠেও কাজ করতেন।”হালিম ঢাকায় দুটি বিয়ে করেছেন বলে গ্রামবাসী জানে।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি পরিচয় দিয়ে হালিমের লাগানো বিভিন্ন পোস্টার-ব্যানারও দেখান স্থানীয়রা; সেখানে থাকা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসা নাঈমের ছবির মতোই।
কাজীপুর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাহারুল ইসলাম বলছেন, “হালিম কখনও দলের মিছিল-মিটিং করেনি। কিন্তু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি পদ ব্যবহার করে এলাকায় ব্যানার-ফেস্টুন লাগায়।“যুবলীগের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সেসব ব্যানার-ফেস্টুন সরানো হয়নি।
”পত্রিকায় ছাপানো ‘নাঈম আশরাফ’কে হাসান মোহাম্মদ হালিম বলে শনাক্ত করেন কাজীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হুদা মিষ্টি।তিনি বলেন, “কমিটিতে তার নাম নেই। নিজের ইচ্ছায় চিটারি করে ব্যানারে সে পদবি ব্যবহার করেছে।”এই হালিমকে নিয়ে অনেক ‘দেন-দরবার’ করেছেন বলে জানান কাজীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল আমিন।"ছোটবেলা থেকেই হালিম প্রতারণার সাথে জড়িত। বাবা-মা ও নিজের নাম বদল করে এর আগেও বেশ কয়েকটি অপকর্ম করেছিল।”
গান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম বলেন, “হালিম নাম-পরিচয় গোপন করে ছাত্র অবস্থায় বগুড়ায় এবং এক বছর আগেও ঢাকার মোহাম্মদপুরে এক মেয়েকে বিয়ে করেছিল। সে দরবার আমি নিজেও করেছি।“বছরে দুই-একবার এলাকায় আসে হালিম। প্রতারণাই তার পেশা। স্কুলজীবন থেকেই সে প্রতারক। আমার কাছেও তার বিরুদ্ধে লোকজন অভিযোগ করেছে। কিন্তু এলাকায় না থাকায় তার বিচার করতে পারছি না।”
হালিমের চাচা পরিচয় দেওয়া আবুবকরের প্রতিবেশী অটোরিকশাচালক শামীম হোসেন বলেন, “২০০৪ সালে গান্দাইল উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে হালিম। এই স্কুলের ছাত্র থাকা অবস্থায় স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পরিচয় দিয়ে রাজশাহী বোর্ড থেকে প্রশ্নপত্র এনে ফেঁসে যায় সে।
“এরপর ভর্তি হয় বগুড়া পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে। সেখানে পড়াশুনা করা অবস্থায় সিরাজগঞ্জ শহরের এক প্রভাবশালী ঠিকাদারকে নিজের বাবা পরিচয় দিয়ে বিত্তশালী পরিবারের এক মেয়েকে বিয়ে করে। পরিচয় জানার পর হালিমকে মারধর করে মেয়েকে ছাড়িয়ে নেয় তারা। বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট তাকে কলেজ থেকে বের করে দেয়। এরপর সে ঢাকা তেজগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়ে ডিপ্লোমা পাস করে বলে শুনেছি।”

হালিম অনেক প্রভাবশালীকে ব্যক্তিকে ‘বাবা’ বলে পরিচয় দিতেন বলে দাবি করেন গ্রামের বাজারের পান দোকানি আবু সাঈদ।
“জীবনে সে বহুত মানুষকে নিজের বাবা বানিয়ে আকাম-কুকাম করেছে। এবার হয়ত আর পার পাবে না।”
এদিকে,গত ২৮ মার্চের জন্মদিনের এক পার্টির ঘটনা নিয়ে গত শনিবার এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী বনানী থানায় ধর্ষণের মামলা করেন, যাতে নাঈমসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদ, রেগনাম গ্রুপ ও পিকাসা রেস্তোরাঁর অন্যতম মালিক মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে সাদমান সাকিফ এবং সাফাতের দেহরক্ষী ও গাড়িচালক।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, বনানীর রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে সাফাত ও নাঈম ওই দুই তরুণীকে ধর্ষণ করেন এবং অন্যরা ছিলেন সহযোগী।
সাফাতের সাবেক স্ত্রী ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার দাবি, সাফাত তার বন্ধু নাঈমের কথায় চলেন।
সুত্রঃ-বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

