বিস্তারিতঃ- অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত তৈরী
পোশাক শিল্প । এই শিল্পের সাথে একযুগের বেশি সময় ধরে সফলতার সাথে কর্মরত
আছেন বস্ত্র প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসাইন । জীবনের অনেকটা সময় পার করছেন এই
শিল্পের সাথে ।
বস্ত্র প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসাইন এর জন্মস্থান সিরাজগঞ্জ
জেলার কাজিপুর উপজেলায়। ১৯৯১ সালে সিরাজগঞ্জ জেলার তারাকান্দি উচ্চ
বিদ্যালয় হতে বিজ্ঞান বিভাগ সফলতার সাথে এস এস সি পাশ করেন। এরপর তিনি
রাজশাহী কলেজ থেকে ১৯৯৩ সালে বিজ্ঞন বিভাগ হতে সফলতার সাথে এইচ এস সি পাশ
করেন। এরপর তেজগাও সরকারী টেক্সটাইল কলেজ বর্তমান বুটেক্স এ ভর্তি পরীক্ষায়
উওীন হয়ে যান ।
তিনি ১৯৯৯ সালে ২১তম ব্যাচের বাংলাদেশ টেক্সটাইল
বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে সফলতার সাথে বি এস সি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স
শেষ করেন। এরপর ধারাবহিক ভাবে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ এ Merchandiser হিসেবে
কর্মজীবন শুরু করেন । সেখানে ২০০৩ সাল পর্যন্ত সফলভাবে কর্মরত ছিলেন। এরপর
২০০৩ সাল হতে ২০১৭ সালে সফলতার সাথে হংকং এর Shelsham Trading Co. Ltd. এ
Country Manager হিসেবে কর্মরত আছেন।
তিনি বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সংগঠন বাধন
এর সাথে যুক্ত আছেন। একসময় শিক্ষাজীবনে টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের
অধিকার আদায়ের জন্য,ন্যায়কে প্রতিষ্ঠিত এবং অন্যায়কে রুখতে যারা
ছাত্রজীবনে লড়াই ও সংগ্রাম করে গেছেন । টেক্সটাইল কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে
রুপান্তরিত করতে তিনি কাজ করেছেন । এছাড়া এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীদের যেকোন সমস্যা সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন। এছাড়া টেক্সটাইল
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সংগঠন আই টি ই টি এর সাথে যুক্ত আছেন। এছাড়া তার
নিজ এলাকায় তিনি একজন সমাজ সেবক হিসেবে পরিচিত।
“ভয়েস অব কাজিপুর” নামক জনপ্রিয় সেবামূলক সংগঠনের ব্যানারে
গরীব অসহায় মেধাবী শিক্ষাথীদের পাশে দাঁড়ান, বেকার কর্মস্থানের অগ্রণী
ভুমিকা পালন করছেন। এলাকার ভুমিহীনদের বাসস্থান করে দিয়েছেন, মসজিদ
মাদ্রাসায় নানা ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তিনি তার এলাকার বিভিন্ন
বিদালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে কাজ করছেন।তিনি মনে করেন
টেক্সটাইল শিক্ষাথীদেরকে গবেষণা ক্ষেত্রে অনেক সুযোগ দেওয়া সেই সাথে আরও
টেক্সটাইল কলেজ স্থাপন করা।
তৈরী পোশাক খাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তিনি বলেন, শ্রমিকের বেতন
ভাতা,টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য সুযোগ–সুবিধা বাড়ানো,বিদেশী বায়ারদের
ব্যবসায় অগ্রাধিকার দেওয়া,কলুষিত রাজনীতি দুর করা, শ্রম আইনের সঠিক
ব্যবহার, গার্মেন্টসগুলোতে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সরকার,বিজিইএমইসহ সকলের
সহযোগিতার মাধ্যমে আগামী দিনে তৈরি পোশাক শিল্প হবে বাংলাদেশের রোল মডেল ।
এছাড়া ২০২১ সালে এই খাতে ৫০ বিলিয়ন লক্ষ্যমাত্রায় পৌছাতে হলে
কি করনীয় জানতে চাইলে তিনি বলেন কারখানাগুলোতে নিয়মিত গ্যাস বিদুৎ এর
সরবরাহ বজায় রাখতে হবে। এছাড়া উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি, উদ্ভাবন, কাজের
পরিবেশ সৃষ্টি, শ্রমিক মালিকের সম্পর্ক উন্নয়ন শুধু এই শিল্পখাতের
উন্নয়নের জন্যই নয় বরং গোটা অর্থনীতির স্বার্থেই জরুরী। কারন পোশক খাত এর
মাধ্যমে সকল সেক্টরকে এগিয়ে চলেছে। আর মাত্র কয়েক বছর পর বাংলাদেশের
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী।
শুধু টিকে থাকা নয়, পোশাক শিল্পকে আরও কয়েক ধাপ উন্নত স্তরে
নিয়ে শ্রমিক– মালিক–শুভাকাঙ্ক্ষী একত্রে সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবে এটাই
হোক প্রত্যাশা। তিনি মনেকরেন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে পোশাক খাতকে এগিয়ে
নিয়ে যেতে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
ফেসবুক পেজ লিংকঃwww.facebook.com/muktobangla.kazipur