মুক্ত বাংলাঃ-কাজিপুরের মরিচ বাংলাদেশ কৃষিতে সবুজ বিপ্লব ঘটিয়ে চলেছে।

বিস্তারিতঃ-বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক সরকার বকুল বলেন, বাংলাদেশ কৃষিতে সবুজ বিপ্লব ঘটিয়ে চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত ও নদী শিকস্তি এলাকা কাজিপুরের মরিচ এখন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাবার ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। এজন্য প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণাদি সরকার সরবরাহ করছে। আজ কৃষকদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে সময়োপযোগী হ্যান্ড স্প্রেয়ার মেশিন। সেদিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন কাজিপুরের কৃষকদের উৎপাদিত নানা পণ্য ইউরোপের বাজার দখল করবে। বর্তমান সরকার এলক্ষ্যে একজন কৃষককে নয় বরং কৃষক দলকে এখন থেকে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণাদি সরবরাহ করে চলেছে। কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মামুনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সমন্বিত কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ১৩টি কৃষক দলকে মোট ৭৮টি হ্যান্ড স্প্রেয়ার মেশিন প্রদান করা হয়। 


রিপটঃ-টি এম কামাল

মুক্ত বাংলাঃ- কাজিপুরে ১০০ পরিবারের মধ্যে ৫ লাখ টাকা ও ২শ’ বান্ডিল ঢেউটিন বিতরণ করেন মোহাম্মদ নাসিম।


 বিস্তারিতঃ-  আজ বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর সদর ইউনিয়নে অতি বর্ষণজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বন্যা নদী ভাঙ্গন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের অনুকূলে আর্থিক সাহায্য ও পূর্নবাসনের লক্ষ্যে নগদ অর্থ ও ঢেউটিন বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ,স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন,
 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনীতি করেন মানুষের কল্যাণ ও দুঃখী মানুষের সেবার জন্য। উন্নয়নের কথা বলে জনগণের সাথে প্রতারণা করার জন্য নয়। বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নমূল্য কাজে অধিক আন্তরিক হওয়ায় দেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। খালেদা জিয়া নির্বাচনে চাচ্ছেন। নির্বাচন দেয়া হবে শেখ হাসিনার অধিনে, তবে তা ২০১৯ সালের একদিন আগেও না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার যে ওয়াদা দেয় তা পূরণ করেন। খালেদা জিয়া সরকারের সময় দেশ জঙ্গিবাদে ছেয়ে গিয়েছিল। শেখ হাসিনার সরকার জঙ্গিদের দমন করে দেশে জঙ্গিবাদ নির্র্মূল করছেন।

 এ সময়   কাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মেজাম্মেল হক বকুল সরকারের সভাপতিত্বে  আরো বক্তব্য রাখেন ইউএনও শফিকুল ইসলাম, কাজিপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান টি এম আতিকুর রহমান নান্নু মাষ্টার সহ প্রমুখ। পরে ১০০টি পরিবারের মধ্যে ৫ লাখ টাকা ও ২শ’ বান্ডিল ঢেউটিন বিতরণ করা হয়। 






পেজ লিংকঃ-www.facebook.com/muktobangla.kazipur

Monday 8 May 2017

মুক্ত বাংলাঃ- যমুনার পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে কাজিপুর যমুনা তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে

 সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এতে জেলার বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে ভাঙন।সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাহুকা, শিমলা, কাজিপুর উপজেলার শুভগাছা, কাজিপুর সদর, খাসরাজবাড়ী, নাটুয়ারপাড়া, তেকানী, নিশ্চিন্তপুর, চরগিরিশ, মনসুরনগর সহ যমুনা তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে । সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে,

প্রতিদিন গড়ে ২/৩ মিটার এলাকা নদীতে বিলীন হচ্ছে। কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম পানি বৃদ্ধির সঙ্গে ভাঙন প্রবণতার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গত বুধবার কাজিপুরের বাহুকা-শুভগাছা টুটুল মোড় এলাকায় প্রায় ১২০ মিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পানির প্রবল স্রোতে ও ঘূর্ণাবর্তে যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গত এক সপ্তাহের ভাঙনের দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি, একটি মসজিদ ও কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে।

শুভগাছা-বাহুকায় যমুনার ভাঙনে ইতোমধ্যে জিও ব্যাগ ডাম্পিং শুরু হয়েছে। ভাঙন এলাকার স্থান যেন বৃদ্ধি না হয় সে জন্য মনিটরিং অব্যাহত আছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। ভাঙ্গন এলাকায় ডিসি কামরুন্নাহার সিদ্দীকা, ইউএনও শফিকুল ইসলাম, পিআইও একেএম শাহ আমল মোল্লা সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাগণ পরিদর্শন করেছেন।

Sunday 7 May 2017

মুক্ত বাংলাঃ-খাবারে বিষ মিশিয়ে হত্যা!এ কথা স্বীকার করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বাসার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী লাকি খাতুন।



সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান (৪৩) ও সিনিয়র স্টাফ নার্স জোবেদা খাতুনকে (৩৫) খাবারে বিষ মিশিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ১৬৪ ধারায় আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে এ কথা স্বীকার করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বাসার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী লাকি খাতুন।
আদালত ও পুলিশ সূত্র জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় কাজীপুর উপজেলার বেড়ী পোটল গ্রামের জহরুল ইসলামের স্ত্রী লাকি খাতুনকে সিরাজগঞ্জের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় লাকি ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নজরুল ইসলাম তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করার পর লাকিকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, লাকি খাতুন তাঁর লিখিত জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন, ‘স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের ওপর আমি ক্ষুব্ধ ছিলাম। তাঁকে শায়েস্তা করার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকি। পাশের গ্রামের কবিরাজ তমসের আলীর কাছ থেকে ওষুধ (বিষ) সংগ্রহ করি। গত ২৫ এপ্রিল দুপুরে প্রধান সহকারী আলমগীর স্যারের বাসা থেকে খাবার আনার সময় তরকারির সঙ্গে ওষুধ মেশাই। ওই খাবার খেয়ে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁদের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মনিরুজ্জামান ও জোবেদা খাতুন মারা যান।’
এদিকে লাকি খাতুনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল কাজীপুর উপজেলার টিকোভিটা গ্রাম থেকে ‘বিষ সরবরাহকারী’ কবিরাজ তমসের আলীকে আটক করেছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশের একটি সূত্র।
এ বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সূত্রটি জানায়, এই মুহূর্তে কোনো তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। তবে একজনকে (কবিরাজকে) আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জবানবন্দি রেকর্ড করার পর লাকি খাতুনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। লাকির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও বেশ কয়েকজনকে আটকে অভিযান চলছে।
গত ২৫ এপ্রিল দুপুরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, সিনিয়র নার্স জোবেদা খাতুন ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী আলমগীর হোসেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কক্ষে দুপুরের খাবার খান। খাবার খেয়ে তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁদের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও নার্স মারা যান। আলমগীর বর্তমানে সুস্থ আছেন।
সূত্রঃ প্রথম আলো

মুক্ত বংলাঃ-কাজীপুর উপজেলার শুভগাছা ইউনিয়নে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ

কাজীপুর উপজেলার শুভগাছা ইউনিয়নে আকস্মিক যমুনা নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।কাজিপুর উপজেলা নির্বাহি অফিসার শফিকুল ইসলাম ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রাথমিকভাবে তালিকাকৃত ৮৬টি পরিবারের মধ্যে ১ বান্ডিল করে টেউটিন, ৩০ কেজি করে চাল ও নগদ ৩ হাজার করে টাকা প্রদান করা হয়।

মুক্ত বাংলাঃ-কাজিপুরের চরাঞ্চল থেকে প্রাথমিক শিক্ষকদের গণবদলী॥ হুমকীর মুখে চরাঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থা


বিস্তারিতঃ- সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীর চরাঞ্চলের ছয়টি ইউনিয়নের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিধি বহির্ভূতভাবে শিক্ষকদের বদলীর অভিযোগ ওঠেছে। একই সঙ্গে প্রায় অর্ধশত শিক্ষককে গণবদলী করায় চরাঞ্চলের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে হুমকীর মধ্যে পড়েছে। উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতিকে পাশ কাটিয়ে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিভাগীয়ভাবে সরাসরি আরও দু’জন শিক্ষককেও অন্য জেলায় বদলী করা হয়েছে। এদিকে, গণহারে বদলীর বিষয়টি উলে¬খ করে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী শিক্ষকদের সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮মার্চ কাজিপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটি এক জরুরী সভায় ৪৩জন শিক্ষককে প্রতিস্থাপন সাপেক্ষে চরাঞ্চল থেকে অন্যত্র বদলীর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ওই সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য পরের দিনই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে রেজুলেশনসহ সিদ্ধান্ত পাঠানো হয়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওই সিদ্ধান্তের আলোকে বদলীর আদেশ প্রদান করেন।
উপজেলা পরিষদ ও শিক্ষকদের অপর একটি সূত্র জানায়, উপজেলা চেয়ারম্যান ও শিক্ষা কমিটির সভাপতি বিদেশে থাকায় তিনি ২৯মার্চ সভার দিন ধার্য্য করেছিলেন। কিন্তু কমিটির অনান্য সদস্যরা মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নির্ধারিত তারিখের একদিন আগেই সভা করেন। সূত্রটি আরও জানায়, এমনিতেই চরাঞ্চলে শিক্ষক স্বল্পতা রয়েছে। তারপরও গণহারে বদলী করায় শিক্ষার্থীরা দারুনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
অনসন্ধানে জানা যায়, বদলীকৃত ৪৩টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৭টি বিদ্যালয়ে প্রয়োজনের তুলনায় কম শিক্ষক থাকলেও বদলী করা হয়েছে। উত্তর বুরুঙ্গী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দু’জন কর্মরত থাকলেও দু’জনকেই, চর মানিকদাইড় বিদ্যালয়ে তিনজনের মধ্যে দু’জনকে ও দক্ষিন সালাল বিদ্যালয়ে তিনজন শিক্ষকের মধ্যে দু’জনকে বদলী করা হয়েছে।
বিশুড়িগাছা বিদ্যালয়ে ২জন ও উজান মেওয়াকোলা নব্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘোড়াগাছা, পারখুকশিয়া, খাসরাজবাড়ী, ভাটি মেওয়াকোলা, যুক্তিগাছা, রেহাই শুড়িবেড়, ভেটুয়াখোলা বাঁশজান, দক্ষিন মহিমাপুর নব্য সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনজন করে শিক্ষক থাকলেও তাদের বদলী করা হয়েছে। প্রতিস্থাপন সাপেক্ষে বদলী করা হলেও বেশীর ভাগ বিদ্যালয়ে এখনও কোন শিক্ষক যোগদান করেননি। এ ছাড়াও বেশীর ভাগ বিদ্যালয়ে শিক্ষক উচ্চতর (ডিপিএড) প্রশিক্ষণে রয়েছে।
খাসরাজবাড়ী ইউনিয়নের রাজবাড়ি দক্ষিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেহানা খাতুন জানান, তার বিদ্যালয়ে অনুমোদিত ৫জনের বিপরীতে ৪জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। একজন শিক্ষক প্রশিক্ষণে গেছেন। মরিয়ম খাতুন নামের এক শিক্ষককে বিভাগীয়ভাবে সরাসরি বদলী করা হয়েছে। তিনি ছাড়পত্র না নিয়েই গত ১৭এপ্রিল চলে গেছেন। প্রতিস্থাপনে কোন শিক্ষকই যোগদান করেননি। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
এব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দীক মোহাম্মদ ইউসুফ রেজা বলেন, এটি আসলে গণবদলী নয়। এর আগেও এরকম বদলী করা হয়েছে। তাছাড়া, কাজিপুর উপজেলা শিক্ষা কমিটির সুপারিশেই ওখানে শিক্ষক প্রতিস্থাপন সাপেক্ষে বদলী করা হয়েছে। তবে, বদলীকৃত শিক্ষক যদি তা অমান্য করে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মুক্ত বাংলাঃ-কাজিপুরের যমুনানদীর উজানে ভাঙ্গন রোধে কাজ চলছে আর ভাটিতে চলছে ভয়াবহ ভাঙ্গন।


 বিস্তারিতঃ-সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুরে ৫০ মিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ যমুনা নদীগর্ভে বিলীন।
গত ৪/৫দিন যাবৎ যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পওয়ায় সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার ২টি স্পটে নদীর ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়েছে। পানির প্রবল স্রোত ও ঘূর্ণাবর্তে শুভগাছা ইউনিয়নের টুটুল মোড় নামক স্থানে বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধের ৫০ মিটার এলাকা গত বুধবার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ সময় ৮৫টি ঘরবাড়ি ও ১টি মসজিদ নদীগর্ভে বিলীন হযে যায়। এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে নাটুয়ারপাড়া এলাকায়ও নদীর ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়েছে।। অসময়ে যমুনার তীব্র ভাঙ্গনে শুভগাছা এলাকার মানুষ আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। শুভগাছায় ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধের নিকটবর্তী এলাকার লোকজন ঘরবাড়ি ভেঙ্গে নিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় প্রায় ১০০ পরিবার ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। ভাঙ্গন এলাকায় সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক কামরুন্নাহার সিদ্দীকা, কাজিপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল হামিদ রেজা, পিআইও একেএম শাহ আমল মোল্লা, ইউপি চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান খোকা সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাগণ পরিদর্শন করেছেন। পানি উন্নয়র বোর্ড ভেঙ্গে যাওয়া স্থানে বালুর বস্তা ফেলছেন। কাজিপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদর তালিকা তৈরী করে ক্ষতিপূরণ প্রদান করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

(রিপটঃ-টি এম কামাল)

মুক্ত বাংলাঃ-এক নজরে কাজিপুরের এস এস সি ফলাফল জেনেনিন।



মুক্ত বাংলা নিজস্ব প্রতিনিধিঃ-নিজেদের প্রথম স্থান ধরে রেখেছে গান্ধাইল উচ্চ বিদ্যালয়,তার সাথে এগিয়ে আছে তারাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়,দিনে দিনে পিছিয়ে পড়ছে কাজিপুর রানী দিনমনি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় আবার ও সম্ভাবনার মুখে মেঘাই ই. ইউ. আই উচ্চ বিদ্যালয়।

১।গান্ধাইল রতনকান্দি ইউনিয়ন আলী আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয় –
***GPA5- ৮১জন ।
**Pass-২০৬ জন।
*পরীক্ষার্থী-২০৮ জন।

২।তারাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়-
***GPA5- ৪৪জন ।
**Pass-১০৩জন।
*পরীক্ষার্থী-১০৪ জন।

৩।মেঘাই ই. ইউ. আই উচ্চ বিদ্যালয়-
জেনারেল_শাখা
***GPA5- ১৬ জন ।
**Pass-৭১ জন।
*পরীক্ষার্থী-৭৩ জন।
 
কারিগরী_শাখা
***GPA5-৫ জন।
৪।শিমুলদাইড় বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়-
***GPA5- ১১ জন ।
**Pass-১২২জন।
*পরীক্ষার্থী-১৩২ জন।

৫।কাজিপুর রানী দিনমনি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়-
***GPA5- ১০ জন ।
**Pass-৭৭জন।
*পরীক্ষার্থী-৭৯ জন

৬।চালিতাডাঙ্গা বি.বি.এন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়-
***GPA5- ৯ জন ।
**Pass-৮৯ জন।
*পরীক্ষার্থী- ৯২ জন।

৭।নাটুয়ার পাড়া কে.বি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়-
***GPA5- ৩ জন ।

৮।সোনামুখী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়-
***GPA5- ০ জন ।
**Pass-৮৭ জন।

৯।হড়িনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয় -
***GPA5- ৬ জন।
**Pass-১৬৯ জন।
*পরীক্ষার্থী- ১৮৫ জন।

তথ সংগ্রহঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম
মুক্ত বাংলা
জানতে চাই,জানাতে চাই
কাজিপুরের সকল খবর সবার আগে।
লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন মুক্ত বাংলার সাথে।
বিঃদ্রঃ কাজিপুরের অন্যান্ন স্কুল গুলোর ফলাফল যদি আপনারা জানেন তাহলে আমাদের জানাতে পারেন।ইনবক্স বা কমেন্টে।

অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে কাজিপুরের ইজিবাইক চালক

                                       সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার অনিক বাবু (২০) নামের এক ইজিবাইক চালককে অজ্ঞান করে মোবাইল ফোন ও বাইক